'দু'আই তো ইবাদত' [আবু দাউদ, তিরমীযি ৫/২১১] দু'আ হল বিশ্বাসীদের শক্তিশালী অস্ত্র। দু'আর মহত্ম এবং ক্ষমতা সম্পর্কে জানার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, দু'আ ভাগ্য বা তাকদ্বীর পরিবর্তন করতে পারে। আল্লাহর কাছে চাওয়া এবং তাঁরই উপর ভরসা করা, তাঁকে অভিভাবক মনে করা বিশ্বাসীদের বিশেষ গুণ। আল্লাহ নিজেই বলেছেন তাঁর কাছে চাইতে (দেখুন, সুরা গাফের/৬০ এবং সুরা বাক্বারাহ /১৮৬)। 'যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না, আল্লাহ তার উপর ক্রোধান্বিত হোন' [তিরমীযি, ইবনে মাজাহ ২/১২৫৮]
.... আমাদের জীবনটা হল পরীক্ষা। আল্লাহ দুঃখ-কষ্ট, জান ও মালের ক্ষতি, ফসলের ক্ষতি, ব্যবসায় ক্ষতি, সম্পত্তি, স্ত্রী, সন্তান ইত্যাদির মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। যাতে বোঝা যায় কারা বিশ্বাসী, ধৈর্যশীল, পরহেযগার, আল্লাহ ভীরু।
মহান আল্লাহ বলেন,
'...আর যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে অবশ্যই তিনি তোমাদের সবাইকে এক জাতি করে দিতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে চান যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তার মাধ্যমে...' [সুরা মায়েদা/৪৮]
'এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে...' [সুরা বাক্বারাহ/১৫৫]
এরকম অবস্থায় কষ্ট, দুঃখ, দুশ্চিন্তা, বেকারত্ব, সম্পত্তিতে ক্ষতি, রোগ ব্যাধি, কবর আযাব, জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাইতে অবশ্যই সবাইকে দু'আ করা উচিত। নামাজের সময় তো আমরা অনেক দু'আ করিই। অনান্য সময়ও আল্লাহর কাছে চাওয়া উচিত, আল্লাহকে স্মরণ করা উচিত।
... আমাদের যদি দুঃখ দুশ্চিন্তা করার সময় থাকে, কান্নাকাটি করার সময় থাকে, মনমরা হয়ে বসে থাকার সময় থাকে তবে আল্লাহর কাছে দু'আ করার সময় থাকবে না কেন?!!!!!!!