একবাটি সুখ
বর্ষণক্লান্ত একটা ফুল
নিভে যেতে যেতে অতলে ডুবে যায় ঘ্রাণ।
তোমার দু চোখে পাহাড়ের সৌম্যতা,
দূরলীন ছায়াঢাকা লেলিহান হিংস্রতা।
একটা পরাজিত সিংহী মাটিতে পড়ে ছটফট করে কাঁদে
স্বপ্নভুক মানুষের বিকট উল্লাসে
রাতের নিগণ্ঠে খসে পড়ে থোকা থোকা অন্ধকার
খান খান ভেঙে যায় পাখিদের কামনা
তীব্র শিশিরগুচ্ছ রাতের জরায়ু ভেদ করে উঁকি দেয় ভোরের হৃদয়ে
তখনো আমি একবাটি সুখ হাতে ভেসে থাকি
আড়িয়াল বিলের কাকচক্ষু জলে
১২ অক্টোবর ২০১৪
কালপাখি
আমাদের কালপাখিটা ভয়ানক এক সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকা পড়ে ছটফট করছে। পাখা ঝাপটাচ্ছে।
সে মুক্তি চায়। আকাশে ডানা মেলে উড়ে যেতে চায় দিগন্ত থেকে দিগন্ত।
কিন্তু, সে জানে, কোনোদিন এ বন্দি খাঁচা থেকে তার মুক্তি হবে না। সে বেঁচে থাকবে,
কী মরে যাবে, that doesn't matter to any one of the world.
২৩ ডিসেম্বর ২০১৯
কবিতা
মেয়েটি কার জন্য কীজন্য কবিতা লিখতো, জানি না
কিন্তু আমার মনে হতো, ওর কবিতা লেখার কী দরকার
ও নিজেই একটা কবিতা
২১ ডিসেম্বর ২০১৯
কবিতারা
কিছু পাখি মাথা ছুঁয়ে উড়ে যাবে, কিছু তোমার হাতে এসে বসবে
সব ফুলে গন্ধ থাকে না, সব ফুল সুন্দর নয়, যদিও এর নাম ফুল
সবপাখি ছুঁতে চেয়ো না
তেমনি, গন্ধ শুঁকো না সব ফুলেরও
৮ অক্টোবর ২০১৮
একটা জ্বলন্ত মানচিত্র আমাকে কেবলই উদ্ভ্রান্ত করে
আমি পল্লীর মাটি থেকে উঠে এসেছি। আমার ভালো লাগে পল্লীর গান- ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি।
আমার গতরে কাদার গন্ধ। রোদে পুড়ে যাওয়া চামড়ায় ধান ও পাটের অনার্য ছায়ারা
মায়ার স্পর্শ মাখে।
আমার রক্তে গঙ্গারিডাই- পদ্মার ধারা; আমার দু চোখে আড়িয়াল বিল- অতীত ও আগামী।
আমার বক্ষে নূর হোসেনের গৌরব। আমাকে আন্দোলিত করে ১১ বালকের তীব্র জয়োল্লাস।
হায়রে সোনার দেশ, এখন দিনভর আমার চোখে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে মারার দগদগে স্মৃতি, আমাকে প্রকম্পিত
করে, আতঙ্কিত করে; একটা জ্বলন্ত মানচিত্র আমাকে কেবলই উদ্ভ্রান্ত করে প্রতিদিন।
১১ ডিসেম্বর ২০১২
ক্লু
কিছু তুমি বুঝবে, এবং রি-এক্ট করবে
কিছু তুমি বুঝবে না, এবং আরো অধিক রি-এক্ট করবে এই ভেবে যে, ওটাই পারমাণবিক বোমা
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১২