গতকাল সংস্কৃতাঙ্গনের ‘যুবরাজ’ খালেদ খানের মৃত্যুর পর তার মারা যাওয়ার সংবাদটি অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে যে বিবেচনায় প্রচারিত হয়েছে তা নিয়ে ব্যাক্তিগত চিন্তার জায়গা থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এক ধরনের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।
ওই স্ট্যাটাসে আমি বলেছিলাম- “শক্তিমান অভিনেতা খালেদ খান মারা যাওয়ার সংবাদিট প্রথম আলোসহ প্রায় সকল অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদটিকে বিনোদন বিভাগে প্রচার করছে। কি আশ্চর্জজনক ব্যাপার। একজন মানুষ, সে সংষ্কৃতাঙ্গনের লোক বলে তার প্রাণ যাওয়ার সংবাদটিও কি বিনোদন জোগায়!!!”
কিন্তু অত্যান্ত আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম শনিবারের ছাপা পত্রিকায়ও প্রথম আলো ও সকালের খবর একই আচরণ করেছে প্রয়াত খালেদ খানের সঙ্গে। একই প্রশ্ন আবারো কিভাবে একজন মানুষের মৃত্যু বিনোদনের উপকরণ হতে পারে?
প্রথম আলো বিনোদন পাতায় সংবাদটিকে প্রকাশ করেছে তিন কলামে এবং সকালের খবর একই পাতায় আট কলামে।
এছাড়া প্রথম সারির পত্রিকাগুলোর মধ্যে ইত্তেফাক ও আমাদের সময় এক কলামে প্রথম পাতায় ছেপেছে খালেদের মৃত্যুর খবর। শেষ পাতায় ছেপেছে সমকাল, কালের কণ্ঠ, যায়যায়দিন, জনকণ্ঠ, মানবজমিন, সংবাদ ও নয়া দিগন্ত।
যুগান্তর ১৯ নম্বর পাতায় এই সংবাদটিকে এক কলামে ছাপলেও ছাপেনি ইনকিলাব।
ইংরেজি দৈনিকগুলোর মধ্যে প্রথম পাতায় ছেপেছে একমাত্র ডেইলি সান। শেষ পাতায় ছেপেছে নিউ এজ ও ঢাকা ট্রিবিউন। ডেইলি স্টার সংবাদটি ছেপেছে তৃতীয় পাতায় এক কলামে। এই সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছে ডেইলি্ ইন্ডিপিন্ডেন্ট।
বিনোদন সম্পর্কে কি বলা আছে উইকিপিডিয়া। দেখতে হলে--- এই লিংকটি দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮