একটা পুরোনো গল্প প্রতিদিন লিখতে বসি। সামনে টেবিল, তার উপর ল্যাপটপ। আমি সিগারেট খাই না। অনেক দূর- অনেক দূর পৌঁছে গিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি এখনও পড়ে আছি নিঃসীম শুরুতে।
যেদিন ভোরের আকাশে পাখির ডানায় উড়েছিলাম ব্লু নাইলের দেশে, গল্পটা আরও সপ্রতিভ গজিয়ে উঠতে থাকলো শেকড়বাকড় ও বাকলে। আহা, আজও প্রতি রাতে গল্পটার পেছনে প্রাণান্ত ধেয়ে ধেয়ে ঘেমে উঠি।
আমার পাঁচ বছরের শিশুও নিগূঢ় কাহিনিটা জানে- একটা পুরোনো গল্পের জন্য মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়ে, খেয়ে-না-খেয়ে, নেয়ে-না-নেয়ে, কতো কী যাতনায় মর্মে মর্মে মরি!
আমার স্ত্রীর একটা সুচারু অঙ্গুরি ছিল, তাও হায় কীভাবে হারিয়ে গেলো কে জানে! বড় ছেলেটা দিনরাত মুভি দেখে দেখে পড়ালেখায় ডাব্বু খাচ্ছে। লক্ষ্মী মেয়েটা জেএসসি পরীক্ষার তাড়নায় আমাকে উইশ করতেও ভুলে গেছে। অথচ ঘরের বার হলেই কতো না দুঃখ ছিল মেয়েটার!
গল্পটা জমতেই থাকে বুকের ভেতর; মগজের কন্দরে; পেটের ভেতর ফুলেফেঁপে গল্পটা বিশালকায় বিটপীর মতো ছড়ায় পরিণাহ। পুরোনো গল্পটা পুরোনো হতে হতে পুরোনো দিনের গানের মতো পুরোনো হতে থাকে- নিভৃত গোপনে
ওটা অনেক দিনের একটা পুরোনো ছোটোগল্প- শেষ হয়েও কখনো শেষ হবার নয়।
১৫ জুলাই ২০১০ ভোর ৫:৪৬
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৩