বেদনার পাশে হাটে সমবেদনা
বাড়িয়ে জীবনের আবেদনা
জি স্যার , বিপদে পাশে ছিলাম,দেন কিছু।
(শালা মানুষে পটল তুলছে তুই কি চাইস?হয় না, চেচানো, দামামা বাজানো, চুপসানো আমায় আকড়ে ধরে আমি, ভয় দেয়, বেটা চুপ কর, মারবে লোকে)
আবেদনা বাড়ে.....
রক্তর প্রতি কৃতজ্ঞতার
দায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রূতির, মানবতার প্রশ্নে
আবেগের ঢেউ কেটে অসম আবেগের পর্দাপন
ভাবাবেগের চরম স্বার্থে মানবতার হয় লুন্ঠন।
রক্তর প্রতি লেলিয়ে ওঠে হীন স্বার্থের গভীর ভাষন,
হাহাকারের প্রতি কবির কণ্ঠে জাগে দরদী কাঁপনা
দেশপ্রেমিকের মৃত-চিত্রের পাশে শোভা পায় মালা
কাব্যে-গদ্যে, তোপে বাদ্যে জাগে শ্রদ্ধা, কথার-বালা
দায়িত্বের পাশে আকাঁ হয় প্রতিজ্ঞার হুংকারী শ্লোগান
তারপর শব নিয়ে ঘাড়ে, রক্তরা পোড়াতে খোঁজে শশ্মান,
তারপর অতিআবেগ, অতি সমবেদনা, শিরোনামে, ব্লগানে
(চারদিকে সকলে আসে, কাদে, কাদায়, বাজায়, বাজে, তারপর স্বার্থ কথা বলতে দ্বিধা করেনা, জি স্যার , বিপদে পাশে ছিলাম,দেন কিছু।)
শ্রদ্ধা, সমবেদনা, সেমিনারে শোক-বার্তায়
উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। কি হবে এ জাতির।
এত আবেগের ফলাফল কি? সমবেদনার শেষে কি?
স্যার জি, বিপদে পাশে ছিলাম,দেন কিছু (এরকম আবেদনা)
কালের এ পাতায় পড়ে থাকা লেখায়, দমে থাকে আমর জিঞ্জাসা.......
ভাষনের দিন যায়
কর্মের ফলাফল কি? কবিতায় রাত যায়
দেশপ্রেমের দায়িত্ব কি?এত সমবেদনার আবেদনা কি?
(ব্যক্তি থেকে দেশের সকল স্তরে, কিছুই সহ্য হয় না, মানুষ বড়ই স্বার্থপর, মরনের লাশের উপর এসে দেনার বার্তা পৌছায়, স্যারদের বাড়িতে কাফন দিয়ে প্রমোশনের দাবী তোলে)
কবিতায় কেবলই প্রেম, ভালবাসা লিখে লিখে দেশটাকে মেহকাদা বানিয়ে মাতাল হয়ে আছি আমরা, দেশের কথা কেউ ভাবছি না, আমি নিজেও। কিন্তু ভাবা উচিত নয়কি?) জানি না, কি লিখেছি ক্ষমা করবেন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




