somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওরা কীভাবে না কেঁদে পারে?!:-*

১৮ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পৃথিবীর যাবতীয় চিন্তা-ভাবনা বাদ দিয়ে আজকে সারাদিন একটা বিষয়ই ভাবছি, ওরা কীভাবে না কেঁদে পারে? উম, কাদের কথা বলছি বুঝেন নি? আচ্ছা দাঁড়ান, খোলাসা করেই বলি…

গিয়েছিলাম বিয়ে খেতে। বিয়ে খেতে গেলেই আমি সবার আগে দেখতে যাই নতুন বউকে। একটা মেয়ে কেমন লাল টুকটুকু শাড়ী পড়ে সবার মধ্য-মণি হয়ে লজ্জা লজ্জা করে বসে থাকে;), দেখতে কেমন যেন অদ্ভূত একটা ভাল লাগে। এই মেয়েটা নতুন একটা জীবন শুরু করতে যাচ্ছে। আজকে সে হাফ পরিপূর্ণ (মা হলে পুরা পরিপূর্ণ) মহিলা হয়ে যাবে; ছোটবেলায় যা মিছেমিছি বান্ধবীদের সাথে খেলতো, আজকের পর থেকে সে সত্যি সত্যি সংসার সংসার খেলবে…

পুতুল নিয়ে খেলার ব্যাপারে আব্বুম্মু ছোটবেলা থেকেই ভীষণ কড়া ছিলেন। /:)একবার খুব সম্ভব ক্লাস ফোরে অনেক কষ্টে টিফিনে যে দু'টাকা করে করে প্রতিদিন পেতাম আব্বু থেকে, সেই দু'টাকা জমিয়ে জমিয়ে গল্পের বই না কিনে একটা পুতুল কিনেছিলাম। পুতুলটাকে ব্যাটারী দিলে কেমন লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরপাক খেতো সারা ফ্লোরে। আমরা ভাইবোনরা সে-কী উত্তেজিত! বড়ভাইয়া পর্যন্ত না দেখার ভান করে আবার ঘাড় ঘুরায়ে দেখে। আর আমিতো সেই পুতুলের মালিকানায় গর্বে মাটিতে পা পরেনা! উত্তেজনায় আব্বু বাসায় এসে ঢুকেছেন খেয়াল করিনি; ব্যাস, পুতুলটাকে এক আছাড়ে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয়া হলো! :((

এর পরের বছর যখন ক্লাস ফাইভে আম্মু আমাকে স্কুল চেইঞ্জ করে মাদ্রাসায় নিয়ে যাচ্ছে, খুকুমনি ছিল আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড তখন, শেষের দিন দুই বান্ধবী গলা জড়াজড়ি করে কান্না করছি যখন, ও ব্যাগ খুলে ছোট একটা পুতুল বের করে দিলো। একটা বউ-পুতুল! লাল-টুকটুকে জড়ির কাজ করা শাড়ি পড়া, মাথায় ঘোমটা দেয়া! ব্যাগে লুকিয়ে বাসায় নিয়ে এলাম। আব্বুম্মু না দেখে মতো আমি আর ফারহানা দুপুরে সবাই ঘুমিয়ে গেলে পুতুলটা বের করে খেলি। আম্মুর সেলাই মেশিন থেকে সুঁই-সুতা আর কাপড়ের টুকরা চুরি করে ছোট ছোট বালিশ বানালাম, কাঁথা বানালাম। একদিন বিকেলে দিয়াশলাইয়ের খালি বক্স দিয়ে বিয়ের মঞ্চের মত ছোট একটা মঞ্চ বানিয়ে তার উপর পুতুলটাকে বসিয়ে দিয়ে কালার পেপার কেটে কেটে স্টেজের চারপাশে সাজানোর চেষ্টা করছি, কী নিয়ে যেন কাজের মেয়েটার সাথে ঝগড়া লেগে গেলোX(। ব্যাস, ও আমাদের সাথে বেঈমানী করে আম্মুকে গিয়ে বলে দিলো পুতুলটার কথা :( … তিনতলার বারান্দা থেকে কাঁদতে কাঁদতে দেখলাম আম্মু পুতুলটাকে বাসার পিছনের পরিত্যক্ত জায়গাটায়-যেখানে বড়রা ছাড়া ছোটরা দেয়াল টপকে যেতে পারেনা- ফেলে দিলেন। সেই বউ-পুতুলের দুঃখ ভুলতে অনেকদিন লেগেছিলো আমার। হতে পারে আসলে আদৌ ভুলিনি। নাহলে এতদিন পরে সেই বউ-পুতুলটার কথাইবা লিখছি কেনো?! /:)

সে যাই হোক, স্টেজে বউ দেখলেই আমার সেই বউ-পুতুলটার মত লাগে। ছোটবেলায় দেখতাম বউদের শাড়িতে জড়ির কাজ থাকতো। শাড়িগুলো হতো লালটুকটুকে ধরনের। একটু বড় হতে হতে দেখলাম বউ'র শাড়ি লালের চেয়ে গাঢ় মেরুন বা হালকা গোলাপী বেশী। বউ'র গায়ে টকটকে লাল শাড়ি না দেখলেই আমার মন খারাপ হয়ে যেতো। কারন তখন বউটাকে আর তেমন বউ বউ লাগতোনা। আরো বড় হতে হতে দেখলাম, বাপরে, মেরুন-গোলাপী তো দূরের কথা, বউরা বিয়ের দিন এখন হালকা নীল, হালকা সবুজ ইত্যাদি ইত্যাদি অন্যরকম সব রং'র শাড়ি পরে বসে থাকে। যে যাই বলুক, লাল না হলে আমার কাছে মোটেও বউ বউ লাগেনা। বউ হবে লাল টুকটুকে; নীল-টুকটুকে বা সবুজ-টুকটুকে বউ'র কথা কখনো কেউ শুনেছেন?! :|

আচ্ছা শাড়িতো গেলো, যে প্রসংগে কথা শুরু করেছিলাম; ছোটবেলায় দেখতাম বউ-টউ দেখে, স্টেজের দুই-চারটা ফুল ছিঁড়ে নিয়ে, বিয়ে খাওয়া দাওয়ার পর যখন হালকা ঘুম ঘুম আসছে, আম্মুকে জ্বালাতন শুরু করেছি 'আম্মু, হইছে তো! চলো বাসায় যাই' আর আম্মু দাবড় মারছে 'যাচ্ছিতো!'; ঐ সময়টাতেই হঠাৎ করে দেখতাম খুব শোরগোল পড়ে যেতো! কী হয়েছে কী হয়েছে? বউ নেয়ার সময় হয়েছে, কিন্তু বউ স্টেজে হঠাৎ করে বেঁহুশ হয়ে গেছে! :-* হায় হায়, সবাই তখন বউ'র হুশ ফেরাতে ছুটছে! … আবার কখনো দেখতাম অনেকে ধরাধরি করে স্টেজ থেকে নামাচ্ছে, বউ হঠাৎ করে দৌঁড়ে গিয়ে তার ভাই-বোন বা বাবা-মা বা অন্য কাছের কাউকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে হাউ মাউ করে কান্না! … এমনো দেখেছি মা যখন তার মেয়ের হাত শ্বাশুড়ির হাতে তুলে দিচ্ছেন, মেয়ে কিছুতেই হাত দিবেনা। ওরে সবাই মিলে সেকী হাত টানাটানি, মেয়ে তো কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলে, হাত সে দিবেই না! বান্ধবীরা শক্ত করে ধরে টানাটানি করে হাত তুলে দেয় শেষে…

বড়ভাইয়ার বিয়ের সময় হয়েছিলো ভাবীর মুখ কিছুতেই সোজা করা যায়না! আরে, একটা ছবিও তুলতে পারিনা। আমি আর ফারহানা কত অনুরোধ করলাম, ভাবী মুখটা একটু সোজা করো প্লীজজজ! কে শোনে কার কথা, ভাবীকে দেখে মনে হচ্ছিলো যেনো যে কোনো মুহূর্তে ঢলে পড়ে যাবে বেঁহুশ হয়ে। শেষে ছবি তোলা বাদ, আগে বিয়ে শেষ হওয়া পর্যন্ত ভাবী তো টিকুক! বড়ভাইয়া মালা পরানোর পর দেখি মালার পিছনে ভাবীর চেহারাই আর দেখা যায়না!:-/ ভাবী আমার সমবয়সী হওয়ায় কান্নাকাটি পর্বে দিলাম ঝাড়ি, এত্ত টাকা দিয়ে মেকাপ করাইছো, এখন এইভাবে চোখের পানিতে সব মেকাপ গেলো তো?! খুব ভাল হইছে! বড়ভাইয়া বিয়ের রাতে দেখবে সারা মুখে মেকাপ লেপ্টায়ে ভূতের মত বসে আছো! X((

নিজের বিয়েতে বান্ধবীরা সহ সবাই ঠিক করছিলাম, যে যাই বলুক, আমি বাবা এক ফোঁটাও কাঁদবোনা। জীবনে প্রথম বউ সেজেছি, নিজেকে পার্লারের আয়নায় দেখে নিজেই মুগ্ধ, কেঁদে-টেদে এত সুন্দর মেকাপ নষ্ট করে ফেলার কোনো মানে আছে?!B-) তাছাড়া বিয়ে তো ঠুশ-ঠাশ করে একদিনেই হয়ে যাচ্ছেনা, অনুমতি নিয়েই তো হচ্ছে; এতে কাঁদার কী আছে? … এতো রকমের না-কাঁদার প্রস্তুতি, সেতো ঠিকই আছে; স্টেজে বসে আছি। সবাই এসে ছবি তুলছে। দাদু পাশে বসে হঠাৎ করে হাত ধরে বললেন, 'বিয়ার ফর জামাইয়্যোর হতা হুনিছ, গম গরি তাইছ' ( বিয়ের পরে জামাইয়ের কথা শুনিও, ভাল হয়ে থাকিও)… একটু একটু করে মনের ভিতর আঁকু পাকু শুরু হলো। যা বাবা, জীবনে বাবা-মায়েরই কোনো কথা শুনলাম না; আসলেইতো এ আমি কোথায় যাচ্ছি?! :( দাদু দেখি কাঁদে! কী মুশকিল, আমারো চোখে পানি চলে আসতেছে! এ্যাশ এসে দিলো ঝাঁড়ি, চোখের কাজল লেপ্টে যাবে কিন্তু! ও নিজেই আবার ঠিক ঠাক করে দিলো মেকাপ। তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলালাম, আমার না কান্না না করার কথা! … কিছুক্ষন পর শোরগোল উঠলো বরযাত্রীরা এসেছে! বুকের ভিতর ধ্বক করে উঠলো। হায় হায়, আমাকে যে ওরা নিয়ে যাবে!! আব্বুম্মু, ফয়সাল-ফারহানা ওরাতো কেউ যাবেনা সাথে! :(( এ্যাশ ছিলো পাশে, ভাগ্যিস। নাহলে হয়তো তখনি গলা ছেড়ে কান্না শুরু করে দিতাম।

ঘোমটার ফাঁক দিয়ে আম্মুকে খুঁজি। আম্মু কই? এই মহিলা নিজের মেয়ের বিয়েতেও সংগঠনের কাজ করতেছে শিউর। মন খারাপ করে বসে আছি আম্মুকে না দেখে। এর একটু পর হঠাৎ দেখি আম্মু আর হবু শ্বাশুড়ি আমার সামনে। চিন্তা করতেছি ঘটনা কী? দুইজন একসাথে আমার সামনে ক্যান? এ্যাশের দিকে তাকাই, আরে ঐ শয়তান দেখি ভীড়ের ভিতর হারায়ে গেছে! ওম্মা, ফারহানাও নাই! এরা সব গেলো কই?! নিজেকে কোরবানীর গরুর মত মনে হচ্ছিলো হঠাৎ করে। যা বাবা, মেরিনা আন্টি দেখি আমার হাত ধরে আছেন শক্ত করে! কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখলাম আম্মু আমার হাত ধরে ঢুকড়ে ঢুকড়ে কাঁদছেন। আমার শ্বাশুড়ী আমার আর আম্মুর হাত ধরে আছেন। কোথা থেকে কী হলো জানিনা, আম্মুকে কাঁদতে দেখেই কিনা, ভ্যাএএ করে গলা ছেড়ে কেঁদে উঠলাম। আম্মুর কান্নায় মনের ভিতরটা কেমন পুরা খালি খালি লাগছিলো, মনে হচ্ছিল, ধুর কীসের এইসব বিয়ে শাদী। করবোনা আমি বিয়ে! আম্মুকে কিছুতেই আর ছাড়িনা। যাবোনা আমি শ্বশুড় বাড়ি! কেমন যেন মনে হচ্ছিলো এখন যদি আম্মুকে ছাড়ি তাহলে আর কোনোদিন আম্মুকে ধরতে পারবোনা!! :((

বিয়ের এই তিনবছর পরেও যখন তখনের কথা ভাবি, চোখে পানি চলে আসে! কারা যেন তখন জোড় করে ধরে, টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো আমাকে। আমিতো আব্বুকে না দেখে কিছুতেই যাবোনা। নিজে কাঁদতেছি, এইবার দেখি আব্বুও কাঁদে :((। আব্বুকে একবারই কাঁদতে দেখেছিলাম ফুয়াদের লাশের পাশে। এইবার আমার পুরা দুনিয়া খালি হয়ে গেলো। কীসের মেকাপ, কীসের কী, জীবনে প্রথম আব্বুকে এমন শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলাম, কেউ আর ছাড়াতে পারেনা আমাকে। ফয়সাল আমার ছোট হলেও মোটামোটি বিশাল তার শরীর। আব্বু থেকে ও টেনে ছাড়িয়ে নিলেও এইবার ওকে টেনে ধরলাম! ওকে ছাড়া যাবোনা! আমার কান্নাতেই শেষ পর্যন্ত ফয়সাল আর ফারহানা এলো সাথে। বিয়ের গাড়িতে বসেও কান্নার হেঁচকি থামাতে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল। নিজের বিয়ের দিন বুঝেছিলাম, কান্না কোনো বউ আসলে ইচ্ছা করে করেনা। কেমন যেনো কান্না চলে আসে, মনে হয় যেন সবাইকে ছেড়ে কোথায় চলে যাচ্ছি :( বাবা-মা, ভাই বোন-দের জন্য তখন বুকের ভিতর কেমন যে উথাল পাথাল করে! :(

নিজের বিয়ের পর থেকে কোনো বিয়েতে গেলে আমি আরো বেশী মনযোগ দিয়ে বউ দেখি। কিন্তু আজকালকার বিয়ে গুলো দেখে কেমন যেন হতাশ লাগে। মনে হয় যেন বার্থডে পার্টি টাইপ কিছু। একেতো শাড়ীর রঙ লাল থাকেনা বেশীরভাগ; তারউপর বউ গুলো কেমন মডেলের মত পোজ দিয়ে বসে থাকে। ক্যামেরা নিয়ে যেই ছবি তুলতে যায় তার দিকেই তাকিয়ে মডেলের হাসি দেয়। বাঁকা বাঁকা চোখ করে তাকায়, যেনো ছবি ভালো আসে। নিজের বিয়ের খাবার নিজেই সবার সাথে বসে চামচ দিয়ে টুং টুং করে খায়। জামাই স্টেজে এলে নিজেই মালা পরিয়ে দেয়! সেই মালা পড়ানো নিয়ে জামাই-বউ দু'জন আবার সবার সামনে খুনসুটীও করে! :| সবাই আবার তা দেখে হাসে। কাজিনরা আবার আগে থেকে প্র্যাকটিস করে রাখে হিন্দী আর ইংলিশ গানে নাচানাচি করার। বউ আর বর দু'জনে স্টেজ থেকে নেমে সামনের সারিতে বসে। কাজিনরা মিলে স্টেজে নাচানাচি করে। বউ আবার হাততালিও দেয়। …নিয়ে যাওয়ার সময় কান্না তো দূরের কথা; বউ নিজে হাইহিলে টুকটুক শব্দ করে বড়দের পায়ে ধরে সালাম করে টুকর টুকর করে হেঁটে চলে যায় বরের সাথে!! বান্ধবীরা হাত নাড়ে, বউও গাড়িতে উঠার সময় হাত নাড়ে। আবার ক্যামেরার দিকে তাকায়ে পোজ দিতে দিতে গাড়িতে উঠে।

সবকিছু কেমন যেন হিন্দী সিরিয়ালে দেখানো সাজানো সাজানো বিয়ের নাটকের মত লাগে। X( বউ কাঁদেনা, হাসে; লাল শাড়ী না পড়ে ভিন্নতা আনতে কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল শাড়ি পড়ে; এসবে দুঃখ করার কিছু নেই। কান্না না আসলে কেউ জোড় করে কাঁদবে নাকি?! কিন্তু দুঃখ লাগে তখন যখন বুঝি বিয়েগুলো থেকে ইমোশান, অনুভূতি হারিয়ে যাচ্ছে। বিয়েগুলো সাজানো নাটকের মত হয়ে যাচ্ছে। ঠিক ওয়েস্টের মত; যেখানে মেয়েরা তাদের বিয়ের দিনের "পারফেক্ট ওয়েডিং ডে" নাটকে পার্ট করার জন্যে বিয়ের অন্ততঃ মাসখানেক আগে থেকে ট্রেনিং নেয়। ঠিক মডেলের মত সারাদিন পোজ মেরে যায়। X((

বাসায় ফিরতে ফিরতে কেনো যেনো এইসবকিছুই ভাবছিলাম। ভাবছিলাম, আমরা যেভাবে 'মডার্ণ' হওয়ার নেশায় সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যের সব কিছু ছেটে-ছুটে, কেমন সব কমার্শিয়াল হয়ে যাচ্ছি; কেউ কি টের পাচ্ছি? কেউ কি বুঝতে পারছি আমাদের ভিতর থেকে 'ইমোশান' ধুয়ে মুছে চলে যাচ্ছে, আমরা বড় বেশী নাটকীয় হয়ে যাচ্ছি জীবনে… আমার কাছে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য (সব না আবার! খারাপ দিকগুলো বাদ দিয়ে) অনেকটা পোষাকের মত। এসব ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলা মানে অনেকটা পোষাকবিহীন নেংটুপুটু হয়ে যাওয়ার মতো। কী জানি, আমি হয়তো একটু বেশী ভাবি। কিন্তু সত্যি বলছি, অনেকদিন সত্যিকারের বিয়ের মত বিয়ে খাইনা; এইসব নাটকের মতো বিয়ে আমার ভালো লাগেনা। কারো বিয়ে আছে সামনে যেখানে একটা লাল-টুকটুকে বউ থাকবে? দাওয়াত দিতে ভুইলেন না কিন্তু! :D

(এই লেখাটি উৎসর্গ করা হলো- এ্যাশ আর মায়মুনাকে; যে দু'জন আমার বিয়ের দিন সারাক্ষণ আমার সাথে ছিলো :) )
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:১০
১০৫টি মন্তব্য ১০৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×