somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডাইরীর ভাবনা

২৪ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২২ই জুন, ২০১০ রোজ সোমবার বেলা ১.০০ টা। গুলসান, ঢাকা

আজ সকালে উঠেই মনটা খুব একটা ভাল লাগল না। সকালে উঠেই গোসল করলাম। অফিসের জন্য বের হলাম। রাস্তায় শফিক ভাই এর সাথে দেখা হলো। তার সকাল বেলার শুরুটা ছিল এভাবে-
কি ফিরোজ কি করো?একা একা দাড়ায় আছো যে?
- না শফিক ভাই, একজনের জন্য অপেক্ষা দেখছি, ও আসলে ওর সাথে যাবো।
- আরে মিয়া তোমার জিবনটা শেষ হলো অপেক্ষায় অপেক্ষায়
এ পর্যন্ত খুবই ভাল লাগল শফিক ভাই এর কথা, আজ সকালের এ কথাগুলো মনের ভেতর আসলেই গেথে আছে। আমি জানি কিংবা না জানি অনেকেই এ কথা জানে। কিন্তু আমি যে কিতাবের কথা সব সময় বিশ্বাস করি। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের যে সকল চাওয়া সেগুলোর কোন আওয়াজই আমি আজ পর্যন্ত শুনতে রাজি নাই জাগতিক হিসাবে। আমার একটাই কথা যা বলা আছে কিতাবে তাই হতে হবে। তাছাড়া মানুষ হতাশ হবেই, মানুষ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবেই, আপনার আশেপাশে কেউ-ই নিজেকে ভাবার আগে আপনাকে ভাববে না, এটাই সত্যি, তাই আমাদের উচিত এটা মেনে নেয়া। আমরা এসব মেনে নিলেই দেখতে পাব পৃথিবী আশা-হীন যদিও কিন্তু হতাশার নয়। কিছু মনে করবেন না, (যে পড়ছেন তাকে বলছি) আমি মহা-মানব ভাব নিয়েছি, আসলেই আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবী হাসুক না হাসুক নিজের ভেতর খুব ভাল লাগবে যতক্ষন আপনি সৎ পথে থাকবেন, পৃথিবী বাহবা দিক না দিক আপনি নিজেকে নিয়ে গর্ব বোধ করবেন, অবশ্যই, সেক্ষেত্রে হয়তো একবেলা কম খেয়ে থাকতে হবে, তবুও সেই ক্ষুধায় কষ্ট গ্যাসের হামলা আপনাকে অনেক তৃপ্তি দিবে। আমি পৃথিবীকে বহু ভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। বহুভাবে আমার উপর আছড়ে পড়েছে পৃথিবী, বহু আঘাত জর্জরিত এ অন্তর, এমন না যে, আমি সব জানি, না আমার নিজের উপর আছড়ে পড়া কথাগুলো কি ভুলতে পারি? মানুষের রং বহু প্রকারের, বহু ধরনের। মানুষ কেবল নিজের রং ছাড়া অন্য কারও রং সে গ্রহন করতে রাজি থাকে না, সবার নিজের আলাদা আলাদা রং থাকে। তারা সকলে নিজেদের রং নিয়ে বেচেঁ থাকে, নিজেদের মত করে। তাদেরকে আমরা এভাবেই দেখি, তারাও আমাদের এভাবে দেখে, দর্শন বলতে যা বোঝায় তারা তাই নিজেদের মাধ্যমেই তৈরি করে নিয়েছে। আমি জানতাম না, জীবন এভাবে নষ্ট কিংবা ভ্রষ্ট হয়ে যাবে, মানুষের দিকে তাকাতে যেয়ে আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো, অনেকে বলে- বহু করেছি মানুষের জন্য, কোন লাভ নাই, আর কারও উপকার করব না, মাফ চাই,”। আমি প্রতিনিয়ত সে সমস্ত লোকদের বলি, ভাইজান, আরও উপকার করেন, উপকারে উপকারে মানুষকে ভাসিয়ে তোলেন। মানুষ যেন আপনার উপকার পেয়ে পেয়ে বিরক্ত হয়ে যায়, প্রতিক্ষনে আপনার ক্ষতি ক্ষতি করতে করতে যেন ক্লান্ত হয়ে যায়। আমরা তার কথা বলি যারা আপনার উপকার করেছে, কি করেনি সেটা আমার বিচার নয়, আমার বিচার কেবল তার মধ্যে কি আছে? আমি জানি, সে আপনার কোন উপকারই করবে না, তাতে কি, আপনি করেন, আর উপকার করার সময় এটা অবশ্যই বিশ্বাস করে নিবেন, যে সে আপনার কোন উপকার তো করবেই না, উল্টো ক্ষতি করবে।
জীবন যেন একটা দিয়াশলাই হয়ে আপনাকে না জ্বালিয়ে বেড়ায় সে কথা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

কিছুই তার আর যায় না বলা, যা আছে তার সবই ফাঁকা
জীবন কেবল শূণ্য মরুদান ছাড়া অন্য কিছুই নয়, অথচ
কত স্বপ্ন-ভরা সকাল ছিল শিশির জলে পা ভেজানো কল্পনা রাঙ্গা
আজ, কোথায় বাস্তবতা আর কোথায় আমরা
জীবনের চাহিদাগুলো কেন এভাবে মিথ্যার উপর দন্ডায়মান
আমরা বুঝি না, যেভাবে জায়গা করে নেয় জিঞ্জাসা কতক পথে
বেপথে, আমরা সহসাই হেটে যাই আমাদের জৃর্ণ জীবনের বোঝা নিয়ে
আমাদের হতাশা কাঁধে। যেভাবে সন্ধ্যা শেষে শ্রমিকরা কারখানার ফটক বেয়ে
নেমে আসে, নর্দমার মত গোলা জলের পথ হয়ে, সেভাবে কাল চিমুনির ধোয়া হয়ে
আজ আমরা কেবলই প্রতারিত, মনুাফার দোহাই, দ্রব্যমূল্যর দোহাই
এডাজাস্টমেন্টের দোহাই, আজ বনছে না, ভাল লাগছে না, ইত্যাদি ইত্যাদি।
জীবন যেন একটা দিয়াশলাই এর ছোঁয়া, আর আমরা জীবনে একটি পেট্রোল হয়ে হাটি
আশ-পাশ, দুরের অকৃতজ্ঞ-রা তাদের হিংস্র দিয়াশলাই দিয়ে ছুঁয়ে যায় আমাদের, সত্ব্যা।
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×