বিকেলে একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম। তন্দ্রা ভাংলো মোবারকের ডাকাডাকিতে।
"হেমু ভাই, হেমু ভাই, স্বপ্নে দেখি আমি মইরা গেছি।" - ভীষন উত্তেজিত মনে হল মোবারককে।
"আর ওখানের ওরাও তোকে রেখেছে ১৪ দিনের আইসোলেশনে, এইতো?"
হ, কিন্তু আপনে জানলেন কেমনে? - মোবারক বিস্মিত!
পরক্ষনেই অবশ্য বিস্ময় সামলে বললো -
"আপনেতো জানবেনই, আপনে হইলেন পীর ফকির মানুষ।"
"আরে এজন্য পীর ফকির হতে হয় নারে। এগুলোই তো সবসময় ভাবছি আমরা, তাইনা? তা আর কি দেখলি?"
"ভাই, আজিব ব্যাপার হইলো ওইখানে শুধু আমাগোর দেশী যারা মরছে তাগোরে রাখতাছে। অন্য দ্যাশের যারা মরছে তাগোরে ডাইরেক্ট বেহেস্তে নইলে দোজখে পাঠাই দিতাছে।"
"তাই নাকি?"
"হ ভাই, আমি কি মিছা কই?"
"হ্যা তা অবশ্য ওরা করতেই পারেন, আমাদের দেশের সব খবরাখবরতো ওপারের ওরা জানেনই তাইনা?"
"হ তাও ঠিক!" - মাথা চুলকাতে থাকে মোবারক। মুখে একটু হাসি!
"হাসছিস যে?"
"না, মানে, খুব পরিচিত একজনরেও ওইখানে দেখলাম তাই হাসি - ওইখানে গিয়া হেগোর লগে বিবাদে জড়াইছে।"
"তাইনাকি?"
"হ, হেতে কয় হে নাকি করোনায় মরে নাই। মরছে ইস্টোক কৈরা। তাও কিল্লাই আইসোলেশনে থাকতে হবে? আমারে চিনো তুমরা?? জানো আমি কে??"
- এগুলা বইলা এলাকা গরম কইরা ফালাইছে।
"বলিস কি? তা ওরা কি বললো?"
হেগোরে একজন কয় - "আপনি এতো উত্তেজিত হবেননা। বেশী উত্তেজিত হলে সত্যিই স্ট্রোক করে দ্বিতীয়বার মারা পরবেন। "
"তারপর?"
"তারপরে আরকি হের হম্বি তম্বিতে আমার ঘুম ভাইংগা গেলো। উইঠা দেখি ওইঘরের নাসির ভাই বুয়ার লগে চিল্লাইতে আছে..."
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫