
১৯৭৯ সালে ইরানের জনতা চেয়েছিলো "রাজতন্ত্র" থেকে মুক্তি পেতে; কিন্তু আন্দোলনকারীদের মাঝে মোল্লারা কৌশল করে ইহাকে "ইসলামিক বিপ্লব"এ পরিণত করে: রাজতন্ত্র থেকে সরাসরি "জ্ঞানহীনদের গুহায়"। বাংলাদেশের সাথে মিল আছে: মানুষ শেখ হাসিনা ও উনার চোর-ডাকাতদের থেকে মুক্ত হতে গিয়ে জামাত-শিবিরের হায়েনাদের হাতে বন্দী।
ইরানের রাজতন্ত্র সৌদীর মতো ভয়ংকর কিছু ছিলো না; তবুও, গত শতকে সব জাতিই রাজাদের থেকে মুক্ত হতে চেয়েছিলো। আপনারা একটি বিষয় খেয়াল করেছেন কিনা, ইহুদীদের সাথে শিয়া মুসলমানদের অনেক মিল আছে; বিশেষ করে "নারীর স্বাধীনতা" নিয়ে। শাহের সময়, ইরানের নারীরা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়েছিলো, শাহ তাদেরকে অনেক অধিকার দেয়। মোল্লারা ইহা মোটেই মেনে নেয়নি; মোল্লারা শাহের উপর ক্ষেপে যায়; এখানে বাংলাদেশের সাথে মিল দেখছেন?
খোমেনী ক্ষমতায় এসে মানুষের বিপ্লবকে (১৯৭৯ ) ইসলামিক বিপ্লব নাম দিয়ে পশ্চিমের বিপক্ষে "জ্বিহাদ ঘোষণা" করে। কিন্তু দেশে জংগী তৎপরতার কারণে, দেশ ছেড়ে গিয়ে বাস করেছিলো ফ্রান্সে।
পাকিস্তানীরা যেমন নিজের দেশ থেকে কাশ্মীর নিয়ে বেশী কথা বলে, মোল্লারা নিজ দেশ নিয়ে যা করছিলো, কিন্তু তাদের মুল লক্ষ্যে পরিণত হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সৌদী থেকে মক্কা ও মদীনা নগরীকে আলাদা করার বাসনা।
তাদের এই বাসনাকে কাজে লাগাতে গিয়ে ফিলিস্তিনে হামাস ও ইসলামী জ্বিহাদের সৃষ্টি করেছে; সৌদীকে হেনস্তা করতে শিয়া মিলিশিয়া ও হুতির সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, সব আরব দেশে বিবিধ নামে শিয়া মিলিশিয়া গঠন করে, আরবদের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে।
আজকে যা ঘটছে, অনেক আরবরা ইহার বিরোধীতা করছে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ২:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




