somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এন্টি ধার্মিক এর ধর্ম কথা ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধার্মিক মানুষ দের ভিতর, আধুনিক বিশ্বের সিংহ ভাগ ধার্মিক ক্রিষ্টান, মুসলিম আর ইহুদি ধর্মের . আমার কাছে যেটা আজব লেগেছে তা হল , এই তিন ধর্মের বই পড়লে মনে হয়। আরব এর ছোট একটা বর্গ ভূমি ছাড়া দুনিয়া তে কোথাও কিছু নাই . জায়গাটা জেরুসালেম এর কয়েক শত মাইল এর ভিতরে। এবং এই বিশ্ব মহাবিশ্বের যাবতীয় ঘটনা ঘটে গেসে এই কয়েকশ মাইল এলাকায় ভিতর ।

সর্ব শক্তিমান খোদা বা আল্লাহ, তার যাবতীয় দিক নির্দেশনা মূলক জ্ঞান এর ভান্ডার , মানব জাতির ইতিহাস এর ব্রোঞ্জ যুগের এক কাঠ মিস্তিরি (ক্রিষ্টান) আর মধ্য যুগের এক রাখল এর কাছে দিয়ে গেছেন . মুসা পর্যন্ত নাই গেলাম . যখন পার্মানেন্ট লেখার বস্তুর এতই বিরল যে, কাঠ, পাতা আর শ্রুতি মূলক অনির্ভরযোগ্য মাধ্যমে যাবতীয় জ্ঞান সংরক্ষিত হইত , একটু কষ্ট করে এই জ্ঞান এর ভন্ডার চীন দেশে "নাজিল" করলে অন্তত চিনা নবীরা পার্মানেন্ট বই এর মাধ্যমে এই প্রাপ্ত জ্ঞান বা ওহি লিখে রেখে যাইতে পারতেন।

তৌরাত এর পৃথিবী বর্ণনা শুনলে করুনা হয়।পৃথিবী সমতল, আর আকাশে আছে পানির আস্তরণ বা কেনপি।!
বেচারা বাইবেল লেখক রা পরে গেসেন আরো বিপদে, তাদের দৃষ্টি তে পৃথিবী গোল না, ফ্লাট ছিল এবং আকাশে খোদা বসে খোদা গিরি করতেসেন। কোরান লেখকরা যেহেতু আরো ৬০০ বছর পরে আসছেন তাদের পৃথিবী আর একটু উন্নত। কিন্তু তাদের সূর্য ও শয়তান এর সিঙ্গার নিচে অস্ত যায় . আর শীত গ্রীষ্ম আসে "দোজখের" তপ্ত আর শীতল নিশ্বাস থেকে. "বিজ্ঞান" ময় কোরান আকাশের তারকারাজি "শোভা বর্ধন কারী "
বেচার মধ্যযুগের লেখক বুঝতে পারে নাই " তারকারাজি" আসলে কি আর কত দুরে , তারা কি "শোভা বর্ধন কারী " নাকি একেকটা তারা মানে একেকটা মহা বিশ্ব . এবং সর্বপরি এই মহাবিশ্ব এতই বিশাল যে, আমাদের সমগ্র পৃথিবী তো দুরে থাক। আমদের মিল্কি ওয়ে গেলাক্সী একটা ধুলার কনার সমান। কিন্তু ভুইলেন না, এদের "সৃষ্টি" কর্তা খেয়াল করতেসে আপনে ইন্টারনেট য়ে সনি লিওন রে দেখতেসেন না জোকার নায়েক রে। আপনে ব্রোঞ্জ যুগের কাঠ মিস্তিরির কাস থেকে "জ্ঞান বিজ্ঞান" শিক্ষা নিচ্ছেন , নাকি মধ্যযুগীয় রাখল এর কাছ থেকে। এটা তার কাসে খুবই গুরুত্ব পূর্ণ , এবং এখানে ভুল হইলে আপনাকে ইনফিনিটি পর্যন্ত আগুনে পুড়ানোর বা নানাবীধ শাস্তির বেবস্থা উনি তৈরী করে রেখেছেন। ভুলেন না উনি আবার আপনাকে খুবই ভালোবাসেন . এবং তাই একটা ধর্ম না পাঠিয়ে উনি নানান ধর্ম পাঠিয়েছেন সময়ে সময়ে, এবং সব গুলা দাবি করছে, ইহাই সহিহ, ইহাই শেষ। এবং ইহাই একমাত্র পথ।

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে, পাঠানো ধর্মের প্রকোপ কমতে কমতে এখন শুন্যের কোঠায় . মহা শক্তিমান এর "অলৌকিক" মোজেজা , ভিডিও ক্যামেরা ,ইন্টারনেট আসার পর থেকে আশঙ্কাজনক ভাবে কমতে কমতে শুন্যের কোঠায় . তখন মনে মনে প্রশ্ন ঝিলিক মারে , সুনামি, ভূমিকম্প আল্লাহর সৃষ্টি, নাকি আল্লাহ সুনামি , ভূমিকম্প, বজ্র পাত দ্বারা সৃষ্টি ? আল্লাহ খালি এমন রোগ কেন ভালো করতে পারে যা কিনা এমনি এমনি ভালো হয় বা মানুষের চিকিত্সায় ভালো হয় , কেন কখন প্রার্থনায় কারো নতুন হাত পা গজায় না ? কেন কেম থেরাপি শুরুর পর থেকে ক্যান্সার কমানোর দোয়া কাজ করে ?

মানব চেতনার উন্মেষের শুরুতে, বজ্র, বাতাস, গাছ পালা , আগুন এরাই ছিল খোদা . মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণ করা শেখার সাথে সাথে আগুন দেবতা থেকে হয়ে উঠলো, দেবতার পাঠানো নেয়ামত। এরপর মানুষ যত দিন যেতে লাগলো আসতে আসতে বুঝতে শিখল, বজ্র , বৃষ্টি , আগুন, গাছ এগুলা কোনটাই খোদা না, ধর্ম চেঞ্জ হয়ে আসলো এদের নিয়ন্ত্রণ কারি আকাশ চারি দেবতাগণ। এবং তাদের প্রেরিত পুরোহিত গণ।

জ্ঞান এর আরো বিকাশ এর সাথে সাথে অনেক দেবতা থেকে বের হল "প্রধান" দেবতা। আরো সময় গেল, তারপর আসল প্রধান নয় একটাই দেবতা বা মনথিস্ট ধর্ম . জ্ঞান আরো বিকাশের সাথে সাথে, মানুষ সিধান্তে আসল একটা দেবতার ও প্রমান মিলছে না। তাই প্রমান না মেলা পর্যন্ত আমি জ্ঞান বিজ্ঞান এর পুজারী এবং সংশয় বাদী . (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
২৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×