
সব দলের অংশগ্রহণে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আগে দিন। কোন দলকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে কি করেনি সেইটাও জাতিকে দেখতে দিন। পিআর পদ্ধতির জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষে জাতীয় সংবিধান সংশোধন করে নিম্নকক্ষের নির্বাচন দিন।আওয়ামী লীগ নিজেদের করা নির্বাচনে বার বার প্রমাণ করলো তারা বাঘ এবং আর সবাই নেংটি ইঁদুর।কিন্তু ছাত্রদের তাড়া খেয়ে গর্তে ঢুকে গেল সব বাঘ।আর মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সব নেংটি ইঁদুর, বিষয়টা কি হলো?
এখন বিএনপি বলছে তারা বাঘ। জামায়াত জোট ও এনসিপিও বলছে তারা বাঘ। আওয়ামী লীগও বলছে আসলে তারাই বাঘ। হঠাৎ নেংটি ইঁদুরের ঝাঁক দেখে তারা খানিকটা ভয় পেয়েছে আর কি! আসেলে ঘটনা কি সেইটা জাতি জানতে চায়।পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন হয়ে গেলে খোলাসা হয়ে যাবে কে বাঘ আর কে বিড়াল?
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আগে হলে দল সমূহের ভোটের অবস্থা বুঝা যাবে। আর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিয়ে দল সমূহ জাতীয় সংসদের নিম্ন কক্ষে নির্বাচনের ছক কষতে পারবে। এতে নিম্ন কক্ষের নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা কম হয়ে হইচই কম হতে পারে।
কোন দল দোষ করে থাকলে সেই বিচার জনগণকে করতে দেওয়া উচিত। কতিপয় কোন দলের বিচার করলে সেইটা গ্রহণযোগ্য হবে না।তাতে বিশৃঙ্খলা না কমে বেড়ে যাবে। আমাদের মত বিশাল জনসংখ্যার দেশে বিশৃঙ্খলা কোন মতে কাম্য হতে পারে না।কারণ বিশৃঙ্খলা হলে বিনিয়োগ হবে না। বিনিয়োগ না হলে বেকারত্ব দূর হবে না।
লোকে মিছিল করে- মানি না মানি না, কি মানে না জিজ্ঞাস করলে বলে, জানি না জানি না।এমন বেকুবের দেশে সবার আগে শৃঙ্খলা প্রয়োজন। আর শৃঙ্খলার জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ বহু বছর সেটা করতে পারেনি। এখন তারা কারো তাড়া খেয়ে পালিয়ে গেলে সেটা কার দোষ?কেউ যায় দিল্লি, কেউ থাকে লন্ডন। বিদেশ থেকে এক বুড়ো এসে গদিতে আরামে বসলেও প্রতি নিয়ত তাঁর শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে। সবাই বলছে আমাদের দাবী মানতে হবে। বুড়ো সব শুনছে। তবে কি করবে বুঝতে পারছে না। এত্ত লোকের এত্ত দাবী, ওরে বাপরে বাপ! বুড়োটা এখনো পাগল হয়ে যায়নি সেটা্ও বড় কথা। বুড়োটা শান্তিতেই ছিল। তাঁর শান্তি যে বুড়ি নষ্ট করেছে তাঁকে তাড়াতে গিয়েই কেলেংকারি কান্ড ঘটেছে।
খালেদা জিয়া সুস্থ্য হয়ে আরেক বার প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে তাঁর শেষ ইচ্ছাটা পূরণ হতো। তিনি রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছেন না, তাতেই মনে হয় তাঁর মন থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা যায় নাই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি থেকে অবসর নিলে ভালো হতো। কিন্তু অভাগা দেশের জন্য কাজ করার ইচ্ছা তিনিও মন থেকে দূর করতে পারেননি। দু্ই মহান নেত্রীর ভার বহন করতে গিয়ে জাতি আজ ক্লান্ত। জামায়াত এক খুনখুনে বুড়ো সাথে নিয়ে হাজির হয়েছে। বুড়োটাতো স্টেজেই অজ্ঞান হয়ে যায়। তথাপি তাঁর শেষ বয়সে একবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা। এ দিকে বিভিন্ন দলের পরস্পর গালাগালি কানে তোলার মত নয়। যাক অন্তত এক দিক দিয়ে এ জাতি অনেক এগিয়ে। হতাশ জাতির উন্নতির কোন আশা নাই। বিশৃঙ্খলা কতটা বাড়ে সেটাই এখন দেখার বিষয়। সেই বিশৃঙ্খলার কিছুটা উপশম হতে পারে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আগে করলে। সেই জন্যই কথাটা বললাম আর কি!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


