somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"পরাবাস্তব হাসি"

০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১/
রাফিদ সাহেব সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলেন। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহরের বৃষ্টি। ঢাকা শহরের বৃষ্টি দেখলেই রাফিদ সাহেবের মনে হয় , চিপস কিনলে চকোলেট ফ্রির মত বৃষ্টি হলেও এখন সুইমিং পুল ফ্রি। হাঁটু আবার কোন কোনওসময় কোমর সমান পানি। অবস্থা এখন যা , সামনে হয়ত এমন হবে। মানুষ ঘর থেকে বের হবার সময় , অক্সিজেন সিলিন্ডার , গগলস , সুইমিং স্যুট পরে বের হবে। ছাদের থেকে ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়বে। তারপর যে যার মত সাঁতরে সাঁতরে কাজে যাবে। তখন ওয়াসা বলবে , সরকারের পক্ষ থেকে ক্লোরিন ও বিভিন্ন জীবাণুনাশক ক্যামিকেল পানিতে মিশানো হয়েছে। আপনার যে যার মত সাঁতার কাটুন , পানি লাগলে সমস্যা হবে না। ভাবতে ভাবতেই ফিক করে হেসে ফেললেন তিনি। ছেলেমানুষদের মত কিসব যাঁতা ভাবেন।



এই সমস্যার সূত্রপাত সোমা মারা যাওয়ার পর থেকে। সোমা রাফিদ সাহেবের স্ত্রী। বছর দুয়েক আগে মারা গেছেন। ক্যান্সারে। সোমার স্মৃতি বলতে আর কিছু রাখেননি। এমনকি ফটোগ্রাফ গুলোও রাখেন নি। সব পুড়িয়ে ফেলেছেন। ক্যামোথেরাপি দিতে দিতে সোমার এমন এক চেহারা হয়েছিলো যে যখন সোমার দিকে তাকাতেন , মনে হয় বুকটা কেউ ছিঁড়ে ছারখার করে দিচ্ছে। কেমন যেন অদ্ভুত ফাঁকা ফাঁকা লাগতো। তখন শুধু কল্পনায় চোখ বুজে সোমার সেই দুষ্টু দুষ্টু হাসিটার কথা কল্পনা করতেন। এমন একটা সময় আসলো যে , আর চোখ বুজে থাকার দরকার হত না। সোমার বিকৃত মুখের দিকে তাকালে , এমনি এমনিই সেই দুষ্টুমি মাখা হাসিটা চোখে পড়ে যেতো। তার হাসিমাখা মুখ দেখে , তখন ও রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে , তার দিকে তাকিয়ে থাকতো। অবাক হত। এভাবেই চলছিলো জীবন। একদিন সোমাও চলে গেল। রাফিদ সাহেব মৃত মুখটা দেখে কাঁদতে পারেননি , কারণ ঐ ফ্যাকাসে মুখের দিকে তাকিয়েও , মনে হচ্ছিলো , প্রেম করবার সময়কার সেই দুষ্টু দুষ্টু হাসি দিচ্ছে ও। একদম পরিষ্কার ... জলের উপরের ছায়ার মত পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিলো সেই হাসি। তাই , কাঁদার প্রয়োজন অনুভব করেননি।


রাফিদ সাহেব এখনো সেই হাসি দেখেন। কোন ফটোগ্রাফের প্রয়োজন হয় না। চোখ বুজলেও দেখেন , স্বপ্নে দেখেন , কল্পনায়ও দেখেন। কিন্তু বাস্তবে দেখেন না। উনার ছোট দুই বোন আবার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলো , বয়স আর কি এমন হয়েছে , পঁয়ত্রিশ ছত্রিশ। গল্প সিনেমার নায়কদের মত উনি বিয়ে না করে থাকাতে বিশ্বাসী ছিলেন না। "আমার এই প্রেম অমর" টাইপ ফালতু লজিকে বিশ্বাসী নন। তাই অন্য সবার মতন , উনিও বিয়ে করতে আগ্রহী হয়েছিলেন। কিন্তু পারেন নি , তিনি ঐ দুষ্টুমি দুষ্টুমি হাসি খুঁজে পাননি। ঐ হাসি ছাড়া , তিনি কোন নারীর সংস্পর্শে থাকতে পারবেন না , তা তিনি ভাল করেই জানতেন। এবার , গভীরভাবে অনুভব করলেন। এ কারণেই , শেষমেশ আর বিয়ে করাও হয়ে উঠলো না। বোনেরাও আর চাপ দেয় না। ডাক্তার বলল , উনি মেন্টালি শকড। আরও কিছুদিন সময় যাক , তারপর সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। ডাক্তার কিছুদিন রেস্ট নিতে বললেন। সেই থেকে বলতে গেলে একা একাই থাকেন। ভদ্রলোক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। রাতে চাকরি থেকে ফিরে আসেন। সকালে যান। এইই রুটিন। কারো সাথে সচরাচর মিশেনও না।

২/

ভদ্রলোকের পাশের ফ্ল্যাটে আমি কিছুদিন আগেই উঠেছি। রীতিমত বৌ নিয়ে। নতুন বিয়ে করেছি। বারান্দা দিয়ে বসলে , পাশের বারান্দাতেই উনাকে দেখা গেলো। আমি তখন সব মালামাল উঠাচ্ছি বাসায়। বাসা এখনো অগোছালো। সারাদিন আমি আর রাইসা মিলে গোছগাছ করতে করতে ক্লান্ত। কোনমতে মাস্টার বেডরুমটা গুছিয়ে ফেলেছি। অন্য রুমগুলোর অবস্থা এখনো গুরু চরণ! রাত তখন একটা কি দুটো হবে। রাইসা বেহুঁশের মত ঘুমাচ্ছে। সারাদিন বেচারির উপর অনেক ঝড়-ঝাপটা গিয়েছে। আমি কোনমতে ওর হাত সরিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলাম। মাঝরাতে আমার ধূমপানের অভ্যাস আছে। রাইসা খুব একটা কিছু বলে না। ডেস্কেই থাকে প্যাকেট। লাইটারটা হাতড়ে বের করে জ্বালালাম। কারেন্ট নেই। লাইটারের আলোতেই সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে বারান্দার চেয়ারটায় গিয়ে বসলাম। অন্য সবার মত মনে মনে দেশের বিদ্যুতের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শাপ-শাপান্ত করতে করতে সিগারেট ধরালাম। তখন পাশের ব্যালকনি থেকে রাফিদ সাহেবের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। অন্ধকারে বসে বসে কার সাথে যেন কথা বলছেন , একদমই দেখা যাচ্ছে না। রাফিদ সাহেবকে কিভাবে চিনলাম , সেটা বলে নেই। কয়েকদিন পরেই এই ভদ্রলোককে নিয়ে খোঁজ করেছিলাম। খোঁজ করে , বাড়িওয়ালার কাছে থেকেই উনার সম্পর্কে জেনেছিলাম। সে রোমহর্ষক ইতিহাস পরে বলি , এই ঘটনাটা আগে বলে নেই।


বড় বড় ফ্ল্যাটগুলোর ব্যালকনি কাছাকাছি হয়। এতো কাছে হয়ে ঘোরতর অন্ধকারে কিছুই দেখছি। খালি আমার সিগারেটের আগুনের লাল আলো ছাড়া আর চারিপাশে সব অন্ধকার। রাফিদ সাহেব কথা শোনার জন্যে কান পাতলাম।

- "আচ্ছা রুমা , এই অন্ধকারে চুপচাপ বসে আছিস কেন ?

ওপার থেকে কোন কথা নেই।"

- "আচ্ছা , তোকে একটা গল্প বলি শোন , তোর মা নিয়ে কতটুক জানিস। সোমা যখন মারা যায় , তার ক্যান্সারে বিছানাতেই কেটেছে দেড় বছর। বলতে গেলে তুই মায়ের সংস্পর্শই পাস নি। মা'কেও ঠিকঠাক চিনিসই না।"

-ওপাশ থেকে গভীর নীরবতা।

- আচ্ছা , বাদ দে , তোকে একটা হাসির গল্প শুনাই। যখন ছাত্র ছিলাম , তখন একবার তোর মায়ের সাথে রমনায় বেড়াতে গেলাম। তখনই হুট করে প্রস্রাব চেপে গেলো। তোর মা'কে বললাম। আমি প্রস্রাব করবো। এক মিনিট টাইম দাও। ঐ গাছের কোণাতেই সেরে আসবো। তোর মা'তো রেগেই অস্থির। বলল , মোটেই না। তোমার কি কোন ক্লাস নাই। আমি বললাম , "ক্লাস আছে , তবে ব্লাডারের ক্লাস নাই। এখন প্রস্রাব না করতে দিলে , আমি কিন্তু ব্লাডার ফেটেই মারা যাবো ... তুমি কি চাও , একটা ফাটা ব্লাডারওয়ালা ছেলে তোমার প্রেমিক হোক!" এই লম্বা লেকচার দিয়ে দেখলাম , ওর রাগরাগ মুখ পানি হয়ে সাথে সাথেই ফিক করে হেসে দিলো। সে কি হাসি ... থামেই না। আমি তো আক্কেল গুড়ুম। কি এমন বললাম যে , যে এতো হাসতে হবে!

- "এই যা তুইও তো হাসছিস।"

বাচ্চা মেয়ের হাসির শব্দ শোনা গেল। রিনিঝিনি হাসি। মেয়েটা হাসছেই। সাথে সাথে রাফিদ সাহেবও হাসছেন। একটু কিছুক্ষণ পরে অসামঞ্জস্যটা খেয়াল করলাম। অদ্ভুত ব্যাপার , দুইজনের হাসিটা থামছে। হাসির নিয়ম , সুন্দর হাসি বেশিক্ষণ থাকে না। পেটে খিল ধরা হাসি আর অট্টহাসি এই দুইটা জিনিস বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে। কিন্তু সুন্দর হাসি বড়জোর ত্রিশ সেকেন্ড। কিন্তু এই হাসি থামছে না , অদ্ভুত এক দুষ্টুমি মাখা হাসি। এক মিনিট ... দুই মিনিট ... আমি আর সহ্য করতে পারছি না। কানে হাত দিয়ে দিলাম। সুন্দর হাসি যখন অনেকক্ষণ ধরে চলে , তখন মস্তিষ্কের উপর অসম্ভব এক চাপ পড়ে। মনে হচ্ছে আঙ্গুলের ফুটো দিয়ে হাসি মস্তিষ্কে ঢুকে যাচ্ছে। সব ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলছে। আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
.
.
হুট করে দেখি , হাসি থেমে গেলো। চোখ খুলে দেখলাম , কারেন্ট চলে এসেছে। হাতড়ে লাইট অন করে যা দেখলাম , সেটা মোটামুটি অবিশ্বাস্য। রাফিদ সাহেব , চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন। চুপচাপ ... বারান্দার সামনের দিকে তাকিয়ে আছেন শূন্য দৃষ্টিতে। হাসির কোন ভঙ্গিমাই নেই মুখে। ফ্যাকাসে ফ্যাকাসে মুখ। আমি কোনমতে কাঁপতে কাঁপতে বারান্দা থেকে বের হয়ে , রাইসার পাশে এসে শুয়ে পড়লাম।


সেই রাতে আমার প্রবল জ্বর এলো। জ্বরের ঘোরে দুইদিন রীতিমত বিছানায়। মাথার ভেতর কে যেন হাসিটা ঢুকিয়ে দিয়েছে। খালি বাজছে , বাজছে। প্রবল যন্ত্রণা হচ্ছে। তাও , কোনমতে সুস্থ হয়ে যখনই একটু নড়াচড়ার সুযোগ হল। রাইসাতো চিন্তায় অস্থির। ডাক্তার-ফাঁকটার এনে একাকার অবস্থা। রাইসাকেও কিছু বলি নি , বেচারি ভয় পাবে। সুস্থ হয়ে সেদিনই , তিনতলায় বাড়িওয়ালার কাছে গেলাম। উনার কাছ থেকেই রাফিদ সাহেবের পুরো ঘটনাটা শুনলাম। উনার কাছ থেকেই শুনলাম , রাফিদ সাহেব ফ্ল্যাটে একা থাকেন। উনার স্ত্রীর থেকে শুরু করে সব ঘটনা বাড়িওয়ালাই খুলে বললেন।
আমি জিগ্যেস করলাম , "উনার কোন মেয়ে নেই ?"
বাড়িওয়ালা বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলেন , "আরে ভাই , বললামই তো একা থাকেন।"
আমি আর কথা না বলেই হাতের চায়ের কাপটা রেখে দিলাম। মস্তিষ্কে প্রবল আলোড়ন হল , এর ব্যাখ্যা কি? আমি যুক্তিবাদী মানুষ। যুক্তি দিয়ে বিচার করতে বসলাম। যা বুঝলাম , ভদ্রলোকের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর , স্ত্রীর ছায়ায় তার মেয়েকে কল্পনা করতে লাগলেন। কল্পনায় স্ত্রীর বৈশিষ্ট্য দিয়ে মেয়েকে গড়ে নিয়েছেন। পুরো জিনিসটা কল্পনার জগত। হয়ত , ভদ্রলোক স্ত্রীকে হাসাতে ভালোবাসতেন , সেই হাত ধরেই তিনিও কল্পনায় মেয়েকে হাসাতে লাগলেন। মেয়েটার হাসির মধ্যে স্ত্রীর হাসি খুঁজতে লাগলেন। নিজে নিজেই গল্প বলেন , নিজে নিজেই হাসেন। আলাদা একটা জগত। কিন্তু , মেয়েটির হাসির শব্দ আমি শুনলাম কেন ? মানুষের কল্পনা কি এতো শক্তিশালী যে , মানুষ কল্পনা দিয়ে আলাদা একটা পরাবাস্তব জগতকে , বাস্তব জগতে রূপান্তর করে ফেলবে। উফ , মাথায় ব্যাথা হচ্ছে , কল্পনা করতে। এও কি সম্ভব , হয়ত প্যারালাল ওয়ার্ল্ড বলে কিছু আছে। এই জগতে রাফিদ সাহেবের মেয়ে নেই , কিন্তু অন্য সমান্তরাল জগতে , তিনি মেয়ে নিয়ে সুখেই আছেন। হয়ত , তিনি তার অসম্ভব মানসিক কল্পনা শক্তি দিয়ে প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চাইছেন। কিছুক্ষণের জন্যে হলেও , তিনি সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছিলেন , সেই রাতে। হাসিটাও , সেই সমান্তরাল জগত থেকে আসছে। এও কি সম্ভব...


রাতে বিছানায় শুয়ে আছি। সিগারেটের জন্যে ফুসফুসে টান ধরেছে। আজকে ইলেক্ট্রিসিটি আছে। সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে বারান্দার দিকে যাচ্ছি। যত কাছে যাচ্ছি , ততই বারান্দার ঐদিক থেকে দুষ্টুমি মাখা হাসির শব্দ আসছে। ক্রমশই কাছে আসছে , আরো কাছে , আরো কাছে। আমি অসীম কৌতূহল নিয়ে বারান্দায় পা রাখতে যাচ্ছি। হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। আমি কানের কাছে হাত নিয়ে গেলাম ... চেপে ধরতে হবে। কোনমতেই এই হাসি কানে ঢুকতে দেয়া যাবে না। কারণ এই হাসি , পরাবাস্তব হাসি।

-
জুলাই ১ , ২০১৫।
সমাপ্ত।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×