মূলত অপ্সরা তুমি- এ নামেই প্রথম তোমাকে চিনি
এরপর বাতাসের বর্ণের ভেতর মিশে যেতে থাকো অদ্ভুত বহুরূপিনী।
অপ্সরা থেকে কখন যে আকাশলীনা, কখন যে নীরা হয়ে যাও
কখনো জলপরী, কখনো বরুণা, কখনো-বা অচেনা
এক নামের আড়ালে নীরবে লুকাও;
কখনো-বা ইথারে মিলিয়ে যাও, মুছে ফেলে সমস্ত পদছাপ
কখনো-বা অদৃশ্য থেকে জেগে উঠে চুপচাপ
ছায়ার মতো উঁকি দিয়ে সহসাই আবার হারিয়ে যাও তোমার ভুবনে-
সে এক অলৌকিক খেলা, যা তুমি গোপনে সাজিয়েছ আপনার মনে।
কখনো-বা জোসনা-গলা রাত নামে তোমার বুক ও চোখ জুড়ে;
ঘুঘু ও শালিখের মুখরিত সঙ্গীত একলা দুপুরে
মূর্ছনা তোলে। আড্ডায় অসমাপ্ত গল্প রেখে দৌড়ে ছুটে আসি
তোমার মহলে- মুখ ফস্কে যদি বলে ফেলো – ‘এখনো ভালোবাসি।’
অজস্র নামের আড়ালে, অজস্র রূপ ও ছলে
কৈশোর থেকে তারুণ্যে, আমায় করেছ খুন ছোবলে ছোবলে।
বয়স বেড়েই চলে, তেমনি প্রগাঢ় হতে থাকে প্রেম নিভৃত গহনে;
অজান্তে, অবচেতনে ছুটে যায় মন- নিরুদ্দেশ, অন্ধ কাননে
কোনো এক রহস্যময়ী ছায়ার পেছনে-
যে আমাকে এখনো হাতছানি দেয় সতত সঙ্গোপনে।
অথচ আজও জানি না, তুমিও বলো নি, কোথায় আছো, কোন ঠিকানায়।
বলো পাখি, কী মধুর সুখ পাও এভাবে জ্বালিয়ে আমায়।
তুমি নেই; তবু মনে হয় নিশ্চিত আছো আমার চারপাশ ঘিরে
আমাকে ছুঁয়ে যাও, অলক্ষে পথ দেখাও আলোয় এবং তিমিরে।
আমার হবে না সেই সুখ। তবু আমি যেচে যাব সেই সত্তাকে-
নামের পেছনে লুকানো অপার্থিবা ‘পরম’ তোমাকে।
১২ ডিসেম্বর ২০১৬