১২ বছর ধরে ইংরেজী ও গ্রামার শিখে আজও ঠিক মতো ইংরেজীতে কথা বের হয় না মুখ দিয়ে। নিজের মতো করে কোনো ইংরেজী লিখতেও পারি না। প্রথম শ্রেণী থেকে এইচএসসি পর্যন্ত ১২টি বছর যেসব গ্রামার শিখেছি কষ্ট করে, তার কিছুটা এখন মনে আছে। বাকিটা খেয়ে ফেলেছি।হঠাৎ ইংরেজী কথা বলা ও লেখা শেখার জন্য একটি ট্রেনিং সেন্টারে ক্লাশ শুরু করি। সেখানে বেশ কিছুদিন ক্লাশ করার পর দেখলাম এখন ইংরেজীতে আগের মতো দুর্বলতাটুকু আর নেই।অনেকটাই বলতে ও লিখতে পারছি। কিন্তু অবাক হলাম সে ট্রেনিং সেন্টারে ইংরেজী শেখাতে গিয়ে কিন্তু গ্রামারের জটিল নিয়ম শেখায় নি। গ্রামারের জটিল নিয়ম ছাড়াই শুদ্ধ ইংরেজী বলা ও লেখা শিখে গেছি।
এমনটা অনেকের জীবনেই ঘটছে। আসলে ইংরেজীও তো অন্য সকল ভাষার মতো একটি ভাষা। ভাষা শিক্ষার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো চর্চা করে শেখা।আমাদের দেশের ইংরেজী শেখানোর প্রায় প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলোই ইংরেজী শেখাতে গিয়ে গ্রামারের জটিল নিয়মগুলো ছাড়াই ইংরেজী শেখাতে সক্ষম হচ্ছে। এ ছাড়া তারা ইংরেজীর চর্চার উপর বেশি গুরত্ব দিচ্ছে।বেশি বেশি ইংরেজীতে কথা বলতে বলছে, ইংরেজী মুভি দেখতে বলছে, ইংরেজী পত্রিকা পড়তে বলছে, ইংরেজীতে চ্যাট করতে বলছে। এসব ব্যাপার মানতে গিয়ে অনেকেরই ইংরেজীতে ভুল হতে পারে। সকলকেই তারা বলছে ইংরেজীতে ভুল নিয়ে লজ্জার কিছু নেই। এভাবেই চর্চা করতে করতে ইংরেজী রপ্ত হয়ে যাবে।এখন আসল কথা হলো যদি ছোট বেলা থেকে শিশুদের ইংরেজী শেখানোর উদ্দেশ্যই হয় ইংরেজীতে দক্ষ করে তোলা, তাহলে পদ্ধতিটা সহজ না করে কঠিন করার সুফল কি তাতো বুঝতে পারছি না।কঠিন হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা ইংরেজীতে দক্ষতো হতেই পারছে না বরং ইংরেজীর ব্যাপারে শুধু শুধুই একটি ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে মনে।সহজ ও সঠিক পদ্ধতিই যদি ছোটবেলা থেকে শিক্ষার্থীদের শেখানো যায় তাহলে আশা করা যায় শতকরা ১০০ ভাগ ছেলে মেয়েই ইংরেজীতে দক্ষ হয়ে উঠবে। আর দেরি কেন? ইংরেজীতে দক্ষ হয়ে উঠে শিক্ষিত বেকার হওয়ার হাত থেকে একটা ভালো রেহাই পাওয়া যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬