১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর সব বাংগালীর প্রাণের দাবী ছিল, 'সব রাজাকারদের বিচার হোক'; ৪২ বছর পরেও সে দাবী ঠিকই আছে; কিন্তু ৪২ বছর সময় এই দাবীর উপর প্রভাব ফেলেছে; ফলে, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের চাওয়া ও আজকের চাওয়ার মাঝে অনেক গরমিল!
১৯৭১ সালে মানুষ খালেদাকে চিনতো না; 'সব রাজাকারদের বিচার হোক' এর উপর খালেদার অবস্হান কেহ জানতো না; তার স্বামী 'জেড-ফোর্সের' কমান্ডার ছিল, তাই লজিক্যালী আমরা ধরে নিতে পারি সেও সাড়ে ৭ কোটীর মতো 'সব রাজাকারদের বিচার হোক' এর পক্ষে ছিল; কিন্তু ২০০১ সালে যখন নিজামী ও মুজাহিদকে সে সরকারে নিলো, তখন মানুষ তার অবস্হান সঠিকভাবে জেনেছে! ২০০১ সালে মানুষ জেনেছে যে, খালেদা 'সব রাজাকারদের বিচার হোক' এর বিরোধী! খালেদার এই ঘাতকতা জাতির দুর্বল অংশের উপর প্রভাব ফেলে; ফলে, একাংশ আজও এ ব্যাপারে সিরিয়াস নয়!
আজ জামাত ও শিবিরও বলছে, 'সব রাজাকারদের বিচার হোক', ভালো; একই সংগে কিছু রাজাকরের বিচার বন্ধ করার জন্য ১৯৭১ সালের মত পুরো বাংগালী জাতির বিরু্দ্ধে প্রায় যুদ্ধ শুরু করেছে, শুধু ১৯৭১ সালের মত অস্ত্র পাচ্ছে না ও সাথে পাকিস্তানী আর্মি নেই!
১৯৯৬ সালে আমরা হাসিনাকে দেখেছি জামাতীদের বুকে টেনে নিতে, সেদিন মানুষ দেখেছে যে 'সব রাজাকারদের বিচার হোক' হাসিনা চায় না; কিন্তু এখন ঠিকই সে কিছু রাজাকরের বিচার করছে; ব্যাখ্যা কি? তার ৩২ বছরের রাজনীতির প্যাটার্ণ দেখলে বুঝতে পারবেন যে, সে জাতির থেকে নিজ প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিচ্ছে; কিন্তু এ প্রধান্য জাতির প্রাধান্যের সাথে মিলে গেছে!
'সব রাজাকারদের বিচার হোক', এটাকে মনে প্রানে বিশ্বাস করে মুক্তিযোদ্ধারা, যুদ্ধের সময় তাঁরা সেটাকে কার্যকরী করেছেন, আজ পর্যন্ত সঠিকভাবে তা ধারণ করে এসেছেন!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




