*অসাধ্য সাধন করেছে ভিয়েতনাম।*
তাক লাগিয়ে দিল পুরো দুনিয়াকে। বাজিমাত করলো ভাইরাসের বাজারে। দেখিয়ে দিল~ আমরা পারি। গতকাল থেকে *ভিয়েতনাম পৃথিবীর প্রথম কোভিড-১৯ শূন্য দেশ।*
সবারই প্রশ্ন, কি যাদুর কাঠি ছিলো ভিয়েতনামের?
আসলে আহামরি কিছুই না। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও চিকিৎসায় সুপরিকল্পিত প্লান।
যে সহজ কাজগুলো অন্যান্য দেশ মাস দুয়েকেও পারেনি, তারা করেছে মাত্র ১০ দিনেই।
এমনভাবে পরিস্কার করতো যে, বাজারের সময় শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরে বুঝাই যেতো না এখানে বাজার বসেছিল, শত শত মানুষ এসেছিল।
মার্কেট, দোকানপাট এবং গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা অবশ্য কর্তব্য ছিল। অবহেলা প্রদর্শন না করতে সরকার ব্যাপক প্রচার চালায়, জনগণও মান্য করে।
এয়ারপোর্টেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরী করে। যে যতবড় প্রভাবশালী হোন না কেন বাইরে থেকে এসে ১৪ দিন থাকার আগে কাউকে শহরে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
এবং একটা পরিপূর্ণ চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলে। চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী তোলে দেয়, ২ দিন পরপর তাদের টেস্ট বাধ্যতামূলক করে।
* বিদেশ থেকে প্যাকেটজাত ফুড আমদানি এবং
* জনসমাগম এক্কেবারে নিষিদ্ধ করে।
এই ছিলো তাদের সফলতার টনিক।
আজ চীনের সাথে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা প্রায় ১০ কোটি মানুষের দেশের লকডাউন উঠে যাচ্ছে। *২৬৮ জন রোগী বাড়ি ফিরে গেছেন সুস্থ হয়ে- কেউ মারা যাননি*। একটি রিপোর্টও লুকাতে হয়নি। সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৮৮ বছরের বৃদ্ধাও- একজন ডাক্তার- স্বাস্থ্যকর্মীও মারা যাননি। একটা লোকও ক্ষিধের জ্বালায় মরেনি, রাস্তায় চালের জন্যে দাঙ্গা হয়নি, সরকারি দল রেশন কেড়ে দেয়নি।
আর সবচেয়ে অবাক করা কি জানেন?
হ্যাঁ, ভিয়েতনাম চার লাখ PPE তৈরী করে পাঠিয়েছে সেই আমেরিকায়, যেই আমেরিকা ১৯৭২ সালে রোজ সকালে নাপাম বোমার চাদর বিছিয়ে দিতো ভিয়েতনামী জনগনের ওপর। সেই ভিয়েতনাম নাপামের বদলে আজ গ্লাভস পাঠিয়েছে৷
*হিংসার জবাব ভালবাসায় দিয়েছে৷।*
(Collected) {সংগৃহীত}
(আমার নিজের লেখা নয় এটা; আমাদের নিজস্ব গ্রুপের থেকে নেয়া; যিনি পাঠিয়েছেন, তিনি ও জানাচ্ছেন, এটা তা নিজের নয়)