somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারী-পূরুষের সমান অধিকার: কিছু প্রাসঙ্গিক কথা

২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সংস্কার করবেন তো ভাল কথা। সংস্কার করারও কিছু ক্ষেত্র রয়েছে। স্রষ্টার পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিধানের সংস্কারের উদ্যোগ তো আর অন্য কোন সংস্কারের মত নয়। ভাবতে একটু অবাক লাগে, যে উদ্যোগ নিতে পারেনি দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন সরকার। যে উদ্যোগ নিতে পারেনি ২০০ বছর ধরে ভারতবর্ষ শাসনকারী বৃটিশ সরকার। সে উদ্যোগ নিল সাংবিধানিকভাবে ৯০ দিনের জন্য মতায় আসা তত্ত্বাবধায়ক সরকার। গত ২৪ ফেব্র“য়ারী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ নারীর উত্তরাধিকারের েেত্র স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিতে সমান অধিকার দিয়ে একটি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০০৮ অনুমোদন করে জাতিকে তাদের সাহসের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন কর্েেছ। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বাংলাদেশের আপামর মুসলিম জনতা এর প্রতিবাদ জানাতে থাকে এবং তা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারকে আহবান জানায়। বাংলাদেশের জনগণের নির্ভরতার প্রতীক আলেম সমাজ ব্যাপক প্রতিবাদ জানাতে থাকেন এবং বিবৃতি প্রদান করেন। মুসলিম আইন বিশেষজ্ঞ কলম সৈনিকেরা এর বিরুদ্ধে কলম ধরে সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের অসারতা ও অযৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এত কিছুর পরও সরকার এ নীতিমালা সংশোধন করেনি বরং একটি দায়সারাগোছের ব্যাখ্যা প্রদান করে জনগণকে ভুল বুঝাতে চেষ্টা করছে।

সরকারের প থেকে গত ১১ মার্চ আইন ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ অবশ্য বলেছেন, “নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০০৮- একটি নীতিমালা। এটি কোন আইন নয়।”

’স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তিতে নারী-পূরুষের সমান অধিকার’ বলতে সরকার কি বুঝাতে চাচ্ছে? এটা কি কুরআনুল কারীমের বিরুদ্ধ নীতিমালা নয়? সরকারের প থেকে এর কোন সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি। আলেমগন সরকারের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টাকে ইতোমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের এই অবস্থান অবাক করার মত। সরকার কি মনে করছে যে তারা এদেশের মুসলমান ও আলেম সমাজকে বোকা বানাতে পারবে নাকি সত্যিই তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে তা শোধরাতে সচেষ্ট হয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা এই জরুরী অবস্থার মধ্যে, যখন লোকজনের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেয়া হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে, মিছিল মিটিং-এর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলিম জনতাকে ব্লাকমেইল করে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ইসলাম বিরোধী এই নীতিমালাটি তৈরী করেছে। অথবা সরকার কোন দৃশ্য অদৃশ্য শক্তির চাপের মুখে এ নীতিমালাটি করেছে। বস্তুত: যারা বিভিন্ন নারী সংগঠন বা বুদ্ধিজীবীর নামে এ ধরনের আইন করার জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছেন বা এ ধরনে একটি নীতিমালা পাশ করার পর উল্লাস প্রকাশ করছেন তারা কি বাংলাদেশের সকল মুসলিম নারীর প্রতিনিধিত্ব করছেন। নাকি তারা বিদেশী অর্থে পুষ্ট ইসলামী মুল্যবোধ বিরোধী বিদেশী এজেন্ট, যারা অতি সুকৌশলে ইসলামের বিভিন্ন বিধান ও আদর্শকে বিতর্কিত করতে সচেষ্ট। আসলে যারা কুরআন বিরোধী কোন নীতিমালার প অবলম্বন করে তাদের তো মসুলমান হিসেবেই পরিচয় দেবার অধিকার নেই। সুতরাং মুসলিম নারীর অধিকার নিয়ে মাথা ঘামানোটা তাদের জন্য কি আদৌ মানানসই?

এই নারী উন্নয়ন নীতিমালা পাশ হওয়া নিয়ে এক ধরনের মিডিয়া ব্যবসায়ীর আনন্দ উল্লাস ও লম্ফ ঝম্ফ দেখে মেনে হচ্ছে যে ইসলাম, মুসলমান ও মুসলিম জাতিসত্তার বিরুদ্ধে অনন্তর ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত এই মহলটি সুকৌশলে একটি গণবিমুখ ও দায়িত্বহীন সরকারকে দিয়ে নারী অধিকার ও নারী পুরুষের সমতার নামে এ ধরনের একটি অগ্রহনযোগ্য নীতিমালা পাশ করিয়ে নিতে সচেষ্ট ছিল যাতে পরবর্তীতে উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারী-পূরুষের সমতার দারী উঠিয়ে আমাদের সমাজ-সস্কৃতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও অশান্তির আগুন জালিয়ে রাখতে পারে এবং তারা প্রতিনিয়ত বাইরের উচ্ছিষ্ট খেয়ে মোটা-তাজা হতে পারে। এসকল মিডয়ার উল্লাস ছিল অবাক করার মত। কিছুসংখ্যক শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের হেডলাইনের ভাষাকে রীতিমত উল্লাস বা উচ্ছ্বাস না বলে উপায় নেই।

বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলের ভুমিকাও এেেত্র ছিল অবাক করার মত। এ চ্যানেলসমূহ রাত দশটার পর থেকেই বিভিন্ন টক-শো আয়োজনের প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়। এসব টক-শো তে তারা তাদের পছন্দমত এমন আলোচকদেরকে আমন্ত্রন জানান যারা পপাতদুষ্ট বা আলোচ্য বিষয়ে যাদের ভাল ধারনা নেই। ১০ মার্চ তারিখ এসকল চ্যানেলে যাদেরকে আলোচক হিসেবে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে তারা হলেন বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেত্রী, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী। তাদের একজন তো বললেন, আমরা তো কুরআনের অনেক কিছুই মানি না তাহলে এটি মানব কেন! এই নারীর সাহসের প্রশংসা করতে হয়। তাকে অবশ্য বলা যায়, আপনি যদি কুরআন অনুসরন করতে ইচ্ছুক না হন তাহলে আপনি মুসলিম হিসেবে পরিচয় না দিলেও পারেন। অমুসলমানের জন্য মুসলিম পারিবারিক আইন পালন করা বাধ্যতামুলক নয়। তবে ধর্মের বিষয়ে যার ভাল জ্ঞান নেই তাঁর এ বিষয়ে আলোচনা করা উচিত নয়। আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো, ইসলামের সাথে সম্পর্কিত এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একজন আলিমকেও ডাকা হয়নি। ইসলাম সম্পর্কে যাদের জ্ঞান নেই তারাই ইসলামী বিষয় নিয়ে জ্ঞান বিতরন করবেন। ব্যপারটি আস্বাভাবাকি নয় কি?

এ সকল মিডিয়ার (সবাই নয়) কাজ-কারবার দেখে মনে হচ্ছে এ দেশের কৃষ্টি-কালচার, ধর্ম-আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখানোর প্রয়োজনীয়তা তারা আদৌ বোধ করেন না। শুধু তাই নয় তারা যেন ইসলাম ও মুসলমানদের বিরদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ৯০% মুসলিম অধ্যুষিত দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রের চৌহদ্দিতে বাস করে যেখানে কুরআন, সুন্নাহ, রাসূল ও আবহমান কাল থেকে চলে আসা নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে এবং এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ব্যবসা পরিচালনা করার কথা সেখানে তারা উল্টো ইসলামের শত্র“দের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টায় সদা সচেষ্ট। তাদের এ ধরনের ভুমিকার একটি কারন হতে পারে যে, আমাদের দেশের মানুষের ইসলাম সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব। কিন্তু দেশের সচেতন বিবেকবান ও দেশপ্রেমিক সন্তানদের বুঝতে বাকী নেই যে তাদের আসল মতলব কি বা কাদের সাথে এদের নাড়ী জুডে আছে। এ ধরনে মিডিয়া ব্যবসায়ীদেরকে বলবো, আপনাদের যদি টাকা পয়সার খুব বেশী দরকার হয় তাহলে তো আরও অনেক ব্যবসা আছে। মিডিয়া ছাড়াও দেশে অনেক ব্যবসা আছে এবং এতে লাভের পরিমানও ভাল। আপনারা যেহেতু মানুষের মন-মানসিকতার প্রকৃতি ও তাদের মগজ ধোলাই করার ফর্মুলা ভাল জানেন তাই মানুষের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসাই আপনারা ভাল করতে পারবেন। আপনারা রাজনীতির ব্যবসা করতে পারেন। তাছাড়া লোকজনকে বিদেশ পাঠানোর ব্যবসা, গার্মেন্টস ব্যবসা, ব্যবসাসহ অন্যান্য ব্যবসা করতে পারেন। তাছাড়া আলু-পটলের ব্যবসাও এখন বেশ লাভজনক। আপনারা তো মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকের বিচার করে আসছেন। আপনাদের মন চাইলে কাউকে জাতির বীর সন্তান বানিয়ে দিচ্ছেন আবার মনে না ধরলে কাউকে জাতির চিরশত্র“ বানিয়ে দিচ্ছেন। এখন আপনারাই আপনাদের বিচার করুন। যারা এদেশের মানুষের পকেটের টাকা রোজগার করার জন্য মিডিয়ার বিব্যবসা করেন অথচ গ্রাহকদের আবেগ-অনুভূতি ও কৃষ্টি-কালচারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন না। অথচ ৯০% মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে উল্টো অদৃশ্য সূতোর টানে হীন-স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তাদেরকে ব্লাকমেইল করার চেষ্টায় রত থাকেন তাদেরকে জাতির কি বলা যেতে পারে? এরা কি জাতির বিবেক, বন্ধু, না শত্র“? এদেরকে কি ভাল মানুষ বলা যায়? বিষয়টি সত্যিই ভেবে দেখার নয় কি?

এই নীতিমালা তৈরী ও অনুমোদনের সাথে জড়িত সরকারের আমলা থেকে শুরু করে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণের কেউ কি একবার ভেবে দেখেছেন যে এই ধরনের একটি আইনের কি আদৌ কোন প্রয়োজন আছে। আপনারা কি আদৌ ল্য করে দেখেছেন যে ইসলাম নারীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রশ্নে কেমন ইনসাফপূণ ও শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করেছে। পৃথিবীর কোন মত, পথ, ধর্মই বা শাসনতন্ত্র এমন ভারসাম্যপূণ অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। ইতিহাস স্বাী, ইসলামই নারীকে প্রথম পৃথিবীতে যথাযথ মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে। ইসলাম হিন্দু ধর্মের মত কোন ধর্ম নয় যেখানে আজও পৈতৃক সম্পত্তিতে নারীর কোন অধিকার নেই। এমনকি আমাদের পার্শ্ববতী ৬০ কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীর বাস দেশ ভারত ও নেপালে হিন্দু নারীরা তাদের পিতা-মাতা-স্বামী ও অন্যান্য নিকটাত্ীয়দের সম্পত্তির কোন অংশ লাভ করেন না। বৌদ্ধরা নারীদেরও একই অবস্থা।

যারা নারীকে কুরআন, সুন্নাহ ও ইসলামের বিপে দাড় করাতে চান এবং এর মাধ্যমে দেশবাসীকে ইসলাম সম্পর্কে ভুল বার্তা দিতে চান, তাদেরকে অনুরোধ করবো ইসলাম নিয়ে কোন মন্তব্য করতে গেলে আপনারা ইসলাম সম্পর্কে আরও জানুন। ইসলাম অন্য কোন ধর্মের মতো নিছক কোন ধর্ম নয়। ইসলাম হলো একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা যার মধ্যে মানুষের জীবনে সকল পর্যায়ের গাইডলাইন রয়েছে। ইসলামের উত্তরাধিকার ও সম্পদ বন্টন আইন তো স্রষ্টার প থেকে আসা আইন। এতো কোন মানব রচিত আইন নয়। ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম, আদর্শ বা আইনে নারীর প্রতি বৈষম্য থাকতে পারে। নারীকে পণ্য বানানো হতে পারে, নারীকে অমানুষ ভাবা হতে পারে। নারীকে ভোগের সামগ্রী মনে করা হতে পারে; কিন্তু ইসলামের েেত্র তা একেবারেই খাটে না। পাশ্চাত্যের প্রাচ্যবিদরা ইসলামী আইনের বিভিন্ন দিকের সামালোচনা করলেও তারা কখনো ইসলামের উত্তরধিকার আইন বা সম্পদ বন্টনের আইনের সমালোচনা করেননি; বরং প্রশংসা করেছেন এবং এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন। তাই পাশ্চাত্যে দেশগুলোতেও মুসলমানদের েেত্র ইসলামী উত্তরাধিকার আইনের অনুসরন করা হয়। তাইতো ভারতে দীর্ঘ ব্রিটিশ আমলেও বিটিশরা ইসলামী আইনে হস্তপে করেনি।

আজকে নারী-পুরুষের সমতার নামে বা নারী অধিকারের নামে যারা নারী-পুরুষের মধ্যে বিভেদ ও শত্র“তা সৃষ্টি করতে চায়, কুরআনকে অবমাননা করতে চায় এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ পারিবারিক কাঠামোকে ধ্বংস করতে চায় তারা জ্ঞানপাপী নয়তো অজ্ঞ। তারা আমাদের দেশ জাতি ও মানবতার শত্র“। এদের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে হবে, এদের খোলস উম্মোচন করতে হবে এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও সকল শান্তিপ্রিয় বিবেকবান মানুষকে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।

নারীবাদীরা ‘নারী-পুরুষের সমতা’ বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন তাও মাথায় ধরে না। নারী আর পুরুষ কি এক ? তাহলে ‘নারী’ ও ‘পুরুষ’ এ দু’টি শব্দের সৃষ্টি হলো কেন? নারী-পুরুষের সৃষ্টির ধরন, কর্মত্রে, দায়িত্ব, প্রকৃতিসহ অনেক েেত্রই নারী ও পুরুষের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনারা কি তাহলে এসব কিছুকে সমান করে দিতে চান। তাহলে স্রষ্টাকে বলুন, হে স্রষ্টা, আপনাদেরকে এমন একটি পৃথিবীতে পাঠান যেখানে নারী-পুরুষের মধ্যে দৈহিক ও আত্মিক কোন পার্থক্য থাকবে না। যেখানে শুধুমাত্র এক ধরনের মানুষ জন্ম নিবে যাদের নাম হবে ‘নারী’।

ইসলাম বলে নারী-পুরুষ মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু তাদের দায়িত্ব, কর্তব্য, কর্মেেত্র প্রকৃতি ইত্যাদিতে ভিন্নতা রয়েছে। ইসলাম এ কথা বলে না যে, নারীর চেয়ে পুরুষ শ্রেষ্ঠতর; বরং নারী পুরুষ একে অপরের অংশ। একই মা-বাবার সন্তান। সৎকর্মশীল নারী পুরুষ নির্বিবেশে সবাইকে আল্লাহ তায়ালা মর্যাদা ও পুরুস্কার দান করেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “আমি তোমাদের মধ্যে কর্মে নিষ্ঠ কোন নর অথবা নারীর কর্ম বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ. তাহাদেরকে (নারী-পুরুষ নির্বিশেষে) প্রবেশ করাব জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রকাশিত” (সূরা আলে ইমরান ঃ ১৯৬) বরং সৎকর্মের ফলে নারীও পুরুষের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হতে পারে। অসৎচরিত্রের পূরুষ কোনক্রমেই একজন সৎকর্মশীল নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে না। কুরআন এমনটি বলেনি।

ইসলাম বলে নারী-পুরুষ একই স্রষ্টার সৃষ্টি। (সূরা নিসা ঃ ১) কুরআনুল কারীম উত্তরাধিকারের েেত্র নারী-পুরুষের মধ্যে যে পার্থক্য করেছে তার পেছনে যুক্তিসঙ্গত কারণ ও হিকমত রয়েছে যা আমাদের সবারই জানা। আর এই বন্টন ব্যবস্থা যেহেতু আল্লাহর প থেকে এসেছে তাই তা মেনে চলা প্রতিটি মুসলিমের উপর অবশ্য ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে। আর নারীদেরও পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে অংশ আছে, তা কম হউক বা বেশী হউক, এটি অবশ্য পালনীয় নির্ধারিত অংশ।”

এই বণ্টন ব্যবস্থা যদি কোন মানুষের জন্য বোধগম্য নাও হয় তাহলে তা মানতে হবে কারণ মানুষের জ্ঞান বুদ্ধির তো সীমাবদ্ধতা রয়েছেই। বিশেষ করে মুসলিম হিসেবে মুসলমানদের পে তা মেনে চলার অধিকার তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। এটা আল্লাহর নির্ধারিত বন্টন ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যারাই অবস্থান গ্রহন করবেন, তিনি প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা, বুদ্ধিজীবী বা সাংবাদিক যাই হোন না কেন, তাদের সবাইকে আল্লাহর এই সতর্কবানী স্মরণ রাখতে হবে: “ আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হয় এবং তার সীমারেখা অতিক্রম করে তাকে তিনি দোযখে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে স্থায়ীভাবে থাকবে। তার জন্য লাঞ্ছণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। (সূরা নিসা ঃ ১৪) । সুতরাং আল্লাহর আযাব থেকে সাবধান!


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×