somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ত্যাগেই পরম শান্তি :P :P :P :P .....বান্দরবন ভ্রমন তৃতীয় পর্ব....

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্ব
দ্বীতিয় পর্ব

সবকিছু পিছনে ফেলে ....চললাম ছুটে পাহাড়ি সবুজের আঁকা বাঁকা পথে.....

হ্যাঁ ঠিক সেরকমই..বাসের মাথাটাকে এখন খুব কমই সোজা চলতে দেখছি....মহুর্তের মাঝে এদিক নয়তো সেদিক ঘুরে যাচ্ছে....এভাবেই পাহাড় ঘেরা পথে চলতে চলতে চলে এলাম....বান্দরবন শহরে।

সকাল ৬.০০ মিনিট। বাস থেকে নামার পর বুঝতে পারলাম শীত এখানে ভালোই ঝেকে বসেছে....কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকা একটি শহরের সম্মুখভাগ। ঢাকার জনবহুল এলাকা ছেড়ে এমন সবুজে ঘেরা পাহাড়ী এলাকায় এসে অজানা ভালো লাগায় মনটা ভরে গেলো।

কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে রইলাম........প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে....সেই সাথে মনটা একটু খারাপ হলো পাহাড়ের বুক কেটে আধুনিকতার ছোয়া দেখে।

শুরু হলো হোটেল খোজা পর্ব...এরই ফাকে সকালের নাস্তার কাজটা সেরে নিলাম...এই পর্বের শুরুটা ভালো না হলেও শেষটায় ভালো একটা হোটেল পেয়ে গেলাম....অটো ড্রাইভারের কল্যানে। অনেকটা ছিমছাম এবং নিরিবিলি......আর আমাদের যখন রুমটা দেখালো তখন আর না করিনি.....সোজা উঠে গেলাম ...হোটেল শাংগু এন্ড রেস্টুরেন্ট। তবে হোটেল মালিক প্রথমটায় আমাদের রুম দিবেন কিনা একটু ইতস্ত করছিলেন....পরে অবশ্য পটাইয়া ফেলেছি.....৪র্থ তলার নির্ধারিত রুমে ঢুকেই ফ্রি হয়ে নিলাম...আর সবাইকে আধা ঘন্টা করে সময় বেঁধে দিলাম ফ্রেশ হওয়ার জন্য....কিন্তু ১ম জনই পুরো ০.৪৫মিনিট:|/:)

২য় ভাইগনা চিল্লাচিল্রি শুরু না করলে মনে হয় ১ঘন্টাই যেতো.....:P

১ম জন বের হয়ে যে উক্তি দিলো "মামা ত্যাগেই পরম শান্তি" তাতে তারে কিছু বলতে পারলাম না...

এই ধাক্কায় পুরো ১.৪৫ ঘন্টা শেষ...যাক সবাইকে তাড়াড়ি বের হতে বললাম উদ্দ্যেশ্য স্বর্ন মন্দির....
ততক্ষনে ১০.৩০ টা বেজে গেছে। হোটেলের বাইরে এসে দেখলাম অটো রিশকা দাঁড়িযে আছে....ভাই কতক্ষন হইছে। আধাঘন্টা হয়ে গেছে......ঠিক আছে চলো....চলতে শুরু করলো অটো…… সাথে আমরা..



স্বর্ন মন্দিরে যাওয়ার এই রাস্তাটা খুব একটা ভালো পেলাম না....ড্রাইভার সুমনের সাথে কথা বলে জানা গেলো বান্দরবনের শহরের এই একটা রাস্তাই খারাপ আছে...../:)

ড্রাইভার বেটা কেমনে তাকাইয়া আছে দেখেন...


যাওয়ার পথে সাঙ্গু নদী...কয়েকটি দৃশ্য....






আরো কয়েকটা ড্রাম তুলে দিতে পারতো...


যাক তখাপিও চলছি ছুটে হেলেদুলে.....রাস্তা খারাপের সাথে কপালটাই মনে হয় খারাপ হয়ে গেলো....:|:|/:)/:)স্বর্ন মন্দিদের এর সিড়ির গোড়ায় নোটিশ ঝুলানো.............
"উপাসনা চলছে।
দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ।
বেলা ২.০০টার পর দর্শনার্থীদের আসার জন্য অনুরোধ করা হইলো।"
কি আর করা/:)/:) এই দুই ঘন্টা বসে না থেকে...আবার চলে এলাম শহরে....দুই ভাইগনার মনটা একটু খারাপ হলো মন্দিরে ঢুকতে না পেরে...বললাম সমস্যা নেই....আমরা বিকেলে এখানটায় অবশ্যই ঢু মারবো।এখন তাড়াতাড়ি খেতে চল...আমরা তারপর মেঘলা যাবো....ওদরে মুখে আবার হাসি ফিরে এলো............।
তার আগে দূর থেকেই স্বর্ণমন্দিরের কিছু ছবি তুলে নিলাম.........










এবার ছুটে চলা "মেঘলা"র প্রাণে....অটো ড্রাইবারের সাথে কথা বলে জেনে নিলাম....কম খরচে কিভাবে যাওয়া যায়.......তার ভাষ্যমতে বাসে করে চলে এলাম মেঘলা....

দেখে নিন....




















ঘুরে বেড়াচ্ছি সেটা ঠিক আছে, কিন্তু এদিকে যে দুপুরে পেটে দানাপানি পড়ে নাই....পাহাড় বাইতে গিয়ে সেটা খবর হলো.....আর পথে পাকা পেপে দেখে জিভে জল এসে গেলো....নিয়ে নিলাম বেশ বড় সাইজের একটা পেপে....



আহা কি স্বাদ আর কি মিষ্টি.... :D :D সত্যি পেপে খেয়ে এমন মজা আর পায়নি....একটা খেয়ে আরেকটা কাটতে বললাম এবং মুহুর্তেই শেষ :P :P ....... খাবারের তালিকায় যুক্ত করে নিলাম কলা পুরো ১ডজন.....তারপর ডাব নিলাম....সেকি পানি যেন শেষ হয়না... :-* :-* আর এটাও সুমিষ্টি পানি..... =p~
তিনজনই আত্বতৃপ্তির ঢেকুর তুললাম.......

(চলবে)
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×