পাকিস্তানী বাহিনীতে মুরগি সাপ্লায়ের কথাটা অনেকেই গালি মনে করে। আবার অনেকে মনে করে রাজনীতি। অথচ এর কোনটাই নয়। এতটাই নিন্ম পরিচয়ও তার নামের পাশে ঐতিহাসিক ভাবে লেগেছে। স্পষ্ট ভাবে ইতিহাসে তা বর্নিত আছে।
সেই শাহরিয়ার কবির মুক্তিযোদ্ধাদের নৈতিক স্খলনের অপবাদ দিলেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে স্বাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নৈতিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তার মতে জামায়াত টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কিনেছে। এমনকি রাজশাহীর কথিত গুচ্ছগ্রামের উল্লেখ করে তিনি বলেন এখানে একেবারে হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা বাস করেন। তাদেরকে জামায়াত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেয়!
আমার হাত কাপছিল যখন এসব শুনছিলাম। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হচ্ছিলো, মুরগি সাপ্লায়াররা আজ এত ভালো অবস্থায় থাকে কি করে? কিভাবে তারাই আজ মুক্তিযোদ্ধাদের করুন অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ নেয়?
কোথায় রাষ্ট্র? কোথায় তার দায়বোধ?
একদিকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নেই, সহায়তা নেই! অন্যদিকে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে রাজাকারদের কামড়াকামড়ি কী করে চলছে??
খোদ শেখ হাসিনার কন্যা পুতুলের বিয়ে দেয়ার জন্য মোশাররফের ঘর ছাড়া আর কোন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কি ছিলোনা?
কেন আজ বীরশ্রেষ্ঠর সন্তান ভাঙ্গাড়ি কুড়িয়ে জীবন যাপন করে?
সব আজ রাজনীতির নামে বিক্রি করে দিচ্ছেন? সবই পারিবারিক সম্পত্তি বানিয়েছেন! আপনি করলে ঠিক, অন্যে করলে রাকাজার??
সাকা চৌধুরির মত ঘৃণিত ব্যাক্তিদের কথা আজ কীভাবে সর্বাত্মক প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে?
মনে পড়ছে তার কথা-
মাননীয় স্পিকার শুনছেন নাকি দেশে নয়া মেশিন আবিস্কার হয়েছে?
স্পীকার বললেন কি সেই মেশিন?
উত্তরে সাকা বলেন, মুক্তিযোদ্ধার মেশিন। আওয়ামীলীগ হইল সেই মেশিন যার একদিক দিয়ে রাজাকার ঢুকাইলে অন্যদিক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বের হয়ে আসে!
একটা সময় সেভাবেই জামায়াত ছিলো তাদের নাটাই। সেসময় রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা দিয়েছেন খোদ হাসিনা। পূর্ন ধর্মমন্ত্রী বানিয়েছেন! এখন সময় চেঞ্জ হয়েছে।
এখন আওয়ামীলীগের হাতে শুধু মুক্তিযুদ্ধের মেশিনই নয়। সাথে বিশেষ দূতের মেশিন উঠেছে। যার একদিক দিয়ে স্বৈরাচার ঢুকালে অন্যদিক দিয়ে বিশেষ দূত বের হয়ে আসে।
জানিনা বঙ্গবন্ধু এই রাজনীতিকে কতটুকু এলাউ করতেন! তবে এটা সত্য সেই শান্তির দূত নিজেই তার কন্যা, আজ নূরু রাজাকারের ছেলেকে বিয়াই করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারেই আর রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার ছোঁয়াছুঁয়ি! কতটা অসহায় আজ সেই দলের মুক্তিযোদ্ধারা, তা এখনও ঠিক বোঝা না গেলেও মুরগিযোদ্ধার ঔদ্ধত্ব ঠিকই হুমকির কথা স্মরণ করায়।