পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার বলেছেন, কোনো রাষ্ট্রের আপত্তিতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার থেমে থাকবে না। এ বিচার দ্রুতই শুরু হবে। শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে একে খোন্দকার বলেন, “যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর কোনো চাপ আছে বলে আমি মনে করি না। তবে সাধারণ মানুষ পাকিস্তানের আপত্তির কথা বলেন। এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য স্পষ্ট যে, ২/১ টি রাষ্ট্রের আপত্তির জন্যে এ বিচার থেমে থাকবে না, বিচার হবেই।” (খবর : বিডিনিউজ)
“স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে অনেক রাষ্ট্র আমাদের বিরোধিতা করেছিলো, তাই বলে আমাদের স্বাধীনতা কেউ দািবয়ে রাখতে পারেনি”, বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক একে খন্দকার সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আহ্বায়ক। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে জনমত গঠনে কয়েক বছর আগে সংগঠনটি গড়ে ওঠে। মন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ শিগগিরই শুরু হবে। সব প্রস্তুতি শেষ করেই এ বিচার শুরু করা হবে যাতে বিফল হতে না হয়।” এ ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই বলেও জানান তিনি। সাবেক সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কেএম সফিউল্লাহ বলেন, যুদ্ধাপরাধে জড়িত সবাইকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। কোনো প্রতিকী বিচার হবে না।
ফোরামের সমন্বয়ক সাবেক সেনাপ্রধান হারুণ অর রশীদ বলেন, “যুদ্ধাপরাধীর ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী বর্তমান সংসদে একজন যুদ্ধাপরাধীর নাম রয়েছে। তার নাম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। এছাড়া নবম সংসদে অন্য কেউ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেই।” সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডার সিআর দত্ত, সাবেক সচিব সৈয়দ রেজাউল হায়াত, সাবেক সেনা কর্মকর্তা সামসুল আলম, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, আকরাম আহমেদ, সাংবাদিক হারুণ হাবীব ও ম হামিদ প্রমুখ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



