একজন নাস্তিকের সামনে সাইন্টেফিক্যালি কিভাবে প্রমান করবেন আল্লাহর অস্থিত্ব?
প্রথমেই অভিনন্দন জানান তাকে। একটু খেয়াল করে দেখুন আপনি মুসলিম কেন? কারণ আপনার পূর্বপুরুষ মুসলিম। আপনি হিন্দু কেন? কারণ আপনার পূর্বপুরুষ হিন্দু।
কিন্তু এই নাস্তিক ভাই যদিও একটা ধর্মীয় ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালা পরিবার থেকে এসেছে তার পরেও সে মিথ্যে খোদাকে বিশ্বাস করে না!
আপনি তাকে স্বাগত জানাবেন কারণ সে ইসলামের প্রথম ধর্মবিশ্বাস ''লা ইলাহা'' অর্থাত্ কোন উপাস্য নেই এই কথাটা মেনে নিয়েছে।এখন আপনার কাজ ''ইল্লাআল্লাহ'' অর্থাত্ ''আল্লাহ ছাড়া'' এটা প্রমান করা।
এটা এখন আমি প্রমাণ করেই ছাড়ব ইনশাল্লাহ
প্রথমেই গড সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণা দূর করতে হবে তারর আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক ধারণাটা তাদের দিতে হবে।
আপনার কাজ কিন্তু ইতিমধ্যেই অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে কারণ সে বলেছে যে ''লা ইলাহা'' কোন উপাস্য নেই, এখন আপনার প্রমান করতে হবে ''ইল্লাআল্লাহ'' আল্লাহ ছাড়া।
কার্যপক্রিয়া
___________
---নাস্তিক ভাইকে আপনি একটা প্রশ্ন করুন ঠিক এই ভাবে...
ধরুন কেউ একটা যন্ত্র আবিষ্কার করল। এই যন্ত্রটা পৃথীবীতে আগে কেউ আবিষ্কার করেনি, কেউ কখনো দেখে নি, কেউ এটা সম্পর্কে জানেও না''
এখন এই যন্ত্রটা যদি একশ জন লোকের সামনে রাখা হয় সবার আগে কে এই যন্ত্রটা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারবে? এটার ব্যাবহার এবং এটার কার্যপ্রণালী সম্পর্কে সবার আগে কে বলতে পারবে?
---নাস্তিক ভেবে উত্তর দেবে, অবশ্যই যন্ত্রটা আগে যে আবিষ্কার করেছে!! অর্থাৎ যে যন্ত্রটা আবিষ্কার করেছে সেই সবার আগে যন্ত্রটা সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবে, যন্ত্রের ব্যাবহার সম্পর্কে বলতে পারবে !!
নাস্তিকের এই উত্তরটা মাথায় রাখবেন এটা পরে কাজে লাগবে। এখন নাস্তিক ভাইকে প্রশ্ন করুন,
---পৃথিবী সৃষ্টি হল কিভাবে?
সে বিগ ব্যাঙ থিওরির মাধ্যমে আপনাকে পৃথিবী সৃস্টির ব্যাখ্যা দেবে !!
এবার আপনি তাকে বলুন,এই বিগ ব্যাঙ থিওরির কথা ১৪০০ বছর আগে সুরা আল-আনবিয়ার ২১ পারার ৩০ নাম্বার আয়াতে লিখা আছে।
---১৪০০ বছর আগে এই জিনিসটা লিখল কে ??
সে আপনার সাথে হাবি যাবি তর্ক শুরু করে দিবে, টপিক চেঞ্জ করতে চাইবে!! সাবধান তার ফাদে পা দিয়ে আপনি তর্কে যাবেন না!! মেনে নিন তার কথা !!
---এবার তাকে প্রশ্ন করুন ''চাদের তো নিজের কোন আলো নেই'' এটা আমরা আবিষ্কার করলাম কখন?
সে বলবে এই তো কিছুদিন আগে, ৫০/১০০ বছর আগে ।
কোরান এই কথাটা ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে? কে লিখল এ কথা?
সে বলবে, হয়ত কারো প্রখর অনুমান শক্তি ছিল! এটা ঐশ্বরিক কিছুই না! তার সাথে তর্কে যাবেন না, মেনে নিন তার কথা!!
---আচ্ছা সূর্য কি স্থির?
সে বলবে না, সূর্য ঘূর্ণায়মান। স্থির না।
---কবে জানতে পেরেছেন এটা?
সে বলবে ৫০/১০০ বছর আগে এটা বিজ্ঞানীরা বের করেছে !!
কিন্তু কোরানে ১৪০০ বছর আগেই এই কথাটা বলা হয়েছে !!
নাস্তিক বলবে, এটা ও একটা অনুমান তেমন কিছু না! তর্কে যাবেন না, মেনে নিন তার কথা।
---প্রশ্ন করুন তাকে মহাবিশ্ব সৃষ্টিলগ্নে কেমন ছিল? পানি চক্র কি?
এসব আমরা অবিষ্কার করেছি মাত্র কয়েকশ বছর আগে কিন্তু কোরানে ১৪০০ বছর আগে থেকেই এসব বলে দেয়া হয়েছে !!
নাস্তিক ভাই, আপনি বলছেন এটা তীক্ষ্ন বুদ্ধিমত্তার কোন লোকের অনুমান !!
আচ্ছা ধরুন,আপনি একটা কয়েন টস দিলেন এতে হয় হেড উঠবে না হয়ে টেল। এটা অনুমান করা অনেক সহজ এবং আপনার অনুমান সঠিক হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।
কিন্তু একটা ডাইস(লুডু খেলার গুটি) যখন আপনি ছুড়ে মারেন তখন অনুমান করাটা অনেক কঠিন।কারণ ডাইসের ৬ টা পার্ট। আপনার অনুমান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমনকি ১০ বার অনুমানের মধ্যে ৫ বার সঠিক হওয়াটাও খুব টাফ।
---চাদের নিজের আলো আছে/নেই?
এটা অনুমান করা হয়ত অনেক সহজ, কারণ এতে মাত্র দুটা অপশন কিন্তু ১৪০০ বছর আগে আপনাকে যখন প্রশ্ন করা হয়
---পৃথিবীর আকার কেমন?
তখন অনুমান করাটা সত্যি কঠিন কারণ জগতে আকারের অভাব নেই। এটা হয়ত সমতল, ত্রিভূজাকৃতির, চতুর্ভূজকৃতির, ষষ্ঠভূজ, আয়তকার, গোলাকার ইত্যাদি হতে পারে। এতগুলো আকৃতি থেকে ১৪০০ বছর আগে একজন মানুষ কিভাবে সঠিক অনুমান করে?
আচ্ছা ধরে নিলাম মাত্র ১০ টা আকার থেকে একজন অনুমানটা করেছে কিন্তু যখন প্রশ্নটা হয়
---জীবের সৃষ্টি কি থেকে হয়েছে?
এ প্রশ্নটার জন্য রয়েছে হাজারটা অপশন! কেউ বলবে মাটি, কেউ বলবে সোনা, কেউ বলবে পাথর, কেউ বলবে সিলবার কেউ বলবে ওয়াটার !! এরকম হাজারো উপাদান চোখের সামনে এসে দাডায়! একজন মানুষের পক্ষে এরকম হাজার হাজার অপশন থেকে সঠিক অপশনটা বেছে নেয়া ১৪০০ বছর আগে কিভাবে সম্ভব?
নাস্তিক ভাই এর পর আপনার আর কি বলার থাকে? কোরাআনে ১৪০০ বছর আগে বলে দেয়া হয়েছে পৃথিবী গোলাকার, প্রতিটা জীব তৈরী হয়েছে পানি থেকে!!
একটু ফ্ল্যাসব্যাকে যান, নাস্তিক ভাই বলেছিলেন
কোন জিনিস সম্পর্কে সবার আগে সেই ব্যাক্তিই বলতে পারেন যিনি ঐ জিনিসটি আবিষ্কার করেছেন!
এখন নাস্তিক ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন করুন
---কে এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন? কোরআন কার বাণী?
উত্তর একটাই "আল্লাহ" এবং কোন মানুষের পক্ষে এই পবিত্র গ্রন্থ লিখা সম্ভব নয়।
আশা করি আমি প্রমাণ করতে পারলাম
[উপরোক্ত লিখাগুলো পডে আবার মনে করবেন না যে কোরআন একটি বিজ্ঞান বই!! ৬ হাজারের ও অধিক আয়াত সম্বলিত এই কোরআনে হাজারেরো অধিক বিজ্ঞান নিয়ে কথা রয়েছে এবং সমগ্র মানবজাতির জন্য এটা একটা সম্পূর্ণ জীবন বিধান, ভাল মন্দ নিরুপনের মাপকাঠি এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞান থেকে আরো উচ্চতর! একজন শিক্ষিত নাস্তিক শুধুমাত্র বিজ্ঞানে বিশ্বাস করেন তাই উপরের লিখায় কোরাআনের খুব সামান্য অংশ উপস্থাপন করা হল যে গুলোর প্রচুর বৈজ্ঞানিক প্রমান বিরাজমান]
Francis Bacon, the famous philosopher, has rightly said that a little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God. What Science is saying today is.... Scientists today are eliminating models of God, but they are not eliminating God. If you translate this into Arabic, it is La illaha illal la, There is no god, (god with a small 'g' that is fake god) but God (with a capital 'G'). I hope that answers the question.
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৭