somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফলের রাজ্যে স্বাগতম, এক সাথে সব ফল গুনাগুন সহ বর্ণনা । ২য় পর্ব

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বেশি করে শাকসবজি ও ফলমুল খেলে মন মেজাজ প্রফুল্ল ও ফুরফুরে থাকে। শুধু তা-ই নয়, দৈনন্দিন কাজের উদ্যম বাড়ে। মনে সুখ থাকে। এমনটাই জানা গেছে নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়।
সতর্কতা : ফরমালিন যুক্ত ফলমূলে বাজার এখন সয়লাব। সুতরাং এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকা উচিৎ।

হালা ফল বা কেয়া ফলঃ



এটি আমাদের কাছে একটি অপরিচিত নাম। বাংলায় এটি কেয়া নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Pandanus tectorius. এটি একটি অদ্ভুত সুদর্শন ফল। হালা ফল সাধারণত পূর্ব অস্ট্রেলিয়া ও প্যাসিফিক আইল্যান্ডস, ভারত ও আমাদের বাংলাদেশেও পাওয়া যায়। এটিকে প্রবালপ্রাচীরও বলা হয়। এটি স্থানীয়ভাবে খুবই জনপ্রিয় ঔষধ ও ফল হিসেবে পরিচিত। হালা গাছ ফল শুধুমাত্র মহিলা গাছ উপর বৃদ্ধি. এটি হলুদ রং হলে খাওয়া যায়. এটা দুর্ভিক্ষের সময় একটি খাদ্য হিসাবে পলিনেশিয়া সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। হালা গাছ সাধারণত লম্বায় ৪-১৪ মিটার পর্যন্ত হয়। এটির পাতা সাধারণত ৯০-১৫০ সে.মি. হয়।

ব্যবহারঃ
1. ফল কাঁচা বা রান্না খাওয়া যায়.
2. ফলের FIBROUS প্রকৃতির একটি প্রাকৃতিক দাঁতের রেশমের ফেঁসো তোলে.
3. গাছ এর পাতার প্রায়ই যেমন কায়া জ্যাম হিসাবে খাওয়া হয়। এর মিষ্টি গন্ধ থালা - বাসনের জন্য ব্যবহৃত হয়.
4. পাতার ঔষধি বৈশিষ্ট্য, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় মাথাব্যাথা এবং ফুলের নিরাময় তেল আছে.
5. এটির পাতার গন্ধ curries বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার করা হয় যেখানে শ্রীলংকান পাকপ্রণালীর, ব্যবহার করা হয়.
6. পাতার ঝুড়ি, মাদুর পাল - খাটানর দণ্ডবিশেষ নৌকো পালের, তালপাতা ছাদ, এবং ঘাস skirts করতে পলিনেশিয়রাও দ্বারা ব্যবহার করা হয়.
7. শুষ্ক ফাইবার পেইন্টিং এর জন্য ব্রাশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়. এর কাপা/টাপা (একধরনের পেইন্ট) মুছে ফেলা কঠিন।

--------------------------------------------------------
চালতাঃ



চালতা ফল দিয়ে চাটনি ও আচার তৈরি হয়। এটি স্থানবিশেষে চালিতা, চাইলতে ইত্যাদি নামেও অভিহিত। গাছটি দেখতে সুন্দর বলে শোভাবর্ধক তরু হিসাবেও কখনো কখনো উদ্যানে লাগানো হয়ে থাকে। চালতা গাছ মাঝির আকারের চিরহরিৎ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছ উচ্চতায় ১৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। গাছের গায়ে লালচে রঙের চকচকে বাকল থাকে। পাতার কিনারা খাঁজ কাটা, শিরা উঁচু সমান্তরাল। চালতার সাদা রঙের ফুল দেখতে সুন্দর ; এটি সুগন্ধযুক্ত। ফুলের ব্যাস ১৫-১৮ সেন্টিমিটার। ফুলে পাঁচটি মোটা পাঁপড়ি থাকে ; বৃতিগুলো সেসব পাঁপড়িকে আঁকড়ে ঘিরে রাখে। বছরের মে-জুন মাসে ফুল ফোটার মৌসুম। ফল টক বলে চালতার আচার, চাটনি, টক ডাল অনেকের প্রিয় খাদ্য। পাকা ফল পিষে নিয়ে নুন-লংকা দিয়ে মাখালে তা বেশ লোভনীয় হয়। গ্রাম এলাকায় সাধারণত জঙ্গলে এ গাছ জন্মে ; কখনো কখনো দু’একটি গাছ বাড়ির উঠানে দেখা যায়। চালতা ফলের যে অংশ খাওয়া হয় তা আসলে ফুলের বৃতি। প্রকৃত ফল বৃতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে। ফল বাঁকানো নলের মত ; ভিতরে চটচটে আঠার মধ্যে বীজ প্রোথিত থাকে। চালতা অপ্রকৃত ফল; মাংসল বৃতিই ভক্ষণযোগ্য।

--------------------------------------------------------
বেলঃ



বেল একটি পুষ্টিকর ফল। এতে থাকে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। গ্রীষ্মের কাঠফাটা দুপুরে এক গ্লাস বেলের শরবত খেলে কার না প্রাণ জুড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেলের জুড়ি নেই।

---------------------------------------------------
পানি ফলঃ



গরমকালে পানি ফল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। এতে শতকরা ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় যা আপেল, আঙ্গুর, কলা ও পেয়ারা থেকে বেশি। এছাড়া রয়েছে শ্বেতসার, খনিজ লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি। খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় ১১৫ কিলোক্যালরি।

-------------------------------------------------------
লটকনঃ



লটকন জাতীয় টক-মিষ্টি ফলে একসঙ্গে টক ও মিষ্টি ফলের গুণ রয়েছে। এ ধরনের ফল খেলে মানুষের শরীরের টক ও মিষ্টির ঘাটতি যথেষ্ট পরিমাণে পূরণ হয়। বলা হয়ে থাকে প্রতিদিন দু’চারটি লটকন জাতীয় ফল আমাদের দেহের ভিটামিন-সি এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য যথেষ্ট। কোনো কারণে বমি বমি ভাব অনুভব হলে তা খেলে দ্রুত সেরে যায়। শরীরে ক্ষত বা ঘা থাকলে তা খেলে দ্রুত ক্ষত বা ঘা শুকায়। অত্যাধিক তৃষ্ণা নিবারণে বন্ধুর মতো কাজ করে এই টক জাতীয় ফলটি।

----------------------------------------------------
জামরুলঃ



বাংলাদেশের অনেক জেলায় এই ফলটি প্রচুর পরিমাণে জন্মে। একেক দেশে ফলটি একেক নামে পরিচিত। ফিলিপাইন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং সামোয়ার নিম্নভূমিতে প্রচুর পরিমাণে জামরুল জন্মে। এই ফলটি দেখতে বেশ সুন্দর। ফলের ভেতরে কোনো আঁশ থাকে না। তবে রসে থাকে ভরপুর। জামরুল পুষ্টিগুণে অনন্য। এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ পদার্থ।

----------------------------------------------------

বাঙ্গিঃ



বাঙ্গি একটি পুষ্টিকর ফল। বাঙ্গির পুষ্টিগুণ অনেক, এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ক্যারোটিন ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

-----------------------------------------------------
করমচাঃ



ভীষণ টক স্বাদের এই ফলটি আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় হলেও শহুরে বাজারে এর দেখা খুব কম মেলে। গ্রীষ্মের শেষ এবং বর্ষা শুরুর সন্ধিক্ষণে পথে-ঘাটে বিক্রেতার ডালায় দেখতে পাওয়া যায় করমচা। টক স্বাদের বলে লবণ দিয়ে মাখিয়ে করমচা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হলেও করমচা আমাদের দেশে মোটামুটি অবহেলিতই বলা চলে!

---------------------------------------------------
কামরাঙ্গাঃ



কামরাঙ্গা ফল বিশ্বে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন_ স্টার ফ্রুট (তারা ফল) ক্যারামবোলা প্রভৃতি। এই ফলটির উৎপত্তি মূলত শ্রীলঙ্কায়। পরবর্তী সময়ে ভারত, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, চীনসহ ইউরোপ-আমেরিকা মহাদেশে চাষ হয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী টক-মিষ্টি ফল হিসেবে বেশ পরিচিত। কিন্তু উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কামরাঙ্গায় উল্লেখযোগ্য আরো রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি৯ (ফোলেট) মিনারেল হিসেবে রয়েছে পটাশিয়াম ফসফরাস জিংক প্রভৃতি।

এটি এন্টি অক্সিডেন্টের ভালো উৎসই শুধু নয় এর রয়েছে এন্টি মাইক্রোবিয়াল এবং ক্যানসার বা অস্বাভাবিক কোষ অপরাসরণের ক্ষমতা। কামরাঙ্গা ফলের মধ্যে যতই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং মিনারেল থাকুক না কেন, পাকা কামরাঙ্গা জুস যতই সুস্বাদু লাগুক না কেন কামরাঙ্গার মধ্যে এমন দুইটি উপাদান রয়েছে যা মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ ঘটাতে পারে এবং অতীতে বহু মানুষের কামরাঙ্গা খাবার কারণে মৃত্যু ঘটেছে এমন কি এই ফল খাবার ১ ঘণ্টা পরেই মৃত্যু ঘটার মতো ঘটনা ঘটেছে। খাবার পর যে সব লক্ষণ বা প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তার মধ্যে বিরামহীন হেচকি , বমি বমি ভাব, মাথা ঘুরানো, মানসিক ভারসাম্যহীনতা প্রভৃতি।

--------------------------------------------------
কুল বা বরইঃ



বরই গাছ ছোট থেকে মাঝারি আকারের ঝোপাল প্রকৃতির বৃক্ষ। বরই গাছের স্বাভাবিক উচ্চতা ১২-১৩ মিটার। এই গাছ পত্রঝরা স্বভাবী অর্থাৎ শীতকালে পাতা ঝরে, বসন্তে নতুন পাতা আসে। বরই গাছের ডাল-পালা ঊর্ধ্বমুখী। বৎসরের সেপ্টেম্বরে - অক্টোবরে মৌসুমে গাছে ফুল আসে। ফল ধরে শীতে। ফল গোলাকার, ছোট থেকে মাঝারি। ফল আকারে ছোট, কমবেশী ২.৫ সেন্টিমিটার। ফল পাকলে রঙ হলুদ থেকে লাল বর্ণ হয়। কাঁচা ও পাকা উভয় পদের বরই খাওয়া হয়। স্বাদ টক ও কাঁচামিঠা জাতীয়। বরই রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। পাকা বরই শুকিয়ে চাটনী প্রস্তুত করা হয়।

----------------------------------------------------------
লুকলুকি বা পাইন্ন্যাগুলাঃ



লুকলুকি বা পাইন্ন্যাগুলা একটি মিষ্টি ও সুস্বাদু দেশীয় ফল। দেখতে আঙুর ফলের মতো। এ ফলে রয়েছে প্রচুর টসটসে রস। তাই স্থানীয় ভাষায় এর নাম ‘পাইন্ন্যাগুলা’।

পাইন্ন্যাগুলা ফলে রয়েছে শতকরা ৬০ ভাগ আয়রন। সালফার, ফসফেট ছাড়াও ১০ ভাগ রয়েছে ভিটামিন সি। অন্যান্য উপাদানও রয়েছে সমভাবে।

ওষুধি ফল হিসেবে পাইন্ন্যাগুলার বেশ কদর রয়েছে। এ ফল খেলে হজমশক্তি ও লিভারের কার্যক‍ারিতা বৃদ্ধি পায়। হৃদরোগীদের জন্য এটি উপকারী ভেষজ ঔষধের কাজ করে। তাছাড়া এর পাতা ও ফল ডায়রিয়া রোগের প্রতিরোধক। শুকনো পাতা ব্রংকাইটিস রোগের জন্য বিশেষ উপকারী। এর শিকড় দাঁতের ব্যাথা নিরাময়ে কাজ করে।

-----------------------------------------------------
হরীতকীঃ



হরীতকী মধ্যম থেকে বৃহদাকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। আমাদের দেশের বনাঞ্চলে বা গ্রামাঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে এ গাছ দেখা যায়। উচ্চতা ৪০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পাতা ঝরে নতুন পাতা গজাতে থাকে।

হরীতকীর বৈজ্ঞানিক নাম Terminalia chebula. বাংলাদেশ ও ভারতে এর আদি নিবাস। বাকল গাঢ় বাদামি। বাকলে লম্বা ফাটল থাকে। পাতা লম্বা-চ্যাপ্টা, কিনার চোখা, লম্বায় পাঁচ-ছয় ইঞ্চি।

ফুল ফোটে ডালের শেষ প্রান্তে। রং হালকা হলুদাভ সাদা। ফল লম্বাটে, মোচাকৃতি। লম্বায় প্রায় দেড় ইঞ্চি। কাঁচা ফল সবুজ, পরিপক্ব ফল হালকা হলুদ। শুকালে কালচে খয়েরি রং হয়। ফলের ত্বক ভীষণ শক্ত। এই ফল বছরের পর বছর ভালো থাকে। ফলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত লম্বা লম্বা পাঁচ-ছয়টি শিরা থাকে। ফলের বাইরের আবরণ কুঁচকানো। ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা হয়। ফলের ভেতর একটিমাত্র ভীষণ শক্ত বীজ থাকে।

হরীতকীর কাঠ খুব মজবুত। এই কাঠ ফ্রেম, খুঁটি, আসবাব তৈরিতে ব্যবহূত হয়। বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়।

প্রচলিত আছে, প্রতি সকালে এক কাপ পরিমাণ হরীতকী ভেজানো পানি ব্যবহার করলে রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। আমলকী ও বিভীতকীর (বহেড়া) সঙ্গে হরীতকী ভেজানো পানি, সব রোগের আশ্চর্য মহৌষধ।

হরীতকী চূর্ণ ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে, পিত্তশূল দূর হয়। পাইলস, হাঁপানি, চর্ম রোগ, ক্ষত রোগ, কনজাংটিভাইটিস রোগে হরীতকী ব্যবহূত হয় বিশেষভাবে পরিশোধনের মাধ্যমে।

হরিতকী তিতা গন্ধ বিশিষ্ট। ইহা ট্যানিন, এ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ, সাকসিনিক এসিড এবং বিটা সাইটোস্টেরল সমৃদ্ধ। ইহা রক্ত চাপ এবং অন্ত্রের খিঁচুনি হ্রাস করে। হৃদপিন্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে। ইহা রেচক, কষাকারক, পিচ্ছিলকারক, পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়বিক শক্তিবর্ধক। তাই ইহা নতুন ও পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়বিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজন এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। হরিতকীতে এ্যানথ্রাকুইনোন থাকার কারণে ইহা রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ।

------------------------------------------------------
ডাবঃ



ডাবের পানির ব্যপারে নতুন করে কিছু বলার নেই। সুস্বাদু এই পানীয়টি গোটা এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার মানুষের কাছে এটি সমান প্রিয়। তবে কেবল পানীয় হিসাবেই নয়, ডাবের পানির মধ্যে বিজ্ঞানীরা ওষুধিগুণও খুঁজে পেয়েছেন। ডায়রিয়াতে এর পানি উপকার অনেক বেশী। এটি হার্টের পক্ষেও ভালো কাজ করে। এখন আবার জানা গেছে ডাবের পানি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে অনেক বেশী সক্ষম। বছরের পর বছর ব্যবহার করার ফলে চলতি এন্টিবায়োটিক ওষুধ রোগজীবাণু প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। ফলে এই সমস্যা মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা

নজর দিয়েছেন শরীরে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলার মূল বস্তু বিভিন্ন প্রোটিনের প্রতি। যখন কোনো রোগজীবাণূ শরীরে প্রবেশ করে, আমাদের দেহের প্রতিরোধ কোষ প্রোটিন দিয়ে তৈরি এন্টিবড়ি উত্পন্ন করে।

বিজ্ঞানীরা গাছপালার বিভিন্ন অংশ যেমন ফুল, পাতা, মূল ইত্যাদি থেকে রোগজীবাণু ধ্বংসকারী প্রোটিন তৈরি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ ও ব্রাজিলের একদল গবেষক ডাবের পানির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন তিনটি নতুন ধরনের বিভিন্ন গুণসম্পন্ন পেপটাইজম যা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া যারা খাদ্যকে বিষিয়ে দেয়, দুধ ও মাংসকে নষ্ট করে তাদের মেরে ফেলে। আগামী দিনে এইসব পেপটাইজম ভবিষ্যতের এন্টিবায়োটিক ওষুধের উপাদান হিসেবে ব্যবহূত হবে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

-------------------------------------------------------
আমলকীঃ



আমলকী গাছ ৮ থেকে ১৮ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হতে পারে, পাতা ঝরা প্রকৃতির। হালকা সবুজ পাতা, যৌগিক পত্রের পত্রক ছোট, ১/২ ইঞ্চি লম্বা হয়। হালকা সবুজ স্ত্রী ও পুরুষফুল একই গাছে ধরে। ফল হালকা সবুজ বা হলুদ ও গোলাকৃতি ব্যাস ১/২ ইঞ্চির কম বেশি হয়। কাঠ অনুজ্জল লাল বা বাদামি লাল। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে ই দেখা যায়। গাছ ৪/৫ বছর বয়সে ফল দেয়। আগষ্ট - নভেম্বর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। বীজ দিয়ে আমলকির বংশবিস্তার হয়। বর্ষাকালে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকি ফলের জুড়ি নেই। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।

----------------------------------------------------
আমড়াঃ



বৃক্ষগুলি ২০-৩০ ফুট উঁচু হয়, প্রতিটি যৌগিক পাতায় ৮-৯ জোড়া পত্রক থাকে পত্রদন্ড ৮-১২ ইঞ্চি লম্বা এবং পত্রকগুলো ২-৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। কাঁচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়, তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি হয়ে যায়। ফলের বীজ কাঁটাযুক্ত। ৫-৭ বছরেই গাছ ফল দেয়। এই ফল কাচা ও পাকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। ফল, আগস্ট মাসে বাজারে আসে আর থাকে অক্টোবর পর্যন্ত। আমড়া কষ ও অম্ল স্বাদযুক্ত ফল। এতে প্রায় ৯০%-ই পানি, ৪-৫% কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিনজাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টজাতীয় উপাদান থাকে। আমড়া একটি ভিটামিন-সি-সমৃদ্ধ ফল (প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ২০ মিলি গ্রাম পাওয়া যায়)। ইহা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ওজন কমাতে সহায়তা করে, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টজাতীয় উপাদান থাকায় আমড়া বার্ধক্যকে প্রতিহত করে।
----------------------------------------------------
(ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত)

ফলের রাজ্যে স্বাগতম, এক সাথে সব ফল গুনাগুন সহ বর্ণনা । ১ম পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×