কবি উপন্যাসটি যখন পড়েছিলাম তখন বয়স ছিল কম। ঊনিশ কিংবা কুড়ি। অভিজ্ঞতা ছিল সীমিত। এখন মধ্য ৩০ এ এসে অনুভব করছি ঐ উপন্যাসের গভীর গোপন বক্তব্য। কালো যদি মন্দ তবে চুল পাকিলে কান্দ ক্যান! ইদানিং মাথায় ২/৪টি শুভ্র কুন্তলের গোপন উত্তরণ দেখতে পাচ্ছি! কিন্তু কেন? কিভাবে?? কখন??? আমার মাথার চুল যদি পাকে তবে এইতো সেদিন ঝিমধরা দুপুরে মফস্বল কুমিল্লা শহরের মাঠে মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলতো কে? কে ওড়াতো ঘুড়ি ৪ তলার ছাদে, হাফপ্যান্ট পরে? নতুন এভন সাইকেল কিনে দিতে বাবা-মার সাথে মল্লযুদ্ধই বা করতো কে?
অবশেষে তাহলে এটা শুরু হলো! শুরু হলো তবে ক্ষয়!! কিন্তু আমি ক্ষয় হতে চাই না এতো তাড়াতাড়ি। কিছুই করিনি এখনো জীবনে। তা হলে কেন?
কিশোর কুমারের কি একটা গান:
এ কি হলো
কবে হলো
কেন হলো জানি না
শুরু হলো
শেষ হলো
কি যে হলো জানি না তো!
যাক, শরীরের বয়স তো আর ধরে রাখা যাবে না তাই সিদ্ধান্ত নিলাম মনের বয়সটাই ধরে রাখবো। মনের দিক থেকে থাকবো চিরনতুন। হবো নবীন।
আমার ছেলে মেয়েদের বন্ধু হবো। শিশুদের কাতারে নিয়ে আসবো নিজেকে। তাতে যদি মনের জীর্ণতা থেকে দূরে থাকা যায়!
মানুষের কয়েকটা ভাল কাজে লাগলে তো নিজেকে নিজে বলতে পারবো যে আমিও প্রয়োজনীয় ছিলাম এই পৃথিবীতে। কিছু হলেও কাজ করেছি। অর্জন আছে কিছু! একেবারে রিক্তহস্ত নই।
[ প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহম্মদের মৃত্যু থেকে সূচিত ভাবনা]
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


