প্রেমের রুপ খুজতে খুজতে আসলেই বয়স বেরিয়ে গেলে চামড়ার খোলস ছেড়ে, সোজা নেমেই হাটা দিল, তাকে আর যৌবনে, হাড়ে চামড়ায় বেধে রাখতে পারলাম না। কিন্তু সেই ত্যক্ত অভিজ্ঞতা ও অনুসন্ধান শেষে সেই প্রেমের আসল রুপ দেখা তো পেলাম না, কোথায়.......? কোথায় তুমি?
আজকালকার সর্ম্পকগুলোকে প্রেম বলে বড় গর্ব করে প্রচার করা হচ্ছে, আমার তো মনে হয় এসব প্রেম নামে সর্ম্পকগুলো কেবল (জন্ম নিরোধক) বস্তুগুলোর বিক্রি বাড়িয়ে চরিত্র আর নৈতিকতার পর্দা নামাচ্ছে, তাছাড় আর কিবা বলতে পারি আমরা, ঢলাঢলি, গলাগলি, একজনের সাথে ব্রেক তো আরেকজন হাত ধরাধরি, একজনের প্রেমিকার ১৪ জন আশিক, বিশজন বন্ধু, ১জন স্বামী /স্ত্রী তাও আবার প্রত্যেকে আলাদা আলাদা গোত্রের স্টাইলের ডিজাইনের (ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)। শারীরিক টানের অবাধ্য মেলামেশার নামে অনেকেই (সবাই না) আজ মোহ-লালসা-নৈতিকতার অবক্ষয়) কে প্রেম বলছেন, অনুরোধ বলবেন না।
মোবাইল আর একটি ব্যধি হয়ে দেখা দিয়েছে। মেয়েদের নাম্বার নিয়ে বাংলাদেশের বিশেষ করে মধ্য ও নিচু শ্রেনীর ছেলেরা টাকা নষ্ট করে চলছে অযথা এবং সাথে সাথে বাড়িয়ে তুলছে দেশের কস্ট ভলিউম। ৬৫ বছরের দাদী থেকে শুরু করে ৫ বছরের বাচ্চা মেয়ে সবার নাম্বারেই মিস কল দেয়, কল করে, কথা বলতে চায়, প্রেম করতে চায় (আপনার আমার মা-বোন-দাদী, ভাগ্নি, ভাতিজি যতই বোঝাতে চায়, সে বোঝেই না), একটা নাম্বার ব্লক করলে দশটা নাম্বার দিয়ে কল দেয়, কি করবেন, কোথায় যাবেন? সামাজিক শুদ্ধি অভিয়ান, মেধার মগজের মধ্যে এসব কথা ঢোকাতে হবে, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এই মোবাইল প্রেমে পরস্পরের চেহারা না দেখা প্রেমিক প্রেমিকারা যে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে, নস্ট করছে শত শত টাকা, তার জবাব কে কাকে দেবে, মোবাইল যেমন একটা উপকারী দরকারি জীবনের অংশ, তেমনি সামাজিক কস্ট বাড়িয়ে চলছে অযথাই, রাতের ঘুম হারাম করা নানা যন্ত্রনার একটি স্বাস্থ্যগত ও মানসিক সমস্যার জন্ম দিচ্ছে এ সর্ম্পকগুলো, সিম বন্ধ প্রেম বন্ধ, প্রেমিকা উধাও, প্রেমিক উধাও, যাও মর।
এসব কি প্রেম, এসব কি ভালবাসা...? কোথায় তুমি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




