
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের জন্য ডক্টর ইউনুসের সরকার জুন’২৬ পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। সেনাপ্রধান ও বিএনপি তাঁদেরকে ডিসেম্বর’২৫ এর বেশী সময় দিতে সম্মত নয়। আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি আওয়ামী বিরোধী থাকলেও ইউনুস বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ বিএনপির সাথেই আছে। কারণ আওয়ামী লীগ বিচার বানচাল চায়। সেজন্য বিচার করতে ডক্টর ইউনুসকে আওয়ামী লীগ সময় দিতে চায় না।আওয়ামী লীগ ও বিনপি আলাদা থাকলে তারা কম শক্তির হলেও তারা একত্রিত হলে তাদের শক্তি অনেক বেড়ে যায়। সেজন্য নব্বইতে এরশাদকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে।একই কারণে পঁচিশে ডক্টর ইউনুসকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। কারণ এন্টি আওয়ামী লীগ বড় শক্তি হলেও এন্টি আওয়ামী লীগ-বিনপি বড় শক্তি নয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ডক্টর ইউনুসের সরকার পদত্যাগের কথা ভাবছে।
সাধারণ মানুষের সামনে ডক্টর ইউনুসের সরকার একটা অপশন রেখেছে। সেটা হলো তাঁদের কাজে যারা বিঘ্ন ঘটাচ্ছে জনগণকে তাদেরকে তাড়িয়ে তাদের কাজ নির্বিঘ্ন করতে হবে। জনগণ একদা হাসিনাকে তাড়িয়ে ডক্টর ইউনুসের সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কার, হাসিনার দলের বিচার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছে। তাদের এ দায়িত্ব পালনে বিবিধ আন্দোলন কারীরা বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এটাই ডক্টর ইউনুসের সরকারের একজন বললেন। তাদের বিঘ্ন ঘটানোর কারণে তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা জানালেন। জনগণ যদি আন্দোলনকারীদেরকে দমন করতে পারে তাহলে হয়ত ডক্টর ইউনুসের সরকার পদত্যাগ করবেন না। জনগণ আন্দোলনকারীদেরকে দমন করতে পারলে বিএনপি ও সেনাপ্রদানও দমন হবেন এবং তখন তাঁরাও ডক্টর ইউনুসের সরকারের অনুগত হবেন। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে আরো বেশী হতাশায় ডুবতে হবে।
জামায়াত ইউনুসের সরকারের থাকাটা কামনা করছে। তাদের এক নেতা বলছে তাদের আটকোটি কর্মী আছে। তাহলে এবার তারা ইউনুসের সরকারের বিঘ্ন দূর করুক। সরকার বলছে সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের সক্ষমতা তৈরী হয়নি। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে এবং ব্যালট ডাকাতি ঠেঁকানো না গেলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি? জামায়াত বলছে ব্যালট ডাকাতি হলে তার জন্যও তারা প্রস্তুত আছে। জামায়াতের নেতাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। সেজন্য তারা এখন বেপরোয়া। নির্বাচনে জিতার জন্য তারা প্রাণ দিতে প্রস্তুত। ঘটনা এমন হলে নির্বাচনের ফসল জামায়াতের ঘরেও উঠতে পারে। ভোটারদের অবস্থা হলো তারা প্রাণ দিয়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না। সুতরাং কেন্দ্র যাদের দখলে থাকবে ভোট তারাই পাবে। তাতে বিএনপি জয়ী না হলে তাদের আগে-ভাগে ভোট চেয়ে লাভ কি? বিএনপি ভাবছে সেনা বাহিনী তাদেরকে জয় এনে দেবে। সিরিয়ায় তো বাশারের সেনাবাহিনীও পালিয়েছে।অবশেষে আলকায়েদা নেতার সাথেই হাত মিলালেন ট্রাম্প। অসুবিধা মনে করলে জামায়াতের সাথেও অন্যরা হাত মিলাতে পারে। তারা আমাকে সেরকমটাই বলছে। সেজন্য আমি কারো কথায় কোন মন্তব্য করছি না। কারণ সরকারে যারাই আসুক তাদের সাথে আমাকে কাজ করতে হবে। কারণ আমি সরকারী চাকুরী করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



