ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের কিছু নাগরিক উভয় দেশের মানচিত্র মুছে দিতে আগ্রহী। পাকিস্তান+ভারত= পাকিস্তান অথবা ভারত+পাকিস্তান=ভারত- এ ধরনের ইচ্ছা কিছু লোকের। তবে যে পক্ষের ইচ্ছাই পূরণ হোক তারা আমাদেরকে ছাড়বে বলে মনে হয় না। তবে ব্যাপক যুদ্ধ হলে কারো ইচ্ছা বাস্তবায়ন না হয়ে এ অঞ্চলে নতুন দশটি রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটতে পারে। তাতে এ অঞ্চলে আঠারটি রাষ্ট্র হয়ে এ অঞ্চলের খেলা-ধুলা জমজমাট হতে পারে। আপাতত দেশ দু’টির যুদ্ধ বিরতি চলছে।তবে যুদ্ধের যোশ থামাতে না পারার কারণে তাদের উভয়ে উভয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিরতি লংঘণের অভিযোগ করছে।
চীনের নিকট অস্ত্রের বাজার হারানোর কারণে ডোনাল্ড ট্রা্ম্প যুদ্ধ বিরতিতে উভয়দেশকে সম্মত করছে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ যুদ্ধে চীনের অস্ত্র বেশী কার্যকর প্রমাণ হয়েছে। যুদ্ধে চীন, ইরান ও তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষে এবং রাশিয়া, ইসরায়েল ও আমেরিকা ভারতের পক্ষে যোগ দিয়ে ছিল। তবে যুদ্ধ বিরতি হওয়াতে ভালো হয়েছে। ভারতের কিছু নাগরিক যে শুধূ পাকিস্তানের মানচিত্র মুছতে চায় তা’ নয়, তারা বরং বাংলাদেশের মানচিত্রও মুছতে চায়। তারা অখন্ড ভারত চায়। মুসলিম শাসনে অখন্ড ভারত মুসলিমরাও চায়। হিন্দু শাসনে অখন্ড ভারত মুসলিমদের জন্য মহা অশান্তির। হিন্দু-মুসলিমের বিপরীত ইচ্ছার কারণে হিন্দুস্তানের যুদ্ধে অবশেষে মুসলিমেদের বিজয়ের কথা হাদিসে আছে।তারমানে হাদিস অনুযায়ী অখন্ড ভারতে মুসলিম শাসন কায়েম হবে। আগেও মুসলিমরা অখন্ড ভারত শাসন করেছে। এটা মুসলিমদের জন্য নতুন বিষয় নয়। হিন্দুস্থানের যুদ্ধে মহা সাওয়াবের কথা হাদিসে আছে বিধায় এখানে সারাবিশ্বের মুসলিম যুদ্ধ করতে আসবে। সারা বিশ্বের মুসলিম চাঁদা দিলে এখানে মুসলিম পক্ষের অস্ত্র কেনার টাকার অভাব হবে না। আর অস্ত্র বিক্রির জন্য চীনতো বসেই আছে। আর চীন ভারতের সাথেই আছে। সুতরাং হিন্দুস্তানের যুদ্ধে মুসলিম পক্ষের জয় সম্ভব। কিন্তু প্রতিপক্ষ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হওয়ায় এ জয়ে মুসলিম পক্ষের অনেক বেশী মূল্য চুকাতে হবে।
হিন্দুস্থানের যুদ্ধে মুসলিম পক্ষ যুদ্ধে আগ্রহী নয়। তবে অমুসলিম পক্ষ তাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে যুদ্ধ তাদেরকে করতেই হবে। এ যুদ্ধে উভয় পক্ষে পারমাণবিক অস্ত্র থাকায় প্রায় ৯০% নাগরিক মারা যাওয়ার সম্ভাবনা। ১০% যদি ১০০% এর ভূমি বন্টনে পায় তবে এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব ব্যাপক হারে কমবে। জনসংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেলে যুদ্ধ অথবা মহামারির মাধ্যমে এটা ব্যাপক হারে কমে। অতীতে জনসংখ্যা কমার এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। সামনেও এমন ঘটনা ঘটবে না সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এরা শান্তির চিন্তা বাদ দিয়ে হিন্দু-মুসলিম জয় পরাজয়ের কথা ভাবলে যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়া কিভাবে সম্ভব? সুতরাং যুদ্ধ বিরতি হলেও যুদ্ধের আশংকা শেষ হচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:০১