
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
* ইসলাম পূর্ণাঙ্গ এবং এর পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা হলো কিতাব ও হিকমাত এর শিক্ষা। কওমী শিক্ষায় কিতাবের শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও হিকমাতের শিক্ষার ব্যবস্থা নাই। সেজন্য এটি ইসলামের বিকলাঙ্গ শিক্ষা। হিকমাত কি কি?
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০১। আর তাদের মধ্যে কিছু লোক বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালে কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন।
* হিকমাত হলো ইহকালের কল্যাণের হিকমাত এবং পরকালের কল্যাণের হিকমাত। ইহকাল ও পরকালের হিকমাত কি?
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
সহিহ আল বোখারী, ২৮৮৯ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৮৮৯। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যাকে কল্যাণ দানের ইচ্ছা করেন, তাঁকে তিনি দীন সম্পর্কে ফিকাহ (গভির জ্ঞান) দান করেন। আল্লাহ প্রদানকারী আর আমি বন্টনকারী। আমার এ উম্মত তাদের বিরোধীদের উপর চিরদিন বিজয়ী হবে। এ অবস্থায় আল্লাহর চূড়ান্ত সমাধান এসে যাবে।
* ইহকালিন হিকমাতের মধ্যে প্রধান হলো আত্মরক্ষার হিকমাত। এরজন্য শক্তি সঞ্চয় ও আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার অস্ত্র সঞ্চয় জরুরী। সুতরাং এ সংক্রান্ত শিক্ষা হলো হিকমাতের আসল শিক্ষা। প্রযুক্তি শিক্ষা ইহকালিন কল্যাণের জন্য জরুরী বিধায় এটাও হিকমাতের শিক্ষা। এছাড়া ইহকালিন কল্যানের সকল শিক্ষা হিকমাতের শিক্ষার আওতায় পড়ে। আর পরকিল হিকমাত হলো ফিকাহ।
সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।
* রবের পথে ডাকতে হয় হিকমাত দিয়ে। সুতরাং রবের পথে ডাকতে হবে ফিকাহ দিয়ে এবং ইহকালিন কল্যাণের জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা দিয়ে। রবের পথের ডাকার ক্ষেত্রে যারা এ পদ্ধতি অবলম্বন করে না তারা দ্বীনের দায়ী নয়।রবের পথে ডাকার উপকরণ কিতাব নয়। সুতরাং কিতাব ও হিকমাতের জ্ঞান লাভের পর রবের পথে ডাকতে হবে শুধু হিকমাত দিয়ে। কওমী শিক্ষা ও ওয়াজে হিকমাত না থাকায় এদের শিক্ষা ও ওয়াজ উভয়টাই বিকলাঙ্গ। এদের শিক্ষা ও ওয়াজে ইহকালিন ও পরকালিন কল্যাণ নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



