২২ই জুন, ২০১০ রোজ সোমবার বেলা ১.০০ টা। গুলসান, ঢাকা
আজ সকালে উঠেই মনটা খুব একটা ভাল লাগল না। সকালে উঠেই গোসল করলাম। অফিসের জন্য বের হলাম। রাস্তায় শফিক ভাই এর সাথে দেখা হলো। তার সকাল বেলার শুরুটা ছিল এভাবে-
কি ফিরোজ কি করো?একা একা দাড়ায় আছো যে?
- না শফিক ভাই, একজনের জন্য অপেক্ষা দেখছি, ও আসলে ওর সাথে যাবো।
- আরে মিয়া তোমার জিবনটা শেষ হলো অপেক্ষায় অপেক্ষায়
এ পর্যন্ত খুবই ভাল লাগল শফিক ভাই এর কথা, আজ সকালের এ কথাগুলো মনের ভেতর আসলেই গেথে আছে। আমি জানি কিংবা না জানি অনেকেই এ কথা জানে। কিন্তু আমি যে কিতাবের কথা সব সময় বিশ্বাস করি। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের যে সকল চাওয়া সেগুলোর কোন আওয়াজই আমি আজ পর্যন্ত শুনতে রাজি নাই জাগতিক হিসাবে। আমার একটাই কথা যা বলা আছে কিতাবে তাই হতে হবে। তাছাড়া মানুষ হতাশ হবেই, মানুষ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবেই, আপনার আশেপাশে কেউ-ই নিজেকে ভাবার আগে আপনাকে ভাববে না, এটাই সত্যি, তাই আমাদের উচিত এটা মেনে নেয়া। আমরা এসব মেনে নিলেই দেখতে পাব পৃথিবী আশা-হীন যদিও কিন্তু হতাশার নয়। কিছু মনে করবেন না, (যে পড়ছেন তাকে বলছি) আমি মহা-মানব ভাব নিয়েছি, আসলেই আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবী হাসুক না হাসুক নিজের ভেতর খুব ভাল লাগবে যতক্ষন আপনি সৎ পথে থাকবেন, পৃথিবী বাহবা দিক না দিক আপনি নিজেকে নিয়ে গর্ব বোধ করবেন, অবশ্যই, সেক্ষেত্রে হয়তো একবেলা কম খেয়ে থাকতে হবে, তবুও সেই ক্ষুধায় কষ্ট গ্যাসের হামলা আপনাকে অনেক তৃপ্তি দিবে। আমি পৃথিবীকে বহু ভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। বহুভাবে আমার উপর আছড়ে পড়েছে পৃথিবী, বহু আঘাত জর্জরিত এ অন্তর, এমন না যে, আমি সব জানি, না আমার নিজের উপর আছড়ে পড়া কথাগুলো কি ভুলতে পারি? মানুষের রং বহু প্রকারের, বহু ধরনের। মানুষ কেবল নিজের রং ছাড়া অন্য কারও রং সে গ্রহন করতে রাজি থাকে না, সবার নিজের আলাদা আলাদা রং থাকে। তারা সকলে নিজেদের রং নিয়ে বেচেঁ থাকে, নিজেদের মত করে। তাদেরকে আমরা এভাবেই দেখি, তারাও আমাদের এভাবে দেখে, দর্শন বলতে যা বোঝায় তারা তাই নিজেদের মাধ্যমেই তৈরি করে নিয়েছে। আমি জানতাম না, জীবন এভাবে নষ্ট কিংবা ভ্রষ্ট হয়ে যাবে, মানুষের দিকে তাকাতে যেয়ে আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো, অনেকে বলে- বহু করেছি মানুষের জন্য, কোন লাভ নাই, আর কারও উপকার করব না, মাফ চাই,”। আমি প্রতিনিয়ত সে সমস্ত লোকদের বলি, ভাইজান, আরও উপকার করেন, উপকারে উপকারে মানুষকে ভাসিয়ে তোলেন। মানুষ যেন আপনার উপকার পেয়ে পেয়ে বিরক্ত হয়ে যায়, প্রতিক্ষনে আপনার ক্ষতি ক্ষতি করতে করতে যেন ক্লান্ত হয়ে যায়। আমরা তার কথা বলি যারা আপনার উপকার করেছে, কি করেনি সেটা আমার বিচার নয়, আমার বিচার কেবল তার মধ্যে কি আছে? আমি জানি, সে আপনার কোন উপকারই করবে না, তাতে কি, আপনি করেন, আর উপকার করার সময় এটা অবশ্যই বিশ্বাস করে নিবেন, যে সে আপনার কোন উপকার তো করবেই না, উল্টো ক্ষতি করবে।
জীবন যেন একটা দিয়াশলাই হয়ে আপনাকে না জ্বালিয়ে বেড়ায় সে কথা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
কিছুই তার আর যায় না বলা, যা আছে তার সবই ফাঁকা
জীবন কেবল শূণ্য মরুদান ছাড়া অন্য কিছুই নয়, অথচ
কত স্বপ্ন-ভরা সকাল ছিল শিশির জলে পা ভেজানো কল্পনা রাঙ্গা
আজ, কোথায় বাস্তবতা আর কোথায় আমরা
জীবনের চাহিদাগুলো কেন এভাবে মিথ্যার উপর দন্ডায়মান
আমরা বুঝি না, যেভাবে জায়গা করে নেয় জিঞ্জাসা কতক পথে
বেপথে, আমরা সহসাই হেটে যাই আমাদের জৃর্ণ জীবনের বোঝা নিয়ে
আমাদের হতাশা কাঁধে। যেভাবে সন্ধ্যা শেষে শ্রমিকরা কারখানার ফটক বেয়ে
নেমে আসে, নর্দমার মত গোলা জলের পথ হয়ে, সেভাবে কাল চিমুনির ধোয়া হয়ে
আজ আমরা কেবলই প্রতারিত, মনুাফার দোহাই, দ্রব্যমূল্যর দোহাই
এডাজাস্টমেন্টের দোহাই, আজ বনছে না, ভাল লাগছে না, ইত্যাদি ইত্যাদি।
জীবন যেন একটা দিয়াশলাই এর ছোঁয়া, আর আমরা জীবনে একটি পেট্রোল হয়ে হাটি
আশ-পাশ, দুরের অকৃতজ্ঞ-রা তাদের হিংস্র দিয়াশলাই দিয়ে ছুঁয়ে যায় আমাদের, সত্ব্যা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




