somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

 ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি প্রাণ গেল ছয় ছাত্রের

১৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে মেরেছে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় আহত এক তরুণের অবস্থাও গুরুতর। গত রোববার গভীর রাতে রাজধানীর উপকণ্ঠে আমিনবাজারের বরদেশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছয়জনের মধ্যে তিনজন মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র, একজন তেজগাঁও কলেজের, একজন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ম্যাপললিফের ও একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সবাই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।
আহত তরুণ আল-আমিন পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় গতকাল প্রথম আলোকে জানায়, শবে বরাতের নামাজ শেষে তারা নেশা করতে গিয়েছিল আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনালের পেছনের এলাকায়। হঠা ৎ শত শত লোক ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চি ৎ কার করে তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে তাদের ধরে গণপিটুনি দিলে ছয়জন মারা যায়।
বরদেশী গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, গ্রামের লোকজন জানতে পারে, তারা ডাকাতি করতে গ্রামে ঢুকেছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ‘ক্যাবলার চরে’ গিয়ে তাদের পিটিয়ে মারে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসী যে ছয়জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তারা ডাকাত না নিরীহ ছাত্র—এটা এখনই বলা যাবে না। তদন্তের পর বলা যাবে। তবে ঘটনার পর নিহত ছয়জন ও আহত একজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক বালু ব্যবসায়ী ডাকাতির মামলা করেছেন।
এদিকে ছয় ছাত্রকে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল দারুস সালাম এলাকায় মিরপুর সড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় সাংসদ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা রাস্তা ছেড়ে দেয়।
নিহত ছাত্রদের পরিচয়: গণপিটুনিতে নিহত একজন শামস রহিম শাম্মাম (১৭)। মাস্টারমাইন্ড স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল শেষ করে ধানমন্ডির ম্যাপললিফে ‘এ’ লেভেলে পড়ছিল সে। তার বাবা এস এম আমিনুর রহিম সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলও ছিলেন। মা শামসি আরা করিমও আইনজীবী। দুই ভাইবোনের মধ্যে শামস বড়। তাদের বাসা শ্যামলীতে।
ইব্রাহিম খলিল (২১) মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাবা আবু তাহের কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে ফলের ব্যবসা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে খলিল বড়। বাসা দারুস সালাম এলাকায়।
তৌহিদুর রহমান পলাশ (২০) বাঙলা কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাবা মুজিবুর রহমান রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৌহিদ ছোট। বাসা দারুস সালামে।
তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯)। বাবা আবদুর রশিদ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। বাসা শ্যামলীতে।
সিতাব জাবীর মুনিব (২০) মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাবা প্রয়াত চিকি ৎ সক মোখলেসুর রহমান। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সিতাব বড়।
কামরুজ্জামান কান্ত (১৬) এ বছর স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে বাঙলা কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। বাবা ট্রাকচালক আবদুল কাদের সুরুজ এক বছর আগে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কান্ত বড়।
ঘটনাস্থল: ঢাকা থেকে সাভারে যাওয়ার পথে আমিনবাজার সেতুর ওপর থেকে বাঁয়ে তাকালেই ট্রাক টার্মিনাল। তার পেছনে ‘ক্যাবলার চর’। এটি আসলে চর নয়। বালু ফেলে নিচু এলাকা ভরাট করায় মানুষ এই নাম দিয়েছে। ট্রাক টার্মিনালের পাশে সরু গলির গ্রাম বরদেশী। এখানে কোনো বড় রাস্তা নেই। কিছু ট্রাক আর এস্কাভেটর (মাটি খোঁড়ার যন্ত্র) ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এলাকাজুড়ে। এর পাশেই তুরাগ নদ। রোববার রাত পৌনে দুইটায় এই গ্রামের মানুষ পিটিয়ে হত্যা করে ছয় তরুণকে।
গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা বাঁশের টুকরো, গাছের ডাল ভাঙা, ইটের টুকরা, একটি জিনসের প্যান্ট, একটি লাল-হলুদ পাঞ্জাবি, স্যান্ডো গেঞ্জি, কয়েকটি স্যান্ডেল। এলাকাবাসী জানায়, বৃষ্টির কারণে রক্তের দাগ মুছে গেছে।
আহত আল-আমিনের মুখে ঘটনার বর্ণনা: আল-আমিন একটি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। এর পাশাপাশি সে দারুস সালামের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ে। প্রথম আলোকে সে বলে, কান্ত ও পলাশ তার পাড়ার বন্ধু। তারা তিনজনে মিলে রাতে দারুস সালামের ফুরফুরা মসজিদে শবে বরাতের নামাজ পড়তে যায়। তারা সারা রাত ঘরের বাইরে থাকবে বলে মা-বাবার কাছ থেকে অনুমতি নেয়। তাই কোথাও আড্ডা দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল তারা। এ সময় পলাশের মুঠোফোনে তার বন্ধু টিপু সুলতান ও শামস ফোন করে। ট্রাক টার্মিনালের পাশে গাঁজা সেবন করতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় টিপু। সবাই এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। শ্যামলী থেকে টিপু ও শামস আসে। অন্য দুজন দারুস সালাম থেকে এসে মূল সড়কে মিলিত হয়।
আল-আমিন বলে, ‘আমরা সাত বন্ধু রাত একটার দিকে রিকশায় দারুস সালাম থেকে গাবতলী পর্বত সিনেমা হলের সামনে নামি। এরপর হেঁটে আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে বরদেশী বালুর মাঠে (ক্যাবলার চর) এসে থামি। কিন্তু কোথায় গাঁজা পাওয়া যাবে, খুঁজতে খুঁজতে রাত দেড়টা বেজে যায়। একপর্যায়ে লোকজন “ডাকাত ডাকাত” চি ৎ কার শুরু করে। এ সময় ভয়ে দক্ষিণ দিকে ক্যাবলার চরের দিকে দৌড় দিই। আমরা ভেবেছিলাম, গ্রামের বাইরে চলে গেলে লোকজন আসবে না। কিন্তু ফল হয় উল্টো। গ্রামবাসী চি ৎ কার শুরু করলে শত শত লোক টর্চলাইট ও লাঠি হাতে ছুটে আসতে থাকে। শুরু হয় মারধর।’
আল-আমিন জানায়, গ্রামবাসী তাদের সাতজনকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। পরে পুলিশ এসেও তাদের বাঁচাতে পারেনি। পুলিশের সামনেই গ্রামবাসী তাদের পেটাতে থাকে।
আল-আমিন যেভাবে বেঁচে গেল: আল-আমিন বলে, ‘একপর্যায়ে আমি এক মুরব্বির পায়ে ধরে বলি, আমরা ডাকাত না, ঘুরতে এসেছি। তবু ওই মুরব্বি নির্দয়ভাবেই আমাকে মারতে থাকেন। এরপর আমি আরেক মুরব্বির পায়ে ধরে বলি, চাচা, আমাকে বাঁচান। ওই চাচার হাত থেকে রেহাই না পেয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক দারোগার পায়ে ধরি। তখন দারোগাকে বলতে শুনি, আপনারা সবাইকে মেরে ফেললে তো সমস্যা হবে। একজনকে অন্তত বাঁচিয়ে রাখেন। এরপর লোকজন আমাকে মারা বন্ধ করে।’
আল-আমিন জানায়, তারা কেউ ডাকাত নয়, গাঁজা কিনতে ওই গ্রামে গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে কোনো অস্ত্রও ছিল না।
ঘণ্টাব্যাপী হত্যাযজ্ঞ: পিটুনিতে অংশ নেওয়া একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, তখন রাত পৌনে দুইটা বা দুইটা হবে। একদল তরুণ চর থেকে গ্রামে ঢুকছিল। তারা সংখ্যায় ১৫-১৬ জন হবে। তারা গ্রামের কিছুটা ভেতরে ঢুকে ইতস্তত ঘোরাফেরা করছিল। এতে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। এরপর গ্রামবাসী ‘ডাকাত ডাকাত’ চি ৎ কার শুরু করে। একপর্যায়ে এলাকায় তিনটি মসজিদের মাইক থেকে একযোগে ‘গ্রামে ডাকাত হানা দিয়েছে’ বলে বারবার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় মসজিদে শবে বরাতের ইবাদতরত মুসল্লি, বিশেষ করে তরুণেরা ডাকাত ধরতে ছুটে যায়।
ধাওয়াকারী এক তরুণ বলে, ‘ধাওয়া খায়া হ্যারা ক্যাবলার চরে যাওয়ার পর আর কোনো রাস্তা নাই। এরপর নদী। চরের ওপর চারজনরে আমরা দ্যাখতে পাইতাছিলাম। হ্যারা মনে হয় সাঁতার জানত না। চারজনই বারবার কইতাছিল, “কাছে আইলে গুলি কইরা দিমু।” এই কথা শুইনা লোকজন আরও খেইপা যায়। এর মইদ্যে গ্রাম থিকা কয়েক শ লোক চরে আইসা জমা হয়। কিছু লোক সাঁতার দিয়া ঘুইরা চরের ওই পারে যায়। আমরা চারদিক থিকা ওগো ঘিরা ফালাই।’
এক বালু ব্যবসায়ী বলেন, চরে তখন কয়েক শ গ্রামবাসী, সবাই উত্তেজিত। অনেকের হাতে বাঁশের লাঠি। তাদের থামিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। গুলি খাওয়ার ভয় উপেক্ষা করেই তারা চার তরুণকে ধরে ফেলে। এরপর শুরু হয় পিটুনি। গদির চালা থেকে বাঁশ খুলে, ইট নিয়ে, খুঁটির লাঠি নিয়ে যে যেভাবে পেরেছে, তাদের পিটিয়েছে।
বরদেশী গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারী জানান, রাতে চি ৎ কার-চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায়। সবাই ভিড় করে খালের পাড়ে। সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে ঘটনাস্থল। শুধু শোনা যাচ্ছিল দূর থেকে ভেসে আসা শব্দ, ‘ধর ধর মার’, ‘মাইরা ফালা’, ‘যেন বাঁচতে না পারে’, ‘বাকিগুলানরে খুঁজতে লাগ’।
বাঁচার আকুতি: প্রত্যক্ষদর্শী এক মুদি দোকানদার জানান, মারার সময় একজন বারবারই বলছিল, ‘আমি ডাকাত না, ঘুরতে আইছি।’ আরেকজন বলছিল, ‘ভাই মাইরেন না, আমি ডাকাইত না। নামাজ পইড়া ঘুরতে আইছি গাঁজা খামু বইলা’। আরেকজন বলছিল, ‘ভাই আমরা দারুস সালাম মহল্লার পোলাপাইন, আমাগোরে বাঁচান, আমরা ডাকাইত না’।
এলাকাবাসীর দাবি, একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ১৫-১৬ জন ওই এলাকায় ডাকাতি করতে এসেছিল। তাদের বেশির ভাগ পালাতে পারলেও সাতজনকে তারা আটকে ফেলে।
দারুস সালামে কান্নার রোল: নিহত ছয়জনের মধ্যে তিনজনের বাসা রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায়। নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের এই মৃত্যুর কঠিন আঘাত মেনে নিতে পারছিলেন না এলাকার স্বজনেরা। অনেকে তাদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিহত তরুণদের বাসায় বাসায় কান্নার রোল। এলাকার লোকজন ও থানা সূত্র জানায়, এই তরুণদের বিরুদ্ধে কখনো কোনো সন্ত্রাসী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ শোনা যায়নি।
নিহত পলাশের ছোট বোন কলেজছাত্রী খুকুমণি বিলাপ করে বলছিল, ‘ওই ভাই রে, তুই ওখানে গেলি কেন। ওই খানে না গেলে তো লাশ হয়ে ঘরে ফিরতি না। যারা তোদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করল, তাদের কঠিন বিচারের ব্যবস্থা করেন আপনারা।’ পাশেই আরেক কক্ষে মা সুমি বেগমের বিলাপ, ‘ওরা আমার বুক খালি কইরা দিচেরে।’
নিহত ইব্রাহিমের চাচা আবদুল বারেক জানান, দুই ভাইবোনের মধ্যে ইব্রাহিম বড়। তার বাবা আবু তাহের কল্যাণপুরে ফলের ব্যবসা করেন। মাদারীপুরের কালকিনির পূর্ব খানদলীর কাজিবাকাই গ্রামে তাদের পৈতৃক নিবাস। আবু তাহের বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে ছেলের কলেজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। রোববার রাত ১২টার দিকে পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে নামাজের জন্য সে বের হয়। আর ফিরল লাশ হয়ে...।’
নিহত তৌহিদের বাবা কথা বলতে পারছিলেন না। কথা বলতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
প্রতিবাদ-বিক্ষোভ: ছয় ছাত্রের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে দারুস সালাম এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে এসে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে। একই সময় বাঙলা কলেজের সামনে ছাত্ররা কিছু সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে। কিছুক্ষণ অবরোধের পর ছাত্ররা দারুস সালামে এসে এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগ দেয়।
দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয় সাংসদ আসলামুল হক ও পুলিশের মিরপুর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবরোধস্থলে আসেন। সাংসদ আসা মাত্রই তাঁকে ঘিরে ধরে ‘বিচার চাই, বিচার চাই’ বলে চি ৎ কার শুরু করে এলাকাবাসী। সাংসদ বিচারের আশ্বাস দিলে বেলা পৌনে দুইটার দিকে ওই রাস্তায় যান চলাচল শুরু হয়।
পুলিশের বক্তব্য: সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ওই রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মধুমতি মডেল টাউনের কাছে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি থানার ওয়্যারলেসের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি চার-পাঁচ শ এলাকাবাসীর ঘেরাও করা অবস্থায় ছয়টি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি আল-আমিনকে জীবিত উদ্ধার করে দ্রুত সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মামলা: এ ঘটনায় সাভার থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলা করেন বরদেশী গ্রামের বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। তিনি অভিযোগ করেন, হতাহত তরুণেরা রোববার রাতে ক্যাবলার চরে তাঁর বালুর গদিতে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকা লুটে নেয়। এরপর পাশের একটি গদিঘরে গেলে তিনি চি ৎ কার দেন। এ সময় গ্রামের লোকজন এসে তাদের আটক করে পিটুনি দিলে ছয়জন মারা যায়। অপর মামলার বাদী এসআই আনোয়ার হোসেন। ছয় খুনের ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয় শ লোককে আসামি করেছেন।

সুত্র
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×