
সোনাগাজী হাসিনা বিতাড়নের পুরো ক্রেডিট আমিরিকাকে দিচ্ছে। হাসিনা বিরোধী গণরোষের বিষয়টি তাহলে কি? আমেরিকা গণরোষকে কাজে লাগিয়েছে বলে গণরোষের কি কোন মূল্য নাই? কানা দাজ্জালের মত সোনাগাজী একটা দেখে তো আরেকটা দেখে না। হাসিনা বিরোধীর একটা পক্ষকে রাস্তায় নামতে আমেরিকা হেল্প করেছে। সেটি ছিল একটি ছোট পক্ষ। যার প্রধান ছিলেন ডক্টর ইউনুস। সম্ভবত তিনিও রাস্তার খরচা দিয়েছেন। তারপর আগে থেকে রাস্তায় নামতে প্রস্তত থাকা জনগণ রাস্তায় নেমে হাসিনাকে তাড়িয়েছে। সেই জনগণের মধ্যে হাসিনা বিরোধী সকল পক্ষ ছিল। আমেরিকা যা করেছে সেটার ক্রেডিট তারা পেতেই পারে। তাই বলে সোনাগাজী অন্যদের ক্রেডিট তামাদি করবেন এটা হতে পারে না।
শেখ হাসিনা আমেরিকা বিষয়ে কি বলেছেন সেটা সবাই জানে। আমেরিকা কি জিনিস তারা সেটা তাঁকে দেখিয়েছে। এখন আমেরিকার সাথে যারা শরিক ছিল তারা সবাই ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। শেখ হাসিনার পর বাংলাদেশের ক্ষমতা আমেরিকার দরকার নাই। তারা যা চায় যে পক্ষের নিকট থেকে তারা তা’ পাবে তারা সেই পক্ষে থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে জনতাও একটা পক্ষ। সোনাগাজী সেই পক্ষকে বরাবর অস্বীকার করে চলছে। যারাই মারুক রাস্তায় যারা নেমেছে তাদের অনেকে মারা পড়েছে। তাদের রাস্তায় নামার কারণ কি? তাদের রাস্তায় নামার কারণ হাসিনার প্রতি ক্রোধ। জনরোষকে সামাল দিতে না পারায় হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। আমেরিকার যোগ্যতা তারা জনরোষকে কাজে লাগাতে পেরেছে। রাস্তায় নামা জনগণ তাদের কাজকে বিপ্লব বলছে। সো্নাগাজী সেটাকে ক্যূ বলে জনতাকে অসম্মান করছে। সোনাগাজী জনতাকে ভেড়ার পাল এবং আমেরিকার ভাড়াটিয়াদেরকে নেকড়ে বলছে। এসব মূলত কোন দরকারী কথা নয়। এসব কথার কারণে সোনাগাজীর প্রতি জনতার ক্রোধ বাড়ছে।
যারাই ঘটনা ঘটাক ঘটনা যে ঘটেছে এটা সত্য। এরপর চলমান ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয় সেটা হলো আসল দেখার বিষয়। আপাতত জাতি শেখ হাসিনার পক্ষে আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু জাতিকে টিকে থাকতে হবে। তার জন্য ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্ব ঠিক আছে। এরপর বিএনপির ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা ও অন্য পক্ষের তাদেরকে ঠেঁকানোর চেষ্টা পরিলক্ষিত। এ ক্ষেত্রে সোনাগাজী কোন সোনার কথা বলে সেটা বোধগম্য নয়। আমেরিকা অনেক কিছু করেছে সামনে আরো করবে তাদের অভ্যাসটাই সেরকম। আমাদেরকেও সাধ্যমত আমাদের কাজ করতে হবে। সোনাগাজীর কথায় জনগণকি শেখ হাসিনাকে কোলে করে আবার ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে? সোনাগাজীর কথায় মনে হচ্ছে দেশে হাসিনা বিরোধী কেউ নাই। একলা আমেরিকা তাকে তাড়িয়েছে। এসব কথা পাবলিক খায় না। এখন ভারত চায় হাসিনাকে আবার মসনদে বসাতে। তারা সক্ষম হবে না আমি সেটা বলি না। কারণ রাজনীতিতে কখন কি হয় বলা যায় না। তবে হাসিনা বিরোধীরা ঘুমিয়ে পড়েনি এটা হাসিনার জন্য সমস্যা। আসল কথা ঘটনা এখনো শেষ না হয়ে চলমান রয়েছে। তারমানে প্রেজেন্ট পারফেক্ট কনটিনিউয়াস টেনস।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ১:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



