চীন ও জাপানের এটা আছে। ফ্রান্স এর ও আছে, অন্যান্য ১১ টি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে সংযোগ করে। এমনকি উজবেকিস্তান এর ও এই রেল গাড়ি আছে। নাই শুধু যুক্তরাষ্ট্রে, কেন? মনে হয় এটা আমেরিকানদের সংষ্কৃতি। আমেরিকানরা তাদের "কাআআর" কে অনেক ভালবাসে। দিনে ১০০০কিমি চালিয়ে দূরে যেতে হলে যদি ১৪০ ~ ১৫০ কিমি গতিতে তারা "কাআআআর " চালাতে পারেন, তারা তাই করবেন। আমেরিকানদের ভাগ্য ভাল, তাদের পূর্ব পুরুষরা ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য প্রশস্থ ও দীর্ঘ হাইওয়ের পরিকল্পনা সেই ৫০দশকেই করে রেখেছিলেন।
বিশ্বের দ্রুত গতি(ঘন্টায় ২০০কিমির অধিক গতি) রেল ব্যবস্থা প্রবর্তনকারী দেশ সমূহঃ-
প্রথম: জাপান, ১৯৬৪ "বুলেট ট্রেন"
জাপানের দুটি প্রধান শহর হচ্ছে টোকিও ও ওসাকা।
এ দুয়ের জনসংখ্যা ১৯৫০ সালে ছিল ৪,৫০,০০,০০০। তাদের যাতায়ত সমস্যা সমাধান করতে সরকারী তরফ থেকে উদ্যোগ নেয় হয়। ১৯৫৭ সাল জাপানে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সালেই
ফলাফলঃ-
Romancecar 3000 SSE টোকিও তে ১৯৫৭ সালে চালু করা হয়েছিল। Romancecar রেলগাড়িটি চলতো ন্যারো গেজ ট্রেন (রেলপথ এর সমান্তরাল দূরত্ব ছিল ৪ ফুট [১.৪ মিটার] তুলনায় কম প্রশস্থতায়) এবং 90 মাইল (145 কিমি / ঘঃ) যাতায়ত গতি আহরন করে একটি বিশ্ব গতি রেকর্ড স্থাপন করে।
১৯৬৪ সালে টোকিও অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়। তখন ই জাপান তাদের কারিগরি উৎকর্ষতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এই বিশ্বের দ্রুত গতি রেল ব্যবস্থা প্রবর্তন ও প্রদর্শন করতে বিরাট এক চ্যলেঞ্জ গ্রহণ করে এবং সাফল্য জনক ভাবে বাস্তবায়ন করে।
এই বিরাট সাফল্য হোলঃ
তারপরে খুব শীঘ্রই মধ্য ১৯৬০ সালে, জাপান একটি স্ট্যান্ডার্ড (4 ফুট) গেজ সঙ্গে পরিচালিত বিশ্বের প্রথম উচ্চ ভলিউম উচ্চ গতির ট্রেন চালু করে।
এটাকে শিনকানসেন নাম দেয়া হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৬৪ সালে এই ট্রেন উদ্বোধন করা হয়। এটা প্রায় ১৩৫ মাইল (২১৭ কিমি / ঘঃ) এর গতিতে টোকিও এবং ওসাকা চলাচল করছিল। “শিনকানসেন” শব্দটি জাপানি। অর্থ হচ্ছে "নতুন প্রধান লাইন" কিন্তু বিশ্ব ব্যপী এটি "বুলেট ট্রেন” হিসাবে সারা বিশ্বে পরিচিত হয়ে ওঠে।
বর্তমানে জাপানের ব্যস্ততম শিনকানসেন লাইন ১৬০ মাইল উপরে চলমান গতিতে, ২ ঘন্টা ২৫ মিনিটের মধ্যে ওসাকা টোকিও মধ্যে ১৪,৩০,০০,০০০ মিলিয়ন যাত্রী শুরু থেকে ২০১২ সাল পারাপার করেছে। জাপানের ম্যগলেভ রেলগাড়ি প্রতি ঘ্ন্টায় ৬০৩ কিমি গতিতে চলার রেকর্ড করেছে। এটি ৫০০কিমিতে চলার গতি নিয়ে প্রবর্তিত হবে।
ফ্রান্সের টিজিভি(ট্রান্স গ্রঁদ ভিতেয)ঃ-
জাপানের শিনকানসেন (বুলেট ট্রেন) নির্মাণ শুরু করার পর ফরাসি সরকার নতুন প্রযুক্তিতে বিশেষ নজর দেয়া শুরু করে। ১৯৫৯সালে TGV (টিজিভি) ধারণা বাস্তবায়ন শুরু করে গবেষণার মাধ্যমে।১৯৭৬ সালে একই সঙ্গে SNCF প্রচলিত ট্র্যাক উচ্চ গতির ট্রেন গবেষণা শুরু করে।
TGV বিশ্বের চতুর্থ বাণিজ্যিক এবং তৃতীয় স্ট্যান্ডার্ড গেজ উচ্চ গতির ট্রেন সার্ভিস ছিল।
ফ্রান্সের শহর শম্পাইন-আর্দেন-রুটে TGV একটি যাত্রায় গড় গতি ২৭৯ কিমি / ঘঃ (১৭৫.৫ মাইল) উঠাতে পেরেছিল। এই রেকর্ড ২০০৭ সালে TGV বিশ্বের দ্রুততম প্রচলিত ট্রেন এর। ২০০৯ সালে চীনের ম্যগলেভ ট্রেনএই রেকর্ড অতিক্রম করে। সেই ট্রেনের গতি ছিল ঘন্টা প্রতি ৯২২কিলোমিটার (573 মাইল)। কিন্তু নিরাপত্তা ও ব্যয় হ্রাস করনের জন্য চীন এখন সর্বোচ্চ ট্রেনের গতি ঘন্টায় ৩০০ কিমি বেধে দিয়েছে।
চায়নার দ্রুততম: সাংহাই (Maglev) সাংহাই ম্যগলেভ, গতি = ঘন্টায় ৩১১ মাইল
সাংহাই Maglev(একেবারে ভিন্ন প্রযুক্তি, ম্যগনেটিক লেভিটেশান); ঘন্টায় ৩১১ মাইল উপরে গতিতে চলতে রেকর্ড করা হয়েছে। তর মানে ম্যগলেভ এই টরেনটি প্রায় মিনিটে ৫ মাইল যাত্রা।
চীনে এখন ম্যগলেভ রেলের বিশাল নেটওয়ার্ক (৬০০০কিমিটার) যা জাপানের (২৪৫৯কিমিটার) হাই স্পীড রেল নেটওয়ার্ককে ছাড়িয়ে গেছে।
সাংহাই এর ম্যগলেভ রেলগাড়ি, যা হাওয়ায় ভেসে চলে।
সাংহাই ম্যগলেভ
সাংহাই ম্যগলেভ
ক্যালিফোর্নিয়া, $ ৬৮ বিলিয়ন ডলার প্রকল্প
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যলিফোর্নিয়া সরকার প্রযুক্তিতে বহু নতুন নতুন উপাদাান বিশ্ব বাসিকে উপহার দিলেও উঁচু গতির রেল যোগাযোগে এই রাষ্ট্রটি অনেক পিছিয়ে। কিছু প্রকল্প এখন নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে লস এঞ্জেলেস (শীর্ষ গতি: 200 মাইল উপর) থেকে সান ফ্রান্সিসকো এই উঁচু গতি সম্পন্ন রেল গাড়ি চলাচল করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৮