
আওয়ামী উত্থান হতে হতে পতন এবং অবশেষে পলায়ন।সেলপি তুলেও বাইডেন থেকে রক্ষা পাওয়া গেল না।ট্রাম্পে ফিরে আসার প্রত্যাশা থাকলেও সেইটা এখন মরিচিকা। বিচার বাঞ্চালে বিএনপির উপর ভর করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনে থাকা হবে জামায়াতের পক্ষে। কারণ বিএনপিকে সাথে নিয়ে জামায়াতকে তাড়ানো সহজ। বিএনপি তাড়াতে জামায়াতকে সাথে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
আওয়ামীর এখন কাজ ইউনুস তাড়ানো। সেজন্য তাঁকে কষে গাল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাইডেনের ইউনুস গেলে ট্রাম্পের কেউ একজন আসবে। ট্রাম্পের লোক থাকতে না পারলে পাকিস্তানের কেউ একজন আসবে। পাকিস্তানের লোক থাকতে না পারলে নিরপেক্ষ কেউ আসবে। তারপর নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপি আসার কথা। কিন্তু এ হতচ্ছাড়াদেরকে তাড়ানো আবার মুশকিল হবে। সেজন্য জামায়াতকে নির্বাচনে জিতিয়ে আনার চিন্তা। কিন্তু এবার খেলাটা ঠিক জমছে না।
খেলার জন্য আওয়ামী লীগ আহবান করেছে বহুবার। শেষতক নাহিদের পঁচা শামুকে পা কাটলো তাদের। বুড়ো ইউনুস তাদেরকে চুবাচ্ছে আর উঠাচ্ছে। বহু আন্দোলনের ফাঁক গলে বুড়োটা শুধু বেরিয়ে যাচ্ছে। শেষমেস পদত্যাগের কথা বলে সব ষড়যন্ত্র ঘুটে দিল বুড়োটা। সেজন্যই মহাখেদে তাঁকে বাটপার বলা হচ্ছে। অথচ এ ইউনুসকে ঘাটাতে গিয়েই জনগণ তাদের উপর মহাবিরক্ত।
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুছ নিপাট ভদ্রলোক।তার গায়ে যতই কালি লাগানো হয় নিমিশে সব কালি উদাও হয়ে যায়। ইউনুসের গায়ে কালিমাখানো মিশনে সোনাগাজী অবশেষে রসাতলে গেলেন। মহাপরিশ্রমের পর তাঁর পাশে শুধু রানুকে পাওয়া গেল। তাঁর সমাজতন্ত্রকে কোন মন্ত্রে জীবিত করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে ফুটো থাকা সমাজতন্ত্রের বলে যত হাওয়া দেওয়া হয় তত সে হাওয়া বলের ফুটো দিয়ে বেরিয়ে যায়।
খেলতে খেলতে বিএনপি এখন ঘর্মাক্ত। আত্মঘাতি গোল খায় কিনা সেটাও এক চিন্তা। এবারের মত ক্ষমতার আশা জামায়াত আগে কখনো করেনি। এনসিপিও ক্ষমতা চায়। ফিরে আসার জন্য আওয়ামী লীগও ফাঁক-ফোঁকর খুঁজছে। কিন্তু বুড়োটা দেশের জন্য কিছু একটা করতে চায়। নোবেলের পর সেইটা করতে পারলে তাঁর সাফল্যের ষোল কলা পূর্ণ হয়। শুনা যাচ্ছে মোহাম্মদ ইউনুস সুদ খায়। দেশের আর সবাই ভাত খায়। বেকুবের মত কথা বললে কে শুনে? গেল গেল যতই বলে জনগণ তা’ শুনে না। কারণ বলদদের কথা শুনার কার দায় পড়েছে? সবাই এখন রাতে ঘুমিয়ে সকালে উঠে যার যার কাজে ব্যস্ত থাকে। রেজওয়ানা অন্তত মমতাজের চেয়ে অনেক ভালো। কোন মুখে কে কি বলে সে অনুযায়ী জনগণ তাদের কথা মূল্যায়ন করে।
ভোলা লক্ষ্মীপুর সেতুটা হোক। নিস্তেজ দেশটা এখনো বেঁচে আছে সেটাইবা কম কিসে? ডক্টর ইউনুসের বিরুদ্ধে যারা বলে তারা কি ভালো মানুষ? উত্তর ‘না’ হলে তাদের কথা শুনার দরকার কি? ভুতের মুখে রাম নাম কি রাম ভক্তরা শুনতে চায়? সব তো চেনা মুখ। তারা দুধ বললে জনগণ মুত শুনে কেন? তাদের গালের দোষ নাকি জনতার কানের দোষ? মাত্রতো ছয়মাস বেশী সময় চাচ্ছে সংস্কারের জন্য। বিএনপি তাতে আপত্তি না করলেও পারে। কারণ জনগণ তাদের প্রতি বিরক্ত হলে তাদের কপাল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তারপর কোন রকমে আপা ফিরতে পারলে ভাইদের কি অবস্থা হয় বলা মুশকিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



