
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ (খাইর) লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।
সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
* রাসূল (সা.)কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ হিকমাতকে প্রচুর কল্যাণ (খাইর) বলেছেন। তিনি হিকমাত দিয়ে রবের পথে ডাকতে আদেশ করেছেন। তিনি কিতাবে মানসুখ থাকার কথা বললেও হিকমাতে মানসুখ থাকার কথা বলেননি। সুতরাং হিকমাতের পরিবর্তে কিতাব মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে।সুতরাং নারীর উচ্চ শিক্ষা ফরজ সাব্যস্ত হবে এবং কিতাব ও হাদিস দিয়ে এর বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া হারাম সাব্যস্ত হবে। কারণ নারীর উচ্চ শিক্ষা একটি হিকমাত। কারণ নারীর সার্জারী বিষয়ে নারী সার্জেন্ট বেশী উপযুক্ত। আর সার্জারীর হিকমাত উচ্চ শিক্ষা হিসাবে গণ্য।সুতরাং যে হুকুমত নারীর উচ্চ শিক্ষায় বাধা সৃষ্টি করে সে হুকুমত ইসলামী হুকুমত নয়।
সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০১। আর তাদের মধ্যে কিছু লোক বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালে কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সহিহ আল বোখারী, ২৮৮৯ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৮৮৯। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যাকে কল্যাণ দানের ইচ্ছা করেন, তাঁকে তিনি দীন সম্পর্কে ফিকাহ (গভির জ্ঞান) দান করেন। আল্লাহ প্রদানকারী আর আমি বন্টনকারী। আমার এ উম্মত তাদের বিরোধীদের উপর চিরদিন বিজয়ী হবে। এ অবস্থায় আল্লাহর চূড়ান্ত সমাধান এসে যাবে।
* হিকমাত ইহকালিন ও পরকালিন উচ্চশিক্ষা। হযরত লোকমানকে (আ.) উভয় হিকমাত দান করা হয়েছে। সুতরাং ইহকালিন হিকমাতকে ইসলামী শিক্ষা নয় বলার কোন সুযোগ নাই। পরকালিন হিকমাত হলো ফিকাহ। হিকমাত যে রকমই হোক এর পরিবর্তে কোরআন মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে। সুতরাং যা কিছু কল্যাণ কোরআন ও হাদিস দিয়ে এর বিরোধীতা হারাম সাব্যস্ত হবে। সুতরাং কোরআন ও হাদিস দিয়ে স্কোয়াড্রন লিডার আয়েশার পেশাগত কাজের বিরোধীতা হারাম সাব্যস্ত হবে।কারণ শত্রুর মোকাবেলায় তার দক্ষতা সঠিক প্রমাণ হয়েছে। এভাবে নারীকে কোন কল্যাণকর কাজ থেকে নিবৃত রাখা হারাম সাব্যস্ত হবে। আল্লাহ হিকমাতের দাতা এবং রাসূল (সা.) এর বন্টনকারী বিধায় হিকমাত গঠিত হবে কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী। কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী হিকমাত গঠিত হওয়ার পর আর কোরআন ও হাদিস দিয়ে হিকমাত বাতিল করা যাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



