
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* রাসূল (সা.)পূর্ণাঙ্গ দ্বীন রেখে গেছেন তাঁর ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে। সুতরাং রাসূলের (সা.)ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা্ নাই সেটাই বিদয়াত।কারণ রাসূল (সা.) বলেছেন যা তাঁর দ্বীনে নাই সেটাই বিদয়াত। রাসূল (সা.) কোরআন সংকলন রেখে যাননি, তিনি হাদিস সংকলন রেখে যাননি, তিনি ফিকাহ সংকলন রেখে যাননি। তিরি রেখে গেছেন ওয়ারিশ। তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা আছে সেটাকে তিনি সঠিক বলায় তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা আছে সেটাই দ্বীন এবং তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা নাই সেটা বিদয়াত। হযরত ওসমান (রা.) সংকলিত কোরআন ওলামার সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক গৃহিত বিধায় এটি দ্বীন এবং এর যে কোন বিরোধীতা বিদয়াত। আমির হারুনুর রশিদ অনুমোদীত হানাফী ফিকাহ ওলামা্র ওলামার সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক গৃহিত বিধায় এটি দ্বীন এবং এর যে কোন বিরোধীতা বিদয়াত। ইন্তিকালের পর কারো কোন কিছুর মালিকানা থাকে না। সুতরাং এখন রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা আছে সেটাই তাঁর সুন্নাত এবং রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা নাই সেটাই বিদয়াত। সুতরাং রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা নাই সেটাকে তাঁর হাদিস হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





