দিন দিন আমাদের মূল্যবোধের একি হাল হচ্ছে। চারিদিকে হতাশা আর হতাশা। কোথাও নেই আশার আলো। জাতীয় ক্ষেত্রে যেমন, পারিবারিক ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
রাষ্ট্রের সর্বত্র দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, হত্যা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের শাসকবর্গের দেশ ও জনগণ বিরোধী কার্যক্রমে আজ ভীত আমি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা বর্তমান শাসকশ্রেণীর অবস্থান আজ স্পষ্ট হচ্ছে জনগণের মাঝে। যেখানে জনগণের মৌলিক অধিকারগুলোই সরকার বাস্তবায়ন করতে পারছে না সেখানে সরকার ক্ষমতায় আসার পরই তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন দেশ বিরোধী চুক্তি বাস্তবায়নে জোর কদমে এগিয়ে চলেছে।
নির্বাচনের পূর্বে অনেকেই বলেছিল এই সরকার হবে বিদেশীদের বিভিন্ন অন্যায্য ও দেশ বিরোধী চুক্তি বাস্তবায়নের ঠিকাদার। আমি তখন হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ অবস্থা দৃষ্টে এই কথাগুলোই সত্য বলে মনে হয়েছে। সরকার জনগণের স্বার্থ দেখবে, কিন্তু বর্তমান সরকার কার স্বার্থ দেখছে।
আর আমাদের বিরোধী দল কি করছে। জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রশ্নে কই তারাও তো কোন টু শব্দ করছে না।
তাহলে ধরে নিচ্ছি লীগ ও বিএনপি আসলেই বিদেশী দুই পক্ষেরই সেবাকারী রাজনৈতিক দল। কিন্তু তারা জনগণকে বলে বেড়ায় তারা নাকি দেশের স্বার্থ রক্ষায় নিজেদের জীবন দিয়ে দিতে চায়!
বড়ই বিচিত্র আমাদের এই দেশ। এই দেশে শিক্ষানীতি প্রণীত হয় বিদেশীদের স্বার্থে। যেখানে বিদেশীদের লক্ষ্যই গার্মেন্টস ও বিভিন্ন সেক্টরের জন্য কিছু আধা শিক্ষিত শ্রমিক শ্রেণীর। তাই ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।
বিদেশীদের প্রয়োজন কিছু ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাই উচ্চ শিক্ষায় আমাদের দর্শন, ইতিহাস ও বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয় সমূহ নিয়ে পড়ার দরকার নেই। দরকার শুধু এমবিএ ও বিবি এ। আর শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসাবে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়ভার দিন দিন বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
প্রশ্ন জাগে, আমরা কি এভাবেই মার খেতে থাকব? সেই পলাশি থেকে আজ পর্যন্ত?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




