somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহর সুন্নাত না মেনে মুসলিম একদলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না

০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

* আল্লাহর অভিন্ন পথে ঐক্যবদ্ধ থাকতে আল্লাহর সুন্নতের অনুসরন লাগবে। এটি আল্লাহর কিতাব ও এর বিবরণ হাদিস দিয়ে হবে না। কারণ আল্লাহর সুন্নাতে পরিবর্তন ও ব্যতিক্রম নাই কিন্তু আল্লাহর কিতাব ও এর বিবরণ হাদিসে মানসুখ থাকায় আল্লাহর কিতাব ও এর বিবরণ হাদিসে পরিবর্তন ও ব্যতিক্রম আছে। তাহলে আল্লাহর সুন্নাত কোথায় পাওয়া যাবে? আল্লাহর সুন্নাত আল্লাহর কিতাব ও এর বিবরণ হাদিসেই পাওয়া্ যাবে তবে এর জন্য আল্লাহর কিতাব ও এর বিবরণ হাদিসের গভীর জ্ঞান লাগবে। আর আল্লাহর কিতাব ও এর বিবরণ হাদিসের গভীর জ্ঞান পেতে লাগবে হিকমাত।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০১। আর তাদের মধ্যে কিছু লোক বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালে কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন।

* আল্লাহর কিতাব গঠিত হিকমাত আল্লাহর সুন্নাত বিধায় আল্লাহ হিকমাত দিয়ে তাঁর পথে ডাকতে আদেশ করেছেন।হিকমাতে আল্লাহ প্রচুর কল্যাণ থাকার কথা বলেছেন। পূর্ব যুগে হযরত লোকমান (আ.) হিকমাত প্রাপ্ত ছিলেন। রাসূল (সা.) তাঁর সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) হিকমাত শিক্ষা দান করেছেন। হিকমাত হলো দুনিয়ার কল্যাণের হিকমাত ও আখেরাতের কল্যাণের হিকমাত।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সহিহ আল বোখারী, ২৮৮৯ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৮৮৯। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যাকে কল্যাণ দানের ইচ্ছা করেন, তাঁকে তিনি দীন সম্পর্কে ফিকাহ (গভির জ্ঞান) দান করেন। আল্লাহ প্রদানকারী আর আমি বন্টনকারী। আমার এ উম্মত তাদের বিরোধীদের উপর চিরদিন বিজয়ী হবে। এ অবস্থায় আল্লাহর চূড়ান্ত সমাধান এসে যাবে।

* পরকালিন কল্যাণের হিকমাত হলো ফিকাহ।ইহকালিন কল্যাণের হিকমাত হলো শাসন ক্ষমতা অর্জন ও ধরে রাখার হিকমাত এবং জীবনকে সহজ করার প্রযুক্তি সংক্রান্ত হিকমাত।আদি পিতা-মাতা চাষ ও বস্ত্রতৈরীর প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন।পরে তাঁদের সন্তানেরা এ বিষয়ে প্রচুর উন্নতি করেছে।এখন আত্মরক্ষার অস্ত্র প্রযুক্তিও খুব জরুরী। এ দিকে থেকে পাকিস্তান বেশী উন্নতি করেছে তারা হানাফী ফিকাহের অনুসারী।তারমানে হানাফীদের নিকট ইহকালিন ও পরকালিন উভয় হিকমাত রয়েছে।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ মানুষের প্রতি কোন অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা’ নিবারণকারী নেই। আর তিনি নিবারন করলে কেউ উহার উম্মুক্তকারী নেই।তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।

* সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ফিকাহ জানতেন কিন্তু তাঁরা এটা সংকলন করেননি।হযরত ওসমান (রা.) কোরআন সংকলন করলেও ফিকাহ সংকলন করেননি।তাঁর পূর্বের দুই খলিফা কোরআন ও ফিকাহ কোন সংকলন করেননি। চতুর্থ খলিফা ফিকাহ সংকলন করেননি।প্রথম খলিফার স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও পরের তিন খলিফার স্বাভাবিক মৃত্যূ হয়নি।প্রথম খলিফার স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও তৃতীয় খলিফার হত্যার অপরাধে জনগণ তাঁর পুত্রকে হত্যা করে।প্রখম খলিফার নাতি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে (রা.) যুবায়েরকে (রা.) হাজ্জাজের লোকেরা হত্যা করে তাঁর লাশ রাজপথে ঝুলিয়ে রাখে। তাঁর জামাতা হযরত যুবায়ের ইবনে আওয়াম (রা.) চতুর্থ খলিফার সাথে যুদ্ধে নিহত হন। তাঁর কন্যা আয়েশা (রা.) উম্মুল মুমিনিন বিধায় জানে বেঁচে গেছেন। চতুর্থ খলিফার পুত্র হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) মাথা কেটে ইয়াজিদের লোকেরা তাকে উপহার হিসাবে পাঠায়।হযরত মুয়াবিয়ার (রা.)স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও তাঁর কুলাঙ্গার পুত্রের কারণে তাঁর নাম-কাম ডুবে যায়। এখন একদল বলছে তিনি কাফের, একদল বলছে তিনি মোনাফেক, একদল বলছে তিনি সাহাবী। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ফিকাহ সংকলন না করায় আল্লাহ তাঁদের থেকে তাঁর অনুগ্রহ নিবারণ করেন।অবশেষে ফিকাহ সংকলনের অভাব জনিত কারণে ঈমান পৃথিবী ছেড়ে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায় এবং তাতে ইসলাম বিনষ্ট হয়। একশত বার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ সংকলন করলে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসে।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

* রাসূলের (সা.) চাচা হযরত আব্বাসের (রা.) বংশধর সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা হারুনুর রশিদ ওলামা পরিষদের মাধ্যমে ইমাম আবু হানিফার (র.) ফিকাহ পরিশোধন করে হানাফী মাযহাব নামে অনুমোদ করলে আল্লাহ মুসলিমদের জন্য তাঁর অনুগ্রহ অবারিত করেছেন। তখন থেকে ইসলামের স্বর্ণ যুগ শুরু হয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য হানাফী মাযহাবের সাথে বেয়াদবী করায় পরাক্রমের ক্ষেত্রে আল্লাহ তাদের থেকে তাঁর অনুগ্রহ নিরাবরণ করেন। আমেরিকা-ইসরায়েল একসময় মক্কা-মদীনা ছাড়া সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য দখল করে ফেলবে। তারপর হিন্দুস্থানের যুদ্ধে হানাফীরা জয়ী হয়ে আমেরিকা-ইসরায়েল থেকে মধ্যপ্রাচ্য উদ্ধার করবে। তারপর আবার ইসলামের স্বর্ণযুগ শুরু হবে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১।প্রশংসা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর, যিনি বার্তাবাহক করেন মালাইকাকে (ফেরেশতা) যারা দুই-দুই, তিন-তিন অথবা চার-চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি তাঁর সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

* আল্লাহর সুন্নাত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা না থাকায় সাহাবায়ে কেরামের প্রতি আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহ নিবারণ করেন। সেজন্য আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাঁরা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত না হলেও তাঁদের ক্ষেত্রে আল্লাহ সেরকম ইচ্ছা করেননি।ফলে তাঁরা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়ে হাজারে হাজারে নিহত হয়েছেন।কারবালায় আল্লাহ পাঁচ হাজার ফেরেশতা পাঠিয়ে দিলে ইয়াজিদ পক্ষের হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) মাথা কাটা সম্ভব হত না। কিন্তু সাহাবায়ে কেরামের শেষ ইমামের পক্ষে আল্লাহ ফেরেশতা পাঠাননি। কারণ তিনিও আল্লাহর সুন্নাত ফিকাহ সংকলনের চেষ্টা করেননি। তিনি ফিকাহ সংকলন করলে শিয়া গুষ্ঠির ইবাদতের নিয়ম অন্তত এক রকম থাকতো।এরপর আল্লাহ নিজে ইমাম আবু হানিফাকে (রা.) দিদার প্রদান করে তাঁর সুন্নাত প্রতিষ্টার ব্যবস্থা করলেও অভিশপ্ত মধ্যপ্রাচ্য এর বিরোধীতায় লিপ্ত। ফলে ইহুদী তাদেরকে গরম তেলে ভাজলেও শেষতক তাদের কিছুই করার থাকছে না। ইহুদীর বিরুদ্ধে শিয়া গুষ্ঠির প্রতিরোধ কতকাল চলবে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। তাদের প্রতিরোধের দেয়াল ভেঙ্গে পড়লেই ইহুদী মধ্যপ্রাচ্য গিলে খাবে। হিন্দুস্থানে হানাফীরা হিন্দুর সাথে নিজেদের লেজ সামলাতে ব্যস্ত। হিন্দুর সাথে জয়ী হওয়ার আগে তারা মধ্যপ্রাচ্যে ধাবিত হতে সক্ষম হবে না।ফলে শিয়া প্রতিরোধ শেষ হলেই মধ্যপ্রাচ্য ইহুদীর পেটে চলে যাবে।তবে অবশেষে মধ্যপ্রাচ্য ইহুদীর পেটে বদ হজম হবে আল্লাহর সুন্নাতের অনুসারী হানাফির কারণে।তার আগে আল্লাহ হানাফী বিরোধী মধ্যপ্রাচ্যবাসীকে খানিকটা শাস্তি দিয়ে নিবেন। কারণ তাদের হানাফী বিরোধীতা মুসলিমদের কোন বিশ্ব আমির অনুমোদন করেননি। তথাপি তারা হানাফী বিরোধীতা করে আল্লাহকে বিরক্ত করছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×