১
তিনি হারিয়ে যেতে ভালোবাসতেন, কিংবা দীর্ঘ জলডুবে
ঘুমিয়ে থাকতে; তারপর আকস্মিক জেগে উঠে
শুধাতেন, ‘এখন কি লেখেন না?’
অস্ফুট ‘না’তে রহস্যময় ভঙ্গিতে ওষ্ঠে ফোটাতেন স্মিতহাস্য।
‘লিখবেন। অন্তত আমার জন্য হলেও।’ বলতে বলতে ক্রমশ
হয়ে উঠতেন অদৃশ্যমান, এবং এক ফুৎকারে উধাও হয়ে গেলে
কয়েক টুকরো শব্দ বাতাসে ভেসে বেড়াতো আমার চারপাশে।
তিনি জানেন, আমি লিখি।
আমি জানি, তিনি তা পড়েন না।
তিনি জানেন, আমার একটা আরাধনা ছিল।
আমি জানি, লুকোচুরি তাঁর প্রিয় খেলা।
আমরা দুজনই জানি– আমাদের কোনো গন্তব্য নেই, ছিল না।
এ করেই প্রতিদিন ঘটে যৎসামান্য লেখার সূচনা।
২
আমি সরে যেতে চাই নি কোনোদিন,
তুমিই নিভৃতে নীরবে সরে গেলে
সবকিছু নিয়ে গেছো, যেতে যেতে পথের মর্মরে
সোনা ও ধুলোবালি সবই গেছো ফেলে
৩
নারীরা এসেছিল, দুঃখ দিয়ে চলে গেছে, একে একে।
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
৩০ নভেম্বর ২০১০
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৪