somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপি কোন দিকে জামাআত থেকে পিছিয়ে ?

২৩ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিএনপি কোন দিকে জামাআত থেকে পিছিয়ে?
জামাআত ইসলাম কিভাবে রাষ্ট্র উন্নয়ন করবে তার একটা নমুনা বলি-
একজন মানুষের ৫ টা মৌলিক অধিকার থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা, চিকিৎসা, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছে জামাআত, জামাআত বাংলাদেশে ইবনে সিনার মত একটা ব্র‍্যান্ডেড হাসপাতাল তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে, যে হাসপাতাল এখন প্রায় সব জেলায় নিজেদের শাখা তৈরি করতেছে, এই হাসপাতালে অন্যতম কয়েকটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এখানে কোয়ালিটিতে তারা কোন কম্প্রোমাইজ করেনাই, বিশ্বের আধুনিক মানের মেশিনগুলি তারা ইমপোর্ট করতে পেরেছে, অন্যান্য কর্পোরেট হাসপাতালগুলির থেকে ভালো যন্ত্রাদি রাখার পরেও অন্য হাসপাতাল থেকে প্রায় ২৫-৩০% কম রেটে তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছে---
প্রতিদিন কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষ ইবনে সিনা থেকে সেবা পাচ্ছে, সেখানে কোন দলীয় বিবেচনা নাই৷ এই যে জামাআতের ব্রেইন চাইল্ড ইবনে সিনা ট্রাস্ট হাসপাতাল অঙ্গণে রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ দিয়ে যাচ্ছে, সেই রকম একটা ব্র‍্যান্ড কি আওয়ামিলীগ/বিএনপি বা অন্যান্য দল তৈরি করতে পেরেছে? তারা তো এসব নিয়ে কখনো চিন্তাই করেনি,
জামাআত সরকারি কোন ক্ষমতায় না থেকে যদি স্বাস্থ্য সেবায় এমন বিপ্লব ঘটাতে পারে, তাহলে তারা সরকারে আসলে পুরো রাষ্ট্র্বের স্বাস্থ্যসেবা কি পরিমান উন্নতি লাভ করতে পারে তা চিন্তা করে দেখুন, ৫ টা মৌলিক অধিকার এর মধ্যে একটা হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা, এই দিক ১০০% উন্নতি হওয়া মানে রাষ্ট্রের ২০% উন্নতি লাভ।
বিএনপি/আওয়ামিলীগ বা অন্যান্য দল আছে সারাক্ষণ রাজাকার ট্যাগের রাজনীতি করতে কিন্ত তারা এমন কোন উদ্যোগ এখনো নেয়নি, নেওয়ার মত মস্তিষ্ক সম্ভবত নাই-
জামাআতের শিক্ষানীতি :
জামাতের বাংলাদেশে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আপনি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রগুলি দেখবেন, কোন না কোন ভাবে শিবিরের সাথে ইনভলভ, নামাজী ছেলেটা দেখবেন কোন না কোন ভাবে শিবিরের সাথে ইনভলভ, আপনি ৫০ জন শিবির দেখলে তার মধ্যে একজনও গাঞ্জুটি পাবেন না, তারা পুরো দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে উন্নতি সাধন করেছে তা অন্য কারো পক্ষে কল্পনাও করা কঠিন।
HSC শেষ করে একটা ছাত্র হয়তো মেডিকেলে যায়, কিংবা ভার্সিটি, মেডিকেলে ভর্তির সবচেয়ে বড় কোচিং প্লাটফর্ম #রেটিনা, যা শিবিরের প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল শেষ করে Post graduation এর জন্য কেউ যদি গাইড লাইন খোঁজে, তখন #জেনেসিস এর সাথে তাদের পরিচয় ঘটে, সেটাও জামাতের প্রতিষ্ঠান, তার মানে বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম ডাক্তার কোন না কোন ভাবে জামাতের প্রতিষ্ঠান দ্বারা বেনিফিটেড। এই যে বিএনপি, আওয়ামিলীগ বা অন্যান্য দল এত কথা বলে, তারা কি রেটিনার অল্টারনেটিভ কিছু তৈরি করতে পেরেছে? কিংবা জেনেসিসের অল্টারনেটিভ কিছু?
তাই যারা জামাআতের প্রতিপক্ষ হিসাবে রাজনীতি করতে চায়, তাদের উচিৎ ফ্যাসিস্ট স্টাইলের কথাবার্তা ছেড়ে জামাআতের সাথে intellectual যুদ্ধে নামা, বিএনপির উচিৎ ইবনে সিনার মত একটা ব্র‍্যান্ড তৈরিতে মনোযোগী হওয়া, নাম না হয় আমিই ঠিক করে দিলাম #ইবনে_তাইমিয়া হাসপাতাল অথবা তারা নিজেরা কোন নাম দিতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর যুগে ৭১ এর বয়ান মানুষ খাবেনা, এই বিষয় টা বিএনপি যত দ্রুত বুঝতে পারবে, তারা তত দ্রুত রাজনীতির মাঠে উন্নতি করবে, এমনিতে ২০১০ এর পর যত শিক্ষিত যুবক আছে, তারা হয়তো ছাত্রলীগে যুক্ত হয়েছে ক্ষমতার নেশায়, কিংবা শিবিরে জয়েন করেছে Intellectual development এর আশায়, ২০১০ এর পর বিএনপিতে খুব একটা মেধাবীদের প্রবেশ ঘটে নাই, বিএনপি যদি Intellectual কোন পলিটিকাল ন্যারেটিভ দাঁড় করাতে না পারে, তাহলে আগামী ১০ বছরে বিএনপি ভ্যানিশ হয়ে যাবে।
AI এর যুগে মানুষ কিছুদিন পর সবকিছু AI কে জিজ্ঞাসা করে সিদ্ধান্ত নিবে, AI তথ্য কালেকশন করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে, এইদিকে জামাআত খুবই এডভান্স, তারা তাদের ছোট বড় সব সামাজিক কাজকর্ম ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ রাখে। তাই এইসব বিবেচনায় বিএনপিকে আরো স্মার্টলি কাজ করতে হবে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন যে কোন সরকার ই করে, কিছু ব্যতিক্রমী চিন্তা করতে হবে, যার দ্বারা সবাই বেনিফিটেড হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২৯
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×