জীবনের আসলেই কি কোন দাবী থাকে, জানি না। আমাদের দ্বারা জানা হয় না। আমরা কেবলই অবাক হয়ে যাই মানুষের আবদার দেখে। মানুষ কোথায় কখন কিভাবে নিজেকে বড় ভাবে সে নিজেও জানে না। কিন্তু অজানন্তেই আমরা আমাদের খুব বেশি বড় ভাবতে শুরু করি। আমাদের অর্জন আমাদের চেতনাকে বড় ভাবতে শেখায়, যা আমাদের পতনের অন্যতম লক্ষন, ভাবুন যদি মহানবী (স) যদি নিজেকে বড় ভাবা শুরু করে দিতেন, তবে? না বেশি দুর ভাবতে হবে না, বড় আমরা হই, আমরা অন্যর চিন্তার বিফলতা দিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখি কিন্তু আমরা কি আসলেই বড়, আমাদের পরিচিত গন্ডি ছাড়িয়ে যখনি সমাজময়, দেশ-জাতিময়, জগতময় ভাবতে শুরু করব তখনি আমরা আমাদের হারিয়ে ফেলি, হাজারও গুনি মানুষের ভীড়ে আমাদের অবয়ব কোথাও খুজে পাওয়া যায় না। আমরা তখনি বুঝতে পারি আমরা কতটা ছোট, ক্ষুদ্র। যাই হোক বর্তমান মানুষদের অহংকারটা যেন একটু বেশি ডানা মেলছে। একটা ভাল শিক্ষাজীবনের সাথে দামী চাকরি জীবনের সংযোগ হলেই আমরা অন্যদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে শুরু করি, নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের উদহারন তুলে তুলে অন্যদের প্রতিনিয়ত ছোট করতে করতে আধিপত্য বিস্তারে ব্রতি হই। বড় হওয়ার আকাংক্ষায় এত বেশি উম্মাদ হয়ে যাই যে, পরিবার দেশ, সমাজ মানবতাকে নিলামে তুলে দেই। এ নিলামের ঢেউ ভেসে যায় পিতা-মাতা, ভাইবোন, আত্মীয় স্বজন সম্পর্কগুলো, আমরা আমাদের মনে আলামারীর মত তালা লাগিয়ে চারি লুকিয়ে রাখি ব্রিফকেসের গোপনে কোডে। অহংকার এ নয় যে, আপনি কেবলি আপনার নিজের বড়াই করছেন, অহংকার হচ্ছে,
হোটেলের ঐ বয় কে সামান্য ডাকে, আপনার আওয়াজের অহংকার।
অহংকার হচ্ছে আপনার পিতার কোন দাবীতে আপনার অভিব্যক্তি, আরে তুমি রাখো তো, তোমার এত বেশি বুঝতে হবে না
অহংকার হচ্ছে, আপনার মায়ের প্রতি আপনার রাগ মিশ্রিত বানী- মা, তুমি থামবা, বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
অহংকার হচ্ছে, আপনার দামী স্যু এর উপর কারো ভুলে সামান্য পাড়া পড়লে, এই ব্যাটা দেখোস না, টাইপ কথা বললে।
অহংকার হচ্ছে, বন্ধুর সাথে খারাপ ব্যবহারের পর তাকে সরি না বলা, নিজের আধিপত্য নিজের বড়ত্ব বজায় রাখতে চেয়ে বন্ধুকে ছোট করা, এখানে উল্লেখ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্পদ ও অর্থ আধিপত্য হিসেবে এক বন্ধু যদি একটু ছোট হয়, তবে সরি সবসময় ঐ ছোট বন্ধুকে বলতে হয়, যা আসলেই হৃদয় বিদারক। অহংকার কেন মানুষ নিজের দামী পোষাকের সাথে খট খট আওয়াজ ওয়ালা ইটালীয়ান জুতায় ফুটিয়ে তোলে (যা এখন র্স্টামনেস হিসেবে খ্যাত, কিন্তু আমি জানি না, তা সব জায়গায় কেন প্রযোজ্য, সাধারনত অফিস আওয়ার শেষেও অনেককে টাই, বুট লাগিয়ে সিনা টান টান করে হাটতে দেখা যায়, এক্সিকিউটিভ ভাব (এরা কি জানে না, মরণের পর সব এক্সিকিউটিভ-ই মাটির ঘরে ঘুমাবে, কারো গলায়ই তখন টাই আর পায়ে ইটালীয়ান জুতা থাকবে না, নেংটো শরীরে সাদা কাফন ঐ পিয়নেরও থাকবে ঐ এমডিরও থাকবে)।
অহংকার আসলেই এখনকার যুগে বড় বেশি দেখা দিচ্ছে আচরণে। বাকিটা পরে লিখব ইনশাআল্লাহ... (কাজ করছি)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




