স্বপ্ন ছিলো তার অতি সাধারন, সিনেমার নায়কদের মতো বড় হয়ে সে পুলিশ হবে। কিন্তু পুলিশ না হয়ে সে হয়েছে ডিজে।
নাপা রেডিও নামে একটি স্বনামধন্য রেডিও স্টেশনের সে একমাত্র ডিজে। প্রতিদিন রেডিওর লোকজন ঘুম থেকে উঠে রেডিও'র ব্রডকাষ্টিং "অন এয়ার" এ করে গালে হাত দিয়ে বসে থাকে, কবে কখন আসবে ডিজে হিমু আর রেডিও টাকে প্রাণ দিবে।
আর সারা বিশ্বের এখানে-সেখানে-যেখানে শুয়ে-বসে-দাড়িয়ে যারা যারা নাপা রেডিও শোনে, তারাও চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করে কখন আসবে ডিজে হিমু।
আর উনি আসলে শুরুটা হয় এভাবেই :
"অলরাইট নাপা রেডিও, আপনারা শুনছেন আমার-প্রিয়-স্বপ্ন-গুলো বাই সাবরি-না এক্সক্লুসিভলি অন রেডিও নাপা ১০১, আর আপনাদের সাথে আছি আমি ডি-জে হিমু এবং আমার সাথে আর কেউ নেই। এবং এই গানটি শোনার জন্য রিকোয়েষ্ট করেছেন অমুক ফ্রম তমুক এবং ডেডিকেট করেছেন তমুক ফ্রম অমুক কে। শুনতে থাকুন এবং আমার সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ"
মাতিনুর, মাহফুজ আর রাকিব ফ্রম লান্ডন, সানদিল আজাদ ফ্রম দুবাই, হাফিজুর রহমান ফ্রম কোরিয়া, প্রিন্স ফ্রম জার্মানী ; দেশ-বিদেশে তার কত ফ্যান। কিন্তু সেই হিমুর মন খারাপ। আগের মতন আর চিকিচিকি মিক্সিং তাকে দিয়ে হয় না। ভুল করা কণ্যার লাইগা তার মন আনচান করে। শয়নে, স্বপনে - নিশি জাগরনে শুধু উপস লা লা। আই লাবু, বেইবে।
লারনাকার একটি মাঝারি সাইজের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সে ট্রাভেল এবং ট্যুরিজম এর উপর পড়াশোনা করে, কিন্তু সে পড়াশোনাতেও তার মন নেই, মন তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নেশায় হারিয়ে গেছে।
তার প্রিয় গান শাহরুখ খানের আনজাম মুভি থেকে নেয়া " বাড়ি মুশকিল হে, খোয়া মেরা দিল হে, কোয়ি উসে ধুন্ডকে লায়ে না।" কিন্তু বন্ধুবেশী বেঈমান গুলো তাকে একদম হেল্প করেনা।
ডিজে হিমু তাতে একটুও কষ্ট পায়না, কারন ছোটোবেলাতেই সে শুনেছে "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে"।
ব্যাক্তিগত জীবনে হি ইজ হাট এন্ড সিন্গেল মোরওভার আলওয়েজ রেডি টু মিন্গেল। হি ইজ চো পোলাইট এন্ড হসপিটাইল। হি নেবার চে নো টু হিজ ভাই-বেরাদার। হি আলওয়েজ ডাজ হিজ লিটল বেস্ট টু পুট ইসমাঈল অন হিজ ভাই-বেরাদার'স ফেস। হি ইউজ টু চে, এক লাড়কি থি দিবানি চি, এক লাড়কে পে ভো মারতিথি" লাইক এজ শাহরুখ এন্ড ঐশ্বরিয়া হি আলওয়েজ য়েল্প হিজ ভাই-বেরাদার ওয়াইল ডে হ্যাব এনি টিরাবল অন দেয়ার লাব।
যাইহোক, বন্ধু অন্তপ্রাণ ডিজে হিমু আইয়্যা নাপার সেই পরিচিত জ্বিন-ঈ-হুংকার যাকে আব্বা-আম্মা অনেক আদর করে হুমায়ুন কবীর নাম দিয়েছিলো সে অতি শীঘ্রই তার ক্যারিয়ারে এক নতুন দিক উন্মোচন করতে যাচ্ছেন। আমরা তার সুখি জীবন কামনা করি। নতুন জীবন যাতে তার ব্যাটে-বলে হয় সেই জন্য বাদ জুম্মা লেফকোশিয়ার জামে মসজিদে এক বিশাল বাঙ্গালী-কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই সে ক্লাব-আইসে ডাবস্টেপ পরিচালনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
ফেসবুক নামের একটি জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে তার একটি ফ্যান পেইজ আছে বলে জানা যায়। আপনারা যারা আজো তাকে চেনেন না, নিজ দায়িত্বে তাকে ফেসবুকে খুঁজে নিয়ে দেশওদশের উপকার করুন। নিজে ভালো থাকুন, অন্যকেও ভালো থাকতে দিন।
*ইন্টারনেট থেকে নেয়া

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




