দুমাস ধরে মুখের ডান পাশের তালুতে খুব ব্যাথা। কথা এবং আহার করার সময় ব্যাথা অনূভব হয়। একজনের পরামর্শে এন্টিবায়েটিক সহ আরো অন্যান্য ঔষূধ গলদঘর্ম করেছি। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন নেই। শেষে গেলাম চিটাগাং মেডিকেল কলেজের স্কিন ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কাছে। তিনি ও দেখে ঔষূধ লিখে দিলেন। ৩ সপ্তাহ পার হয়ে গেল, ব্যাথা দেখি আরো বেড়ে গেছে। শেষমেশ আমার ডাক্তার খালুর পরামর্শে গেলাম একজন ডেন্টাল ডাক্তারের কাছে। গিয়ে খুশি হলাম এ ভেবে যে এই ডাক্তার বাবু অন্তত আমার আসল রোগ কোথায় ও কেন তা চিহ্নিত করতে পেরেছে এবং তার সমাধান ও দিয়েছে। কিন্তু প্রথমজন ডাক্তার শহরের প্রসিদ্ব ডাক্তার হওয়া সত্বেও আমার রোগ চিহ্নিত করা দূরে থাক, আমার পকেট থেকে তার ভিজিট বাবদ মোটা অংকের টাকা নিয়ে ও ক্ষান্ত হননি, অযথা ঔষুধ বাবদ ও টাকা খরচ করিয়েছেন। সে যদি রোগ নির্নয় করতে না পারত, সে আমাকে অন্য কোন ডাক্তারের কাছে রেফার করে দিত। কিন্তু সে তা করেনি কারণ তার কাছে চিকিতসা করার চেয়ে ফি টাই মুখ্য ছিল। সে যদি আমাকে বলত, তার টাকার খুবই দরকার তাহলে আমি তাকে এমনিতেই সাহায্য করতাম। সে আমার অপঃচিকিৎসা করে অযথা তিন সপ্তাহ সময় নষ্ট করেছে। তার এই কীর্তি দেখে পরেরজন ডাক্তার তাকে সে কি গালমন্দ। তখন আমি বললাম, এই আর নতুন কি? এটাই তো আমাদের মহামান্য ডাক্তার দের স্বভাব। ভাবসাব এমন যে স্কিনের ডাক্তারের কাছে যদি একজন গাইনি রোগীও যায়, সে তার ও (অপ)চিকিতসা করে ছাড়বে। কিছু দিন আগে আমার পিতার সাথে এক ডাক্তার এরুপ আচরণ করেছিল। পরে তাকে বিদেশে নিয়ে এই অপঃচিকি্তসার চিকিতসা করে আনতে হয়েছে। আমাদের বিশেষভাবে চট্রগ্রাম শহরের মহামান্য ডাক্তারগণের এ রুপ কখন বদলাবে, আমি সত্যিই সন্দিহান। কেন তাদের মধে সেবার মন মানসিকতা গড়ে উঠছেনা? তারা কি সেবার বদলে অন্যা উদ্দেশ্যে পড়ালেখা করেছিল? দেখছি খালি তাদের ফি’র অংকটা বাড়ছে, আর রোগ নির্নয়ের ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। মানুষদের অজ্ঞতায় এ ভাবে যদি ডাক্তাররা অপচিকিৎসা করতে থাকে, তাহলে সামনে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে আল্লাহই ভালো জানেন।