অনেকদিন পর সুষুপ্ত পাঠক'দা কে নিয়ে আমার স্মৃতিকথা (দ্বিতীয় পর্ব)
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
একদিন খুব ভোরবেলা আমাদের বাসার দরজায় প্রচন্ড করাঘাত শুনে ঘুম ভেঙ্গ গেল আমার। মার সাথে সাথে দরজা পর্যন্ত এসে উৎসুক মুখে চেয়ে রইলাম। সাধারণত পাঠকদার মা আমাদের বাসায় কাজ করার জন্য দুপুর ১২ টার দিকে না হলেও তার একটু পর আসত। সেইদিন ভোর ৬ টা না বাজতেই দরজা খোলার পর দেখি সে দাড়িয়ে আছে। চোখ দুটি প্রচন্ড রকম লাল আর ফোলা। পরনে শাড়িটার বেশ কয়েক জায়গায় ছেড়া। ওনার পিছনেই খালি পায়ে দাড়িয়ে ছিল পাঠকদা। মা কিছুক্ষণ হতভম্ব চোখে দেখে নিলেন দুজনকে। আর তারপর বুঝে নিলেন ঘটনা কি ঘটেছে! পাঠকদাদের সঙ্গে একই বস্তিতে থাকা রইসুদ্দীন নামের এক লোককে ঘিরে সন্দেহ দানা বেঁধে কিছুদিন যাবৎ ই সংসারে চলছিল নানা রকম অশান্তি, তারই ফল হয়ত গত রাতে ওনাকে ভোগ করতে হয়েছে।
মা দুজনকে ভেতরে ডেকে নিলেন। শুধু চোখ দুটোই লাল আর ফোলা না, সারা শরীর জুরে এখানে সেখানে ক্ষত চিন্হ। একটা মানুষ কতটা পাশবিক হলে এতটা অত্যাচার করতে পারে! শুনেছি পাঠকদার বাবা তার প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হবার পর প্রায় ৫৫ বছর বয়সে পাঠকদার মাকে বিয়ে করেন।এদিকে পাঠকদার মা ছিল সুন্দরী আর বয়সও যথেষ্ট কম।মা অবশ্য পরে বলেছিলেন পাঠকদার মায়ের ও দোষ কম নয়। রইসুদ্দীন নামের লোকটার সাথে তার মেলামেশার কথা সে নিজেই মাকে বলেছে। এমনকি মা নিজেও রইসুদ্দীন নামের লোকটিকে আমাদের বাসার নিচে দেখেছেন বেশ কয়েকবার, আর দেখেছেন পাঠকদার মাকে তার সাথে কথা বলতে।মা এনিয়ে ওকে সতর্কও করেছিলেন।
যাই হোক, আমি একবার পাঠকদার মায়ের সাথে তাদের বস্তিতে যাই।সেখানে বস্তি সংলগ্ন একটি মন্দীর ছিল। তখন মন্দীরে চলছিল দূর্গাপূজার অনুষ্ঠান। আমি দেখতে দেখতে অনেকটা কাছে চলে গিয়েছিলাম। এটি ছিল আমার জীবনের প্রথম কোনো মন্দীরে যাওয়া। এত কাছ থেকে দেবী দূর্গাকে দেখতে পাব কখনো ভাবি নি। একটা সময় দেখলাম মন্দীর থেকে বেরিয়ে কিছু লোকজন প্রসাদ দিচ্ছে।পাঠকদার মা আমাকে প্রসাদ এনে দিল। অন্যদিকে কিছু তরুন যুবকের দল কাঁঠাল ছুড়ে ছুড়ে দিচ্ছল সবাইকে। আমি অবশ্য কাঠাল খাই নি, কারণ কাঁঠাল আমার পছন্দ না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
কএকজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,...
...বাকিটুকু পড়ুনবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে
আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
...
...বাকিটুকু পড়ুন