১.একবার স্বামী স্ত্রী এর খুব ইচ্ছা হল মাশরুম খাবে।
কিন্তু মাশরুম অনেক সময় বিষাক্ত হয়, তাই তারা ঠিক করলো আগে সেটা তাদের কুকুর কে খেতে দিবে।
কুকুর কে খেতে দেয়ার পর দেখা গেলো সেটা না মরে বেঁচে রইলো।
তখন তারা দুইজন সেই মাশরুম খেয়ে ফেলল!
কিন্তু আধাঘণ্টা পর তাদের ছোট ছেলে বাইরে থেকে এসে বলতে থাকলো বাবা, বাবা আমাদের কুকুর টা না মারা গেছে!!
তখন দূইজনই বলে উঠলো হায় হায় এ কি হল!! ??
স্বামী স্ত্রী কে বলল, ওগো আমরা তো মারাই যা্ তার আগে একটা সত্যি কথা বলবে?? আচ্ছা আমাদের ৪ ছেলের ৩ জনই এত বুদ্ধিমান কিন্তু ছোট ছেলেটা এত বোকা। সত্যি কি ও আমার সন্তান?
স্ত্রীঃ ওগো শুধু ও ই যে তোমার সন্তান!!!
ঠিক সে সময় বড় ছেলে এক লোককে নিয়ে ভেতরে এসে বলতে থাকলো “ বাবা এই সেই লোক যার গাড়ির নিচে পড়ে আমাদের কুকুরটা মরেছে।”
২.ছোট্ট টুকু স্কুল থেকে বাসায় ফিরে দেখল উঠানে একটা মুরগি মরে আছে, মরা মুরগির দেহ শক্ত হয়ে পা দুটো আকাশের দিকে মুখ করে আছে। টুকুর চাচা বাসায় ফিরতেই সে তার কাছে ছুটে গেল।
‘চাচু চাচু , আমাগো মরা মুরগিটার পা দুইটা আকাশের দিকে খাড়া হইয়া আসে কেন?’
চাচু : ‘ওর আত্মা যেন তাড়াতাড়ি উপরে উইঠা যাইতে পারে’
কয়েকদিন পর টুকুর চাচা বাসায় ফিরতে সে আবার দৌড়ে গেল।
‘চাচু চাচু, আইজকা আরেকটু হইলেই চাচী মইরা গেসিল’
চাচু : ‘কেন কেন কি হইসে?’ টুকুর চাচা শঙ্কিতভাবে জিজ্ঞাসা করেন।
‘চাচী আইজকা হেইদিনের মরা মুরগিটার মত আকাশের দিকে পা তুইলা চিল্লাইতেসিল,
‘আমার হইয়া যাইতেসে, আমার হইয়া যাইতেসে’।
পাশের বাড়ীর রহিম চাচায় যদি খালি চাচীর উপরে উইঠা হেরে বিছানার লগে চাইপা ধইরা না রাখত……
৩.এক লোক সিঙ্গাপুরের রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে। একটা সিগন্যাল অতিক্রম করার সময় সে দেখল, রাস্তার পাশে রাখা ক্যামেরা তার ছবি তুলেছে। লোকটা তড়িঘড়ি করে স্পিডমিটার চেক করল। সবই ঠিক আছে। তাহলে ছবি তুলল কেন? কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টা পরীক্ষা করার জন্য একটু ঘুরে আবার ওই রাস্তায় এল। আবারও ক্যামেরা তার ছবি তুলল। এবার গাড়ির গতি গতবারের চেয়ে কম ছিল। তার কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। সে ভাবল, নিশ্চয় কোথাও কোনো বড় রকমের ঝামেলা হয়েছে। এভাবে সে আরও তিনবার একই সিগন্যাল অতিক্রম করল। প্রতিবার গতি আগেরবারের চেয়ে কমিয়ে দিয়ে। কিন্তু ক্যামেরা প্রতিবারই তার ছবি তুলল। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর লোকটার ঠিকানায় তার নামে পাঁচটা চিঠি এল। সিটবেল্ট না বেঁধে ড্রাইভিং করার অপরাধে পাঁচটা চিঠিতেই তাকে জরিমানা করা হয়েছে!
৪.এক বয়স্ক লোক অনেকদিন পর তার ভার্সিটির হোস্টেলে গেলেন!!
তিনি ভার্সিটি পড়াকালীন যেই রুমে থাকতেন সেই রুমে নক করার পর এক কমবয়সী ছেলে দরজা খুলল!!
লোকটি বললেনঃ “আমি আগে যখন এই ইউনিভার্সিটিতে পরতাম, তখন হোস্টেলের এই রুমটায় থাকতাম!! আমি কি একটু ঘুরে দেখতে পারি রুমটা?? পুরনো স্মৃতিগুলো একটু ঝালিয়ে নিতাম!!
...
ছেলেটি ঢুকতে দিলো!!
…
লোকটি ঢুকে তার পুরনো রুমটা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলেন আর বলতে লাগলেনঃ “ঐ সেই পুরনো দরজা!! সে পুরনো জানালা!! সেই পুরনো বিছানাটা, আজো আছে!!
এরপর সে দেখল চেয়ারে এক মেয়ে বসা!!
তখন ছেলেটি অপ্রস্তুত গলায় বললঃ “ও আমার কাজিন !! আমার কাছ থেকে কিছু পড়া বুঝে নিতে এসেছে!!
তখন লোকটি হাসল আর বললঃ “আর সেই পুরনো গল্প!!”
৫.বাড়িওয়ালা বলছেন নতুন ভাড়াটেকে, ‘আপনার পাশের বাসায় একজন তবলচি থাকেন। তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তবলার অনুশীলন করেন। আপনার অসুবিধা হবে না তো?’
ভাড়াটে: না, না! অসুবিধা কিসের? আমি তো আমার হারমোনিয়ামের অনুশীলন মধ্যরাতের পরই শুরু করি!
৬.- এই নাও তোমার জন্য গোলাপ এনেছি ।
- ওমা তুমি টাকা খরচ করতে শিখলে কবে ?
- টাকা খরচ করেছি মানে , ওটাতো আমার বাবাই কাল মাকে এনে দিয়েছিল ।
৭.এক মেয়ে গেল দোকানে ব্রা কিনতে।
মেয়ে : ভাই, আমাকে সস্তার ভিতরে ভাল ব্রা দেখান।
দোকানদার : এইটা নেন ১০০টাকা.
মেয়ে : আর একটু কমে নাই?
দোকানদার : এইটা আছে ৭০টাকা.
মেয়ে : আর একটু কম.
দোকানদার : এইটা আছে ৫০টাকা.
মেয়ে : নাহ্ বেশী হয়ে গেল.
দোকানদার : ছোটকু! ম্যাডাম রে আইসক্রিম এর দুইটা খালি কাপ আর একটুকরা সুতা দিয়া দে!
৮.লন্ডনের হাউজ পার্কে বসে এক তরুন -তরুনী ভবিষৎতের সুখ স্বপ্ন রচনার বিভোর প্রেয়সীর হাতে জোরে চাপ দিয়ে পল বললো - আমি সব কিছু ভেবে রেখেছি । এমনকি তোমার জন্য একটা জীবন বীমা করে রেখেছি যাতে আমার ঘটলে তোমার কিছু অসুবিধা না হয়। সত্যিই কর সুন্দর তুমি পল ...কিন্তু কিছু না ঘটে তবে আমার উপায় কিহবে ?
৯.এক হোটেলের রিসেপশনিস্ট রাত ১২ টার সময় একটি ফোন পেল। ফোন তুলতেই এক মাতালের কণ্ঠস্বর " আচ্ছা বারটা কখন খোলে বলুন দেখি?"
বিনীত ভাবে রিসেপশনিস্ট জানাল " স্যার আগামীকাল দুপুর ২ টোর সময়।" ফোন কেটে গেল।
ঘন্টাখানেক বাদে আবার ফোন। এবারও কণ্ঠস্বর একই লোকের, আরও মাতলামিতে ভরা " এই ব্যাটা বারটা কখন খোলে বল তো?"
সে আবার জানাল," আগামীকাল ২টোর সময়"।
ঘন্টাখানেক কেটে যাওয়ার পর আবার ফোন : "তুই বলবি কি বলবি না বারটা কখন খোলে?"
ধৈর্য্য হারিয়ে রিসেপশনিস্ট বলল " স্যার কাল ২টোর সময়,কিন্তু আপনি যদি অতক্ষণ অপেক্ষা না করতে পারেন তাহলে আপনি অর্ডার করুন আমি রুম-সার্ভিস পাঠিয়ে দিচ্ছি আপনার কাছে।"
উত্তর এল : "ধুর ব্যাটা , বারে কে যেতে চাইছে , আমি তো বার থেকে বেরোতে চাইছি। যত্তসব!!"
১০.দিন এক রোগী ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলল, “ডাক্তার সাব, আমার একটা অদ্ভুদ রোগ হয়েছে।”
ডাক্তার বললেন, “কি রকমভ”
রোগী বলল, “আমি অল্পতেই রেগে যাই। গালাগালি করি”
ডাক্তার বলল, “ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন তো।”
রোগী বলল, “হারামজাদা, কয়বার খুলে বলব!!!”