সকাল থেকে হাতের তালুতে ভীষন চুলকাচ্ছে।
চুলকানি কমাতে গিয়ে চামড়া ছিলে ফেলার উপক্রম করে ফেলেছি তবুও চুলকানি কমছে না। কি যন্ত্রনা!!
মোবারক বললো - "ভাইজান এইডা ভালো লক্ষন। হাতে ট্যাকা পয়সা আসার লক্ষন।"
আমি হ্যা বা না কিছু বললাম না।
"ভাইজান ফোন বাজে।"
আমি দেয়ালে হাত ঘসাঘসি করছিলাম। বেশ আরাম বোধ হচ্ছিলো। ছাগলে যেভাবে বেড়ায় গা ঘসে অনেকটা সেরকম। ফোন ধরার আগ্রহ বোধ করলাম না।
"ভাইজান ফোনটা ধরেন। টাকা পয়সার খবর আসলো মনে লয়!" - মোবারককে বেশ উত্তেজিত মনে হলো। ওর হাবভাবে মনে হচ্ছে আমি ফোন রিসিভ করা মাত্রই ফোনের ভেতর থেকে টাকা পয়সা বের হতে শুরু করবে।
আমি ফোন হাতে নিলাম। বড়খালু সাহেবের ফোন!
"বাবা হিমালয়! কোথায় তুমি?" - আমি ফোন ধরতেই বড় খালু সাহেবের মধুর কন্ঠ শোনা গেলো।
"কি হয়েছে খালু সাহেব? কোন সমস্যা?"
"সমস্যা কিনা সেইটা বুঝতেই তো তোকে ফোন দিলাম।"
"কি? খালার সাথে ঝামেলা হয়েছে?"
"ঝামেলা কিনা বুঝতে পারছি না। তবে সকাল বেলা তোর খালা রাগ করে বাসা থেকে চলে গেছে। বলেছে আর কোনদিন আসবে না।"
"তাই নাকি?"
"আমিতো বুঝতেই পারছিনা, সেলিব্রেট করবো নাকি মন খারাপ করে বসে থাকবো। কিছু একটা পরামর্শ দে।"
"তোমার কি মনে হয়? খালা আবার ফিরে আসতে পারে??"
"আসতে পারে মানে! কি বলিস, বড়জোর একদিন বা দুইদিন বান্ধবীর সাথে মৌজ করবে। তারপর ফিরে আসবে। এজন্যইতো মন খারাপ করে থাকতে ইচছে হচছে।"
"হু, বুঝলাম। তুমি বরং সেলিব্রেট করো, আমি খালাকে আর না আসার ব্যবস্থা করি।"
"তাই নাকি! সত্যি পারবি? তাহলেতো ভালোই হয়? কিন্তু কি করবি।"
"এখনো ঠিক করিনি তবে মনে হচছে মেরে ফেলাই ভালো হবে। ঝামেলা গন! চিরতরে গন!!"
"কি বলিস! তুই খুন করবি??"
"সেটা আমি বুঝবো। তুমি চিন্তা করে তোমার সিদ্ধান্ত জানাও। দ্রুত।"
আমি ফোন কেটে দিলাম।
আশ্চর্য হাতের চুলকানিটা মনে হচছে চলে গেছে!
আমি বসে রইলাম। মাজেদা খালার ফোনের অপেক্ষায়! আমি জানি কিছুক্ষনের মদ্ধে খালাও ফোন করবে আমাকে...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৭