somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকৃত মূত্রমনা'র সন্ধানে....

১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসলাম ধর্মে কি উটের মুত্র খেতে বলা হয়েছে??!! 

চলুন প্রথমে একটা হাদিস দেখে আসা যাক

Sahih Bukhari: Volume 001, Book 004, Hadith Number 234.

Narated By Abu Qilaba : Anas said, "Some people of 'Ukl or 'Uraina tribe came to Medina and its climate did not suit them. So the Prophet ordered them to go to the herd of (Milch) camels and to drink their milk and urine (as a medicine). So they went as directed and after they became healthy, they killed the shepherd of the Prophet and drove away all the camels. .........

সাহিহ বুখারিঃ

ভলিউম ১, বুক ৪, হাদিস নঃ ২৩৪

আবু কিলাবা বর্ণনা করেছেনঃ আনাস বলেছেন, “উকল ও উরাইনা গোত্রের কিছু লোক মদিনাতে আসে এবং মদিনার আবহাওয়া তাদের খাপ খায় নি। সুতরাং [{নবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}] তাদের উটের পাল থেকে দুধ ও মুত্র খেতে হুকুম করেন। সুতরাং তারা হুকুম মত কাজ করে, এবং তারা সুস্থ্য হবার পর, তারা নবীর রাখালকেই হত্যা করে, এবং সব উট নিয়ে পালিয়ে যায়............

এ হাদিসে আমরা জানলাম যে ২টি গোত্রের লোক মদিনাতে আসে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। [{নবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}]
তখন তাদের উটের দুধ, ও মুত্র, পান করতে বলেন, এবং তারা মুত্র ও দুধ খাবার পর সুস্থ হয়ে যায়। এরপর তারা নবীর রাখালকেই হত্যা করে, ও উটের পাল নিয়ে পালিয়ে যায়। 
(এই হাদিছটিতে [{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}] এর বিরাট মানবতার দৃষ্টান্ত রয়েছে তিনি তাদের জিবন বাচানোর জন্য চিকিৎসা করলেন ও নিজের উটের দুগ্ধ পান করতে বললেন যখন তারা বললো তাদের অসুখের কথা তখন[{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}] ডাক্তারও ছিলেন এবং তিনি দেখলেন তাদের যে অসুখ
তা উটের মূত্র পান করলেই সেড়ে যাবে
তাই তিনি তাদেরকে তা পান করতে বললেন ও তারা তা পান করলো, আর সত্যি সত্যিই তারা সুস্থ্য হয়ে গেলো কিন্তূ সুস্থ্য হওয়ার পর তারা নিমক হারামি করলো ও যিনি তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন,এমনকি মারাত্মক রোগের চিকিৎসাও করলেন অর্থাৎ জিবন বাচিয়ে দিলেন, তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে তারই রাখালকে নির্মমভাবে হত্যা করে, তারই সব উটের পাল নিয়ে পালিয়ে গেলো...; হায়....!
তবুও [{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}] তাদের জন্য বদদোয়া করলেন না। কতো মহান জিবন আদর্শ তার )

""আর ধর্মকারী বনাম পর্ণকারী ব্লগের চামচা কাফেররা জানেইনা যে তারা কোন্ বংশ থেকে এসেছে [{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}]এর হাদিছের ভুল ব্যাখ্যা করছে ও টিটকারি মারছে...!
তাদের বংশই ছিলো সেই বংশ যে বংশের লোকের কথা এই হাদিছটিতে রয়েছে
সেদিন [{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}]
যাদেরকে উটের মূত্র পান করতে বলেছিলেন ও তারা তা পান করে তার রাখালকেই হত্যা করে সব উট চুরি করে [{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}] এর ক্ষতি করে (নিমক হারামি করে)
উটের মূত্র খেয়ে পালিয়ে
গিয়েছিলো.... আজকের নাস্তিক মুর্তাদরা ও যারা মুছলমানদের থেকেই লাভ বুঝে নিয়ে মু্ছলমানদেরকেই টিটকারি করে, এরাই সেই বংশধর
আর এরাই সেই দিন মূত্র খেয়ে উপকারের কথা ভুলে গিয়ে উল্টা ক্ষতি করে গিয়েছিলো
আজও সেই মূত্র পানকারী বংশের সন্তানরাই সেদিনের মূত্র পান করে সুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা ভুলে গিয়ে আজ তারা সেই মূত্রের কথা বলেই মুছলমানদেরকেই টিটকারি করে, "পুরাই উল্টা কাজ কর্ম" সেইদিনের মূত্রপানকারীদের ঘটনার সাথে এই সমস্ত শয়তানদের মিল রয়েছে, আচরনেই প্রমান পাওয়া যায়
আর আমাদের মনে রাখা উচিৎ যারা সেইদিন, [{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}] এর বাড়িতে আসে তার ক্ষতি করতে, কিন্তূ তিনি তাদের কোনো ক্ষতি করেননি বরং মেহমানদারী করলেন সংবর্ধনা জানালেন ও বিনামূল্যে চিকিৎসাও করলেন
তারা সুস্থ হলো কিন্তূ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলোনা, বরং জানোয়ারের দল
সর্ব নিকৃষ্টের মতন লুন্ঠন ও খুন করে সব নিয়ে পালিয়ে গেলো, তবুও [{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}] তাদের জন্য বদদোয়া করলেননা, কতো মহান তিনি... কতো মহান তার জিবন আদর্শ...! মানবতার মহান দৃষ্টান্ত...

অনেকে ভাবতে পারে, ইসলাম কেমন ধর্ম যে এর নবী মানুষকে মুত্র খাওয়ার হুকুম করে?!!

প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে যে এই হাদিসটিতে লোকগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে, এবং সেই রোগ এর ঔষধ হিসেবে আমাদের [{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}] তাদের মুত্র খেতে বলেন । কারন নবী জানতেন, তাদের ওই বিশেষ অসুস্থতার নিরাময় রয়েছে উটের মুত্রতে। এবং লোকগুলো তা খেয়ে সুস্থ হয়। 

মুত্র খাওয়া ইসলাম ধর্মের কোনো রিতী নয়। ইসলাম পরিছন্নতা কে বিশেষ গুরুত্ত দেয়। এবং মল মুত্র থেকে পরিছন্ন থাকার হুকুম দেয় (সাহিহ বুখারি, book 23, hadith number 460) ।

তবে এই হাদিসে কেন নবী মুত্র খেতে বললেন?

ইসলাম বাস্তব্বাদি ধর্ম। কোন বিশেষ অসুখের নিরাময় যদি শুধু মুত্রে থেকে থাকে, তবে তা খেতে ইসলামে কোনো বাধা নেই।

আজকের উন্নত পৃথিবীতেও কিছু বিশেষ রোগের ঔষধ মুত্র থেকে তৈরি হয়। কিছু উদাহারন নিচে দেওয়া হলঃ

PREMARIN নামে একটি ঔষধ যেটা বহুল প্রচলিত, বানানো হয় ঘোড়ার মুত্র থেকে। এই লিঙ্ক এ যেয়ে পড়ুনঃ 

http://www.premarin.org/

অনেক সময় মানুষের মুত্র দিয়ে বানানো ঔষুধও আমরা খেয়ে থাকি, হয়ত আমাদের অজান্তেইঃ 
এই যে লিংক
http://healthland.time.com/2010/09/13/the-strange-world-of-drug-origins-nuns-urine-yew-trees-and-rooster-combs/

হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টাণ, নাস্তিক, সবার কাছেই মানুষ এর জীবন অতি মুল্যবান জিনিস। সেই জীবন রক্ষার জন্য যদি কখনো মুত্র খেতে হয়, তবে তা নিশ্চই কোনো অন্যায় নয়।
আর চিকিৎসা বিজ্ঞানও "মূত্রকে" চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করে আসছে
অর্থাৎ ঔষুধ হিসেবে প্রয়োগ করছে,সুতরাং বিষেশ রোগের জন্য তাদের যে চিকিৎসা করেছিলেন [{আল্লাহর রছুল ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}]
তাতে তাদের রুগ সেড়ে গিয়েছিলো তা এই হাদিছটিতেই উল্লেখ রয়েছে।
আর এ থেকে ইছলাম মানবতার প্রতি দয়া করেছে
এবং বুঝিয়ে দিয়েছে, মূত্র পান হারাম বা নিষিদ্ধ হলেও মানুষের জিবন বাচানোর জন্য তা পান করা যাবে ঔষুধ হিসেবে ।
আজকের বিজ্ঞানও মূত্র দিয়ে ঔষুধ বানাচ্ছে ও রুগিকে খাওয়াচ্ছে, রুগির অজান্তেই তাই মনে রাখতে হবে আজ থেকে ১৪শত বছর আগে যখন বিজ্ঞান ছিলোনা তখন [{আল্লাহর রছুল ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}]
এইসব জানতেন।
আর আল্লাহর রছুল ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম
ছিলেন মানবতার জন্য রহমত স্বরূপ
ও বিরাট ডাক্তারও বটে, নিশ্চয় কাফেররা তা স্বীকার করেনা ও হাসাহাসি করে, অভিশাপ তাদের সেই হাসি মুখের উপর
আর ধর্মকারী বনাম পর্ণকারী ব্লগে যতো কাফের আছে যারা [{মহানবী ছল্লাল্লহু য়ালাইহি ওয়াছাল্লাম}]কে নিয়ে কটুক্তি ও অভদ্রতা প্রকাশ করে ও এইসব হাদিছের ভুল ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে তাদের যেনো মৃত্যুর আগে সেই রোগ হয় যে রোগের ঔষুধ "মূত্র"
আর তারা যেনো সবসময় মূত্রের চিন্তায় ব্যস্ত থাকে(মূত্র নিয়ে মুছলমানদের টিটকারি করতে করতে মূত্রের কথা বলতে বলতে প্রকৃত মূত্রমনা হতে পারে) আমিন ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯
১৪টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×