
ষোল বছর ধরে আওয়ামী লীগ জামায়াত নির্মূলের কার্যক্রম পরিচালনার পর জামায়াত নিষিদ্ধ করার চার দিনের মাথায় আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পলায়ন করলো। দেশে যে আওয়ামী লীগ আছে তারা মড়ার মত পড়ে আছে যেন জামায়াতের ভালুক তাদেরকে মড়া ভেবে ছেড়ে যায়। অবশেষে নয় মাসের মাথায় উল্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো। এ ক্ষেত্রে জামায়াত সমর্থিত সরকার বহাল তবিয়তে টিকে আছে।জামায়াত নির্মূলের কার্যক্রম পরিচালনার সময় তাদের একজনকে জিজ্ঞাস করলাম আপনাদের নির্মূলের খবর কি? তিনি বললেন, আমাদের মূল আরো শক্ত হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে জামায়াতের পাল্টা আঘাতের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে সেই লোকের কথা সঠিক ছিল।
শেখ হাসিনার কথা অনুযায়ী পিনাকী ভট্টাচার্য হলো জামায়াত। তাহলে কতিপয় নিরিহ মোল্লা-মুন্সি ধরে ঠেঙ্গানি দিলে কি আর জামায়াত নির্মূল হয়? তাদের নেতাদের মেরে ফেলার পর তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা বলল আমাদের সবাই নেতা। সুতরাং কতিপয় নেতা মারাতে আমাদের কিচ্ছু হবে না। গোলাম আযম-সাঈদী তো নাই। তাহলে কার তাড়া খেয়ে হাসিনা পলায়ন করলেন? জামায়াতের লোক বাইডেনের পর ট্রাম্পও কি জামায়াতের লোক? যেহেতু তিনি সৌদি আরব গিয়ে ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে ফিরলেন তাতে তাঁকেও জামায়াত বলা যেতেই পারে। ক’দিন পর মোদীও জামায়াত আখ্যা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কে যে কখন জামায়াত হয়ে যায় বলা মুশকিল। আওয়ামী লীগ অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা মারে এক জায়গায় তাদের আঘাত গিয়ে লাগে আরেক জায়গায়। সেজন্য তাদের শত্রু নির্মূল না হয়ে তাদের মূল আরো শক্ত হয়। এদিকে ইহুদী বলল, গাজার শিশুরা হচ্ছে তাদের শত্রু। সারা বিশ্বের মুসলিম কি তাদের মিত্র? মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন পূর্ব দিকের মুসলিমরা তাদেরকে শেষ করবে। সেজন্য তারা ভারতের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেছে। কিন্তু ইহুদীর মিত্র হয়ে ভারত উল্টা বিপদে পড়বে। আওয়ামী লীগ আবার ইহুদীর শত্রু ভারতের মিত্র। সেজন্য ভারতের সাথে আওয়ামী লীগের মিত্রতা জোরালো থাকবে না। আওয়ামী লীগ তাদের নেতৃত্ব হিন্দুদের হাতে ছেড়ে দিয়ে ভারতের মিত্রতা শক্ত করার চেষ্টা করতে পারে।তবে আওয়ামী লীগ হিন্দুদের হাতে নেতৃত্ব ছাড়লে মুসলিমরা আবার তাদেরকে ছেড়ে যাবে।শিবির বিতাড়নের পর দেখা গেল শিবির আসলে ছাত্র লীগ। তারমানে তারা লীগের ঘরে ঢুকে বসে ছিল। আদালতের অবস্থা এখন কি? তারা মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জামায়াত নেতাকে ছেড়ে দিল। তো সবই যদি জামায়াত হয় তাহলে এতবছর আওয়ামী লীগ কি করলো?
এখন জামায়ত বলছে তাদের কর্মী আটকোটি। গ্রামের অনেককে আমি জিজ্ঞাস করেছি তোমরা নাকি এখন জামায়াত, ঘটনা কি সত্য? তারা বলল, ঘটনা সত্য। জামায়াত তবে বিলম্বে নির্বাচন কেন চায়? বিএনপিকে পঁচানোর জন্য তাদের কিছু সময় প্রয়োজন, সেজন্য তারা বিলম্বে নির্বাচন চায়। আর বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায় পঁচে যাওয়ার পূর্বে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য। ডক্টর ইউনুসকে সময় দিতে চায় জামায়াত এবং সময় দিতে চায় না বিএনপি সেজন্য তিনি এখন জামায়াত ভালোবাসেন। আওয়ামী লীগ ডক্টর ইউনুসকে সুদখোর বলায় তিনি তাদেরকে ভালোবাসার কথা নয়। দিশেহারা আওয়াশী লীগ ডক্টর ইউনুসকে কষে গালাগাল দিচ্ছে, কিন্তু এতে তাদের কোন লাভ হচ্ছে কিনা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। আওয়ামী লীগের এখন ভারত-আমেরিকা নেই। সেনাপ্রধান বিষয়টা বুঝেন। সেজন্য তাঁর আওয়ামী লীগের উপকারের ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই মনে হচ্ছে। রানু বলছে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াবে। শেষমেস রানুর কথার অপেক্ষা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



