somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইংরেজী শেখা চর্চার মাধ্যমে গ্রামারের মাধ্যমে নয়

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১২ বছর ধরে ইংরেজী ও গ্রামার শিখে আজও ঠিক মতো ইংরেজীতে কথা বের হয় না মুখ দিয়ে। নিজের মতো করে কোনো ইংরেজী লিখতেও পারি না। প্রথম শ্রেণী থেকে এইচএসসি পর্যন্ত ১২টি বছর যেসব গ্রামার শিখেছি কষ্ট করে, তার কিছুটা এখন মনে আছে। বাকিটা খেয়ে ফেলেছি।হঠাৎ ইংরেজী কথা বলা ও লেখা শেখার জন্য একটি ট্রেনিং সেন্টারে ক্লাশ শুরু করি। সেখানে বেশ কিছুদিন ক্লাশ করার পর দেখলাম এখন ইংরেজীতে আগের মতো দুর্বলতাটুকু আর নেই।অনেকটাই বলতে ও লিখতে পারছি। কিন্তু অবাক হলাম সে ট্রেনিং সেন্টারে ইংরেজী শেখাতে গিয়ে কিন্তু গ্রামারের জটিল নিয়ম শেখায় নি। গ্রামারের জটিল নিয়ম ছাড়াই শুদ্ধ ইংরেজী বলা ও লেখা শিখে গেছি।

এমনটা অনেকের জীবনেই ঘটছে। আসলে ইংরেজীও তো অন্য সকল ভাষার মতো একটি ভাষা। ভাষা শিক্ষার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো চর্চা করে শেখা।আমাদের দেশের ইংরেজী শেখানোর প্রায় প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলোই ইংরেজী শেখাতে গিয়ে গ্রামারের জটিল নিয়মগুলো ছাড়াই ইংরেজী শেখাতে সক্ষম হচ্ছে। এ ছাড়া তারা ইংরেজীর চর্চার উপর বেশি গুরত্ব দিচ্ছে।বেশি বেশি ইংরেজীতে কথা বলতে বলছে, ইংরেজী মুভি দেখতে বলছে, ইংরেজী পত্রিকা পড়তে বলছে, ইংরেজীতে চ্যাট করতে বলছে। এসব ব্যাপার মানতে গিয়ে অনেকেরই ইংরেজীতে ভুল হতে পারে। সকলকেই তারা বলছে ইংরেজীতে ভুল নিয়ে লজ্জার কিছু নেই। এভাবেই চর্চা করতে করতে ইংরেজী রপ্ত হয়ে যাবে।এখন আসল কথা হলো যদি ছোট বেলা থেকে শিশুদের ইংরেজী শেখানোর উদ্দেশ্যই হয় ইংরেজীতে দক্ষ করে তোলা, তাহলে পদ্ধতিটা সহজ না করে কঠিন করার সুফল কি তাতো বুঝতে পারছি না।কঠিন হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা ইংরেজীতে দক্ষতো হতেই পারছে না বরং ইংরেজীর ব্যাপারে শুধু শুধুই একটি ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে মনে।সহজ ও সঠিক পদ্ধতিই যদি ছোটবেলা থেকে শিক্ষার্থীদের শেখানো যায় তাহলে আশা করা যায় শতকরা ১০০ ভাগ ছেলে মেয়েই ইংরেজীতে দক্ষ হয়ে উঠবে। আর দেরি কেন? ইংরেজীতে দক্ষ হয়ে উঠে শিক্ষিত বেকার হওয়ার হাত থেকে একটা ভালো রেহাই পাওয়া যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাকিস্তান ও চীন কি ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ বাধাতে চায়?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১



ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধে পাকিস্তান ও চীনের লাভ আছে। যুদ্ধে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হলে ভারত বিরোধীতায় তারা সহজে বাংলাদেশীদের তাদের পাশে পাবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার অযুহাতে এখানে তারা সামরিক ঘাটি স্থাপনের সুবিধার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রচুর ব্লগিং করুন, কিন্তু......

লিখেছেন জটিল ভাই, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৯

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিরাতাম মুসতাকিমের হিদায়াত হলো ফিকাহ, কোরআন ও হাদিস হলো এর সহায়ক

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৮



সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×