ধর্ম উৎপত্তি দুইভাবে হতে পারে। এক হল বর্বরকে দমন করবার জন্য আরেক হল আত্ম অনুসন্ধানের মাধ্যমে। দমন করবার জন্য যে ধর্ম তা কিছু সমসাময়িক নিয়মকানুন দ্বারা নির্ধারিত এবং তাতে অনেক হঠকারিতাও থাকে, কিছু বর্বরতা থাকাও অস্বাভাবিক নয়। কারণ বর্বরকে দমন করতে কিছু বর্বরতার প্রয়োজন পড়ে। অন্যদিকে আত্ম অনুসন্ধানের মাধ্যমে যে ধর্মের আবির্ভাব তা দার্শনিক। সে ধর্ম নিয়ম প্রধান নয়, পালন প্রধান নয়, তা সব সময় সত্য অনুসন্ধানের দিকে রাখে। এটিই হল উচ্চতর ধর্ম। মানুষের ধর্ম সত্য অনুসন্ধান, শুধু মিথ্যা দিয়ে দমন এবং নিয়মনীতি পালন নয়। ধর্ম হচ্ছে মানুষের সভ্যতার পথে প্রথম পদক্ষেপ। দর্শনের পথ ধরে এসেছে ধর্মের, কখনো ধর্ম দর্শনের পথ ধরে এসেছে বৈজ্ঞানিক দর্শন। আদিতে কেউ জ্ঞানী হলে হত নবী এখন হয় বিজ্ঞানী। আদিতে ধর্ম মানুষকে ধারণ করত এখন মানুষ স্ব স্ব ধর্ম ধারণ করার ক্ষমতা রাখে, যে রাখেনা তার জন্য প্রয়োজন হয় প্রচলিত ধর্ম। মানুষের যখন মনের বিকাশ ঘটেনি তখন ছিল পাওয়া না পাওয়া আর অভাব। তখন মানুষ অনুসন্ধান করত জৈবিক প্রয়োজনে, জানার প্রয়োজনে নয়। সংযম বা সংযত হওয়া বলে কিছু তখন ছিল না। তখন কাড়াকাড়ি ছিল কিন্তু কোন কড়া নিয়ম ছিল না। ক্রমে কাড়াকাড়ি হানাহানি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তখন প্রয়োজন হল মানুষকে নিয়মে বাঁধার। নিয়মে বাধার নিয়ামকের নাম হল ধর্ম। এভাবে কালের বিবর্তনে ভৌগলিক ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে তার বুৎপত্তি নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। ধর্ম টিকে আছে যত বিলীন হয়েছে তার থেকে ঢের বেশী। অনেকে অবশ্য বলে থাকেন প্রতাপশালীর ধর্ম টিকে থাকে দুর্বলের ধর্ম বিলীন হয়। এ বক্তব্য বিশুদ্ধ নয় বলেই মনে হয়। ধর্ম টিকে থাকার সাথে প্রতাপের থেকে প্রয়োজনের সম্পর্ক বেশী। প্রতাপশালীর ধর্ম অস্ত্রের মুখে হয়ত কিছুকাল টিকে থাকে, কিন্তু কোন ধর্ম যদি মানুষের প্রকৃতিলব্ধ এবং সহজাত প্রবণতার অনুকূলে না হয় তা হলে সে ধর্ম ভেঙ্গে পড়ে, হুড়মুড় করে না হলেও ধীরে ধীরে। প্রয়োজন নাই বা কমেছে বলেই ধর্ম ধীরে ধীরে শিক্ষিত এবং অভিজাত শ্রেণী হতে বিস্মৃত হচ্ছে। এখন তো প্রথাগত ধর্ম আঁকড়ে ধরে আছে কিছু হতদরিদ্র মানুষ। পাশাপাশি প্রথাগত ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু কপট মানুষ। এর বাইরে এসব ধর্মের কোন অস্তিত্ব এখন আর থাকছে কোথায়? এখন বিবেকবান মানুষের স্ব স্ব ধর্ম রয়েছে। যখন থেকে মানুষ স্বতন্ত্র হতে শুরু করেছে, মানুষে মানুষে পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে আর স্বতন্ত্রবোধই হল মানুষের ধর্ম। এবং স্বতন্ত্রতা যখন একটি সাধারণ সমষ্টিতে গিয়ে একত্রিত হয় তখন তা মানুষের ধর্ম। সময় এখন সে দিকেই ছুটছে।
আলোচিত ব্লগ
আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”
একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?
যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই
হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই
আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন
নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।