সুচিত্রা সেনের বয়স ৭৯ বছর। নয় দিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে মুনমুন সেনের নির্দেশে চিকিত্সার জন্য তাঁকে বেলভিউ নার্সিং হোমে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক সুব্রত মৈত্রের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড।
আজ বৃহস্পতিবার নার্সিং হোমটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ ট্যান্ডন একটি মেডিকেল বুলেটিনের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, সুচিত্রা সেনের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটার পর তাঁর শ্ব্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
তবে সুচিত্রার ভক্তরা মনে করেন, তিনি মোটেই স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর আগেও তিনি দুইবার চিকিৎসার জন্য এই নার্সিং হোমে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
সুচিত্রা সেন ৩২ বছর ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে। সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে তিনি বাংলা ছবি ‘প্রণয় পাশা’য় অভিনয় করেন। এ ছবিতে অভিনয়ের পরই তিনি চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে বিদায় নেন। তাঁর সর্বশেষ হিন্দি ছবি হচ্ছে গুলজার পরিচালিত ‘আঁধি’।
১৯৭৮ সাল থেকে সুচিত্রা সেন প্রকাশ্যে কারও সঙ্গে দেখা করেননি। তবে ১৯৯৫ সালে ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় তাঁকে একবার দেখার সৌভাগ্য হয় ভোট-কর্মীদের। আর এবার দেখার সুযোগ হলো নার্সিং হোমে কর্মরত চিকিৎসকদের। তবে সুচিত্রা সেন নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, চিকিৎসক ও নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কাউকে যেন হাসপাতালে দেখা করার সুযোগ দেওয়া না হয়।
সেই অনুযায়ী হাসপাতালের কর্মী ছাড়া কাউকেই সুচিত্রার কেবিনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন নিয়মিত হাসপাতালে খোঁজখবর নিচ্ছেন। সুচিত্রার দুই নাতনিও তাঁর খোঁজখবর নিচ্ছেন।
সুচিত্রা সেন অসুস্থ হওয়ার খবরে কলকাতার চলচ্চিত্র অঙ্গন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। টালিগঞ্জের ছবিপাড়ার কলাকুশলীরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




