
ছাত্র-জনতার তাড়া খেয়ে আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে ছাত্র-জনতা তাদের সখের নৌকাখানা ডুবিয়ে দেয়। জলে ভিজে উঠে শরম ঢাকতে এখন তাদের গামছা প্রয়োজন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের পর্যাপ্ত গামছা আছে।আওয়ামী সমর্থকরা সেই গামছা পরে শরম ঢাকতে পারে।তারা ভোট দিবে আশ্বাস দিলে বঙ্গবীর সারা বাংলাদেশের সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেন। তিনি ভালো ফল করলে সেটা হবে মুক্তি যুদ্ধের চেতনার ভালো ফল।
আমাদের ব্লগের যামিনী সুধা নৌকার হাল ধরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁর সঙ্গে আছেন রানু। তাঁরা প্রজন্ম একাত্তর নামে দল করতে পারেন। তবে ধর্মহীন হওয়ায় ধর্মের দেশে তাঁদের সাফল্য লাভ না করার আশংকা রয়েছে। সেই জন্যই আমি গামছার কথা বলছি। নৌকার যারা ভোটার তারা নৌকার সমর্থন ত্যাগ করেছেন বলে মনে হয় না। তো তারা গামছায় ভোট দিলে গামছার মাধ্যমে হয়ত তারা অস্তিত্ব জানান দিতে পারবে।
একটা জেলা শহরে বিশ-পঁচিশ জন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের শ্লোগান দিচ্ছিল। তাদেরকে ধাওয়া দেওয়ার কোন লোক পাওয়া গেল না। অথচ আওয়ামী শাসনে তাদের বিপক্ষে কথা বলার লোক ছিল না। তারপর ছাত্র-জনতা সাহস করে কথা বলা শুরু করলে দেখা গেল অনেকেই আওয়ামী বিপক্ষে কথা বলছে। এখন আওয়ামী পক্ষে কথা বলা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ। রাষ্ট্র কি তাদেরকে দাবায়ে রাখতে পারবে? বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশী জাতিকে দাবায়ে রাখতে পারবানা বলেছেন, এখন বাংলাদেশীরাই আওয়ামী লীগকে দাবায়ে রাখছে, সেজন্য আমার মনে প্রশ্ন জাগছে বাংলাদেশীরা কি আওয়ামী লীগকে দাবায়ে রাখতে পারবে? এখন আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলা নিষিদ্ধ। এমতাবস্থায় রানু কি আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলবে?
এখন একটা বিষয় হলো একাত্তরের চেতনার পক্ষে কথা বলা। এটা এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি। সুতরাং এসো সবাই দলে দলে গামছার ছায়া তলে। যে হারে গরম পড়ছে তাতে গামছার ছায়াতলে থাকলে একটু হলেও আরাম পাওয়া যাবে। যামিনী সুধার ক্ষেত্রে দলে দলে কিসের ছায়া তলে আসতে হবে সেটা জানা যায়নি। এবিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বললে বুঝা যাবে আসলে তাঁর ক্ষেত্রে কিসের ছায়াতলে জনতাকে সমবেত হতে হবে।যামিনী সুধা এবং তাঁর পাঁড় ভক্ত রানু রাজনীতির অনেক কথাই বলে। এমনি কি যামিনী সুধা আমার রাজনৈতিক অযোগ্যতার কথা বলেছেন। সেজন্য আমি তাঁর চেয়ে গামছার পক্ষে বেশী।যামিনী সুধা এভাবেই জনসমর্থন হারায়। শেখ হাসিনা নৌকা নদীতে ডুবিয়েছেন যামিনী সুধা হয়ত এটা সাগরে ডুবিয়ে দিবেন। তখন্র নৌকার আরো্হীদের কুলে উঠতে গামছা লাগবে। সুতরাং আগে থেকেই গামছার পক্ষে থাকা ভালো। আমি নৌকার পক্ষে নয় গামছার পক্ষে কথা বলেছি। সুতরাং আমি কোন বে-আইনি কথা বলিনি। জয় বাল। জয় বাংলা।বাল মানে চুল। আমার মাথায় চুলের অভাব। সেজন্য আমি জয় বাল বলেছি। এখানেও আমি আওয়ামী লীগের পক্ষে কোন কথা বলিনি।সুতরাং আমি নিরপরাধ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


