
পাশ্ববর্তি এলাকায় একজন হিজড়া থাকত।তার সঙ্গে একদিন আমার পরিচয় হয়।পরিচয়ের পর্বটা ছিল একটু ভিন্ন।পরিচয়ের সময় তাকে সালাম দেওয়াতে তিনি খুবই অবাক হয়েছিলেন।শুধু বলেছিলেন, তুই কি আমাকেই সালাম দিলি!
পরিচয়ের পর থেকেই মাঝে মাঝে তার সঙ্গে আমার দেখা হত।তাকে একদিন আমার সঙ্গে চা খাবার দাওয়াত করলাম।কিন্তু তিনি বললেন, আমি তোর দাওয়াত গ্রহন করতে পারব না!কারন আমি চাই না, আমার কারনে কোন সম্মানী পরিবারের ছেলের সম্মান নষ্ট হোক(!)
আমি বললাম, চা খেলে পরিবারের সম্মান নষ্ট হয় কেমন করে আর আমারই বা সম্মান যায় কেমন করে(!)
উনি বললেন,আমাদের সাথে চা খায় কারা জানিস?যারা আমাদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে তারা(!)এর কারনে তুই আমার সঙ্গে চা খেলে লোকে বাঁকা চোখে দেখবে।
তাকে বললাম, এই কাজ কেন করেন?এই কাজ কি না করলেই নয়?
উনি বললেন, এই কাজ করি ক্ষুধার জ্বালায়!এই কাজ না করলে খাওয়ার টাকা পাব কৈ!
তাকে বললাম, আপনি কাজ করে খান।আর আল্লাহতো আপনাকে হত দিয়েছে পা দিয়েছে তা দিয়ে পরিশ্রম করে উপার্জন করুন।দেখবেন তখন নিজেই নিজের কাছে সম্মান পাবেন!
উনি বললেন, কাজতো করতেই চাই।কিন্তু একটু সম্মানের কাজ তো কেউই দেয় না!তুই কি পারবি তোর আব্বার দোকানে আমাকে কর্মচারি করে রাখতে!পারবি না।কারন এতে সমাজ তোদেরকে ধিক্কার দিবে।
সমাজের মানুষ তোদেরকে অপমান করবে।অপবাদ দিবে।
উনি সর্বশেষ যে কথাটি বলেছিলেন সেই কথাটি এখনো আমার কানে বাজে।
'আমরা ভাল থাকতে চাইলেও তোদের শিক্ষিত সমাজ আমাদেরকে ভাল থাকতে দিবে না'।
- শাহমুন নাকীব ফারাবী

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


