somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সফটওয়্যার ও প্রাণ এবং আল্লাহর উপাসনা

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আল্লাহ বলেছেন, ‘কুলির রুহু মিন আমরিল্লাহ- বল রুহ আল্লাহর আমর বা আদেশ’। আমর বা আদেশ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, ‘ ফাইযা আমরুহু ইযা আরাদা শাইয়াঁও আঁইয়াকুলা লাহু কুন ফাইয়াকুন- তাঁর আমর বা আদেশ বা কাজ হলো এমন যখন তিনি কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন তখন তিনি উহাকে বলেন হও অতঃপর উহা হয়ে যায়’।তারমানে হও তিনি উহাকে বলেন। তার মানে হও বলার আগে উহার সব লিমিট শেষ হয়ে উহা হওয়ার যোগ্য হওয়ার পর আল্লাহ উহাকে হও বলেন।এখানে লিমিট মোটেও অনুপস্থিত নয়। হও মানে ডান কমান্ড প্রদান করেন প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামার সফট ওয়্যারের যাবতীয় লিমিট প্রদান করেন। তিনি উহাকে যেমন হওয়া কামনা করেন তেমন লিমিট প্রদান করেন। এর একটা নামও তিনি দিয়ে দেন। তারপর তিনি ডান বা হও কমান্ড দিলে সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম হয়ে যায়।মানব দেহের প্রাণ হলো এর সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম। হার্ডওয়্যার সচল হতে বা সচল থাকতে সফটওয়্যার লাগে।মানব দেহের যেটা রুহ সেটাও মূলত সফটওয়্যার যা এটা সচল হতে ও সচল থাকতে কাজে লাগে। যেহেতু রুহের বিভিন্ন লিমিট রয়েছে সেহেতু এটা বোধগম্য যে রুহের লিমিট সমূহ প্রদানের পর আল্লাহ একে হও বলার পর এটা হয়েছে।সংগত কারণে এতেও পদ্ধতি বা সিস্টেম বিদ্যমান এটা অদ্ভুত জাতীয় কিছু নয়। আর এখন আল্লাহর খলিফা বা রিপ্রেজেন্টিটিভ বা প্রতিনিধি হিসেবে মানুষ সফটওয়্যার তৈরী করতে পারছে। তবে তারা এখনো রুহ তৈরী করতে পারছেনা। রুহ বিভিন্ন রকম রয়েছে কোনটা সচল কারক রুহ আর কোন রুহ এর মধ্যে সচল করার গুণ নেই। এগুলো শুধুমাত্র এদের দেহকে টিকিয়ে রাখতে পারে। এ ধরনের রুহ এর মধ্যে রয়েছে পাথরের রুহ।আর সচল করার গুণসম্পন্ন রুহের মধ্যে রয়েছে মানুষের রুহ। তারমানে আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্টির মাঝেই এটা টিকে থাকা ও এক সময় শেষ হওয়ারমত সফটওয়্যার দিয়ে রেখেছেন। এ রুহের মধ্যে কিছু আছে অভিভাজ্য আর কিছু আছে বিভাজ্য।অবিভাজ্য রুহের কিছু অংশ মূল অংশ থেকে আলাদা হলে আলাদা অংশের বিলুপ্তি ঘটে।তবে বিভাজ্য রুহ এর দেহের সব অংশে সমভাবে বিরাজ করে। কাজেই এর কোন অংশ কোন অংশ থেকে আলাদা হলেও সব অংশেই এর রুহ কার্যকর থাকে। আল্লাহর কথার ভিত্তিতে এসব আমার উপলব্ধিগত জ্ঞান। যদিও এটাকে লব্ধজ্ঞানে পরিণত করতে আমার আরো সময় লাগবে।

আল্লাহর সৃষ্টি রুহ ও মানুষের তৈরী সফটওয়্যারের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো, রুহ চলে গেলে দেহ আর টিকে থাকেনা। তখন দেহও বিলুপ্তির পথ ধরে। কিন্তু মানুষের তৈরী সফটওয়্যার না থাকলেও হার্ডওয়ার মোটামুটি টিকে থাকে।সম্ভবত মানুষ আল্লাহর তৈরী রুহের মত কোন সফটওয়্যার তৈরী করতে সক্ষম হবে না। তবে মানুষ যা করেছে তাও কম অবাক করার মত নয়। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে মানুষ আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষের উপাসনা শুরু করেছে।অথচ মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি ছাড়া কিছুই তৈরী করতে পারে না। কাজেই মানুষের বুঝা উচিৎ তার মানুষ নয় বরং আল্লাহর উপাসনা করা উচিৎ।

মানুষ যা করেছে তা মোটেও কম কিছু করেনি। কিন্তু যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তিনি মানুষ থেকে কম হন কেমন করে? আল্লাহ যদি মানুষ সৃষ্টি না করতেন তবে এমন অবাক করার মত কাজ কেমন করে হতো? মানুষ যখন ছিলনা সে সময়কার ইতিহাস তো মানুষ এখন বলছে।তখনতো এমন কিছু ছিলনা। মানুষের সাথে যখন অবাক করার মত কিছু ঘটল তখন মানুষের সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যায় কেমন করে? সংগত কারণে মানুষের উচিৎ মানুষ বা অন্যকারো নয় বরং তার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপাসনা করা। নতুবা সে আল্লাহর বিচারে অপরাধী সাব্যস্ত হলে আর তার পক্ষে কি বলার থাকবে? কাজেই মানুষ কি করছে সে বিষয়ে তার ভাবনা থাকা দরকার।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×